Posts

Showing posts from May, 2020

গেলো পশুর মতন সারা জনম

Image
গেলো পশুর মতন সারা জনম যা মনে লয় তাই করি। কালের চাকার তালে তালে ফাল পাড়ি।। অন্তর বোঝাই লোভ লালসা দয়া মায়া কিছুই নাই ওরে ছলে বলে কল কৌশলে পরের মাইয়া ঘরে পাই করি তার সতিত্ব হরন হইয়া পশুরই মতন আমি দিয়া পীর আলি বচন ওলি আল্লার জাত মারি। কালের চাকার তালে তালে ফাল পাড়ি।।। ওরে চেনা জানা ভন্ড আমি সব লোকে জানে শয়তান ধোকা বাজি ফটকা বাজি পীর ধরেছি সাত আট খান দিয়া গুন্ডামি চালান হইছি কতই অপমান ভুলে ডাকে বাজান বাজান তার পরে জুতার বাড়ি কালের চাকার তালে তালে ফাল পাড়ি।। আমার যতো ভক্তবৃন্দ কোনো সালায় ভালানা ওরে গরু ছাগল চুরি কইরা সাইজা বইছে মাওলানা ওরে ভন্ড পীর আলি আমার মাল গুদাম খালি জীবন গেলো তালিবালি কয়দিন চলে ঝাঁক মারি কালের চাকার তালে তালে ফাল পাড়ি।। বাতের বেরাম নাইরে আরাম তার ওপরে হাপানি ওরে ক্যাপসুল বড়ি খাইতে খাইতে শরীরে নামছে পানি এখন ঘনো বহে শ্বাস এই দেহের নাই বিশ্বাস আমার দিনে দিনে দেহ বিনাস কয় দিন চলে ঝাঁক মারি। কালের চাকার তালে তালে ফাল পাড়ি।। মাতাল রাজ্জাকে কয় তেল ফুরাইছে নিবা যাইতে চায় বাতি ওরে জমকরা গলে পড়া ভাবছে রশিদ বয়াতি তর সামনে যে কয়দিন বড়ই কঠিন আজ মরিলে কালকে

গেলো পশুর মতন সারা জনম

Image
গেলো পশুর মতন সারা জনম যা মনে লয় তাই করি। কালের চাকার তালে তালে ফাল পাড়ি।। অন্তর বোঝাই লোভ লালসা দয়া মায়া কিছুই নাই ওরে ছলে বলে কল কৌশলে পরের মাইয়া ঘরে পাই করি তার সতিত্ব হরন হইয়া পশুরই মতন আমি দিয়া পীর আলি বচন ওলি আল্লার জাত মারি। কালের চাকার তালে তালে ফাল পাড়ি।।। ওরে চেনা জানা ভন্ড আমি সব লোকে জানে শয়তান ধোকা বাজি ফটকা বাজি পীর ধরেছি সাত আট খান দিয়া গুন্ডামি চালান হইছি কতই অপমান ভুলে ডাকে বাজান বাজান তার পরে জুতার বাড়ি কালের চাকার তালে তালে ফাল পাড়ি।। আমার যতো ভক্তবৃন্দ কোনো সালায় ভালানা ওরে গরু ছাগল চুরি কইরা সাইজা বইছে মাওলানা ওরে ভন্ড পীর আলি আমার মাল গুদাম খালি জীবন গেলো তালিবালি কয়দিন চলে ঝাঁক মারি কালের চাকার তালে তালে ফাল পাড়ি।। বাতের বেরাম নাইরে আরাম তার ওপরে হাপানি ওরে ক্যাপসুল বড়ি খাইতে খাইতে শরীরে নামছে পানি এখন ঘনো বহে শ্বাস এই দেহের নাই বিশ্বাস আমার দিনে দিনে দেহ বিনাস কয় দিন চলে ঝাঁক মারি। কালের চাকার তালে তালে ফাল পাড়ি।। মাতাল রাজ্জাকে কয় তেল ফুরাইছে নিবা যাইতে চায় বাতি ওরে জমকরা গলে পড়া ভাবছে রশিদ বয়াতি তর সামনে যে কয়দিন বড়ই কঠিন আজ মরিলে কালকে

ধর্মের গৌরব করি

Image
কথা, সুর, শিল্পী: মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ান ওরে সত্য কথার ধার ধারি না আমরা মিথ্যা কথার ছিগলি ছাড়ি ধর্মের গৌরব করি বড় ধর্মের গৌরব করি। সত্য কথার ধার ধারি না সত্য কথার ধার ধারি না মিথ্যা কথার ছিগলি ছাড়ি ধর্মের গৌরব করি বড় ধর্মের গৌরব করি। আমাদের ইসলামী আদর্শ যাহা, মূলে কেউ করিনা তাহা, মুখে মুখে সবাই আহা, ইসলাম দাবী করি।। রাত্র ভরা ঘুম আসে না কুচিন্তাতে মরি আমরা রাত্র ভরা ঘুম আসে না কুচিন্তাতে মরি। ওরে সকালে উঠিয়া আমি সকালে উঠিয়া আমি ভাইয়ের মাথায় দিব বারি। ধর্মের গৌরব করি আমরা ধর্মের গৌরব করি। সত্য কথার ধার ধারি না সত্য কথার ধার ধারি না মিথ্যা কথার ছিগলি ছাড়ি ধর্মের গৌরব করি আমরা ধর্মের গৌরব করি।। আমি দেখেছি ঢাকার শহরে, যুবতীরা টেড়ি পরে, যার তার সাথে ঘুরিয়া ফিরে, মনের দুঃখে মরি।। তারা কোঁচা দিয়া পিন্দে শাড়ী হাতে লাগায় ঘড়ি; ভোলা মন মনরে আমার কোঁচা দিয়া পিন্দে শাড়ী হাতে লাগায় ঘড়ি। বাবা! এই কি রে ইসলামী বিধান এই কি রে ইসলামী বিধান মাইয়ায় করে দোকানদারী। ধর্মের গৌরব করি আমরা ধর্মের গৌরব করি। আজকাল ঘরে ঘরে ফকির বেটা মাথায় রেখে লম্বা জটা চিমটা হাতে কপনি আটা তারা নাম ফলায় ফ

ধর্মের গৌরব করি

Image
কথা, সুর, শিল্পী: মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ান ওরে সত্য কথার ধার ধারি না আমরা মিথ্যা কথার ছিগলি ছাড়ি ধর্মের গৌরব করি বড় ধর্মের গৌরব করি। সত্য কথার ধার ধারি না সত্য কথার ধার ধারি না মিথ্যা কথার ছিগলি ছাড়ি ধর্মের গৌরব করি বড় ধর্মের গৌরব করি। আমাদের ইসলামী আদর্শ যাহা, মূলে কেউ করিনা তাহা, মুখে মুখে সবাই আহা, ইসলাম দাবী করি।। রাত্র ভরা ঘুম আসে না কুচিন্তাতে মরি আমরা রাত্র ভরা ঘুম আসে না কুচিন্তাতে মরি। ওরে সকালে উঠিয়া আমি সকালে উঠিয়া আমি ভাইয়ের মাথায় দিব বারি। ধর্মের গৌরব করি আমরা ধর্মের গৌরব করি। সত্য কথার ধার ধারি না সত্য কথার ধার ধারি না মিথ্যা কথার ছিগলি ছাড়ি ধর্মের গৌরব করি আমরা ধর্মের গৌরব করি।। আমি দেখেছি ঢাকার শহরে, যুবতীরা টেড়ি পরে, যার তার সাথে ঘুরিয়া ফিরে, মনের দুঃখে মরি।। তারা কোঁচা দিয়া পিন্দে শাড়ী হাতে লাগায় ঘড়ি; ভোলা মন মনরে আমার কোঁচা দিয়া পিন্দে শাড়ী হাতে লাগায় ঘড়ি। বাবা! এই কি রে ইসলামী বিধান এই কি রে ইসলামী বিধান মাইয়ায় করে দোকানদারী। ধর্মের গৌরব করি আমরা ধর্মের গৌরব করি। আজকাল ঘরে ঘরে ফকির বেটা মাথায় রেখে লম্বা জটা চিমটা হাতে কপনি আটা তারা নাম ফলায় ফ

আমি লাজে মরি কিযে করি

Image
আমি লাজে মরি কিযে করি গলায় দড়ি দিয়া বিপদে পইড়াছি বড় বাউল গান শিখিয়া আমি লাজে মরি । ভেবেছিলাম গানের জগৎ খুবই একটা ভাল আমি গান শিখিবো বাউল হব জ্বালবো জ্ঞানের আলো দেখলাম বাউল হইয়া গানে গিয়া কপাল বড় পোড়া এই গান গাইয়া বেড়ায় ইতর ফাতরা যারা আমি লাজে মরি । সাধু মহৎ বাউল ছিলো,যত জ্ঞানী গুনি পালাইয়া গেছে তারা গানে নামছে খুনি ওরা গায়ের জোরে মুরুব্বিরে করে অপমান কথায় কথায় তুইলা বহে হাদিস আর কোরআন আমি লাজে মরি । ঢিলাঢোলা পান্জাবী গায় মাথায় লম্বা চুল নিজেরে পরিচয় দেয় সে মস্ত এক বাউল শেষে বায়না লইয়া গানে গিয়া আন্তাজে গান তুলি নিজে খায় জোতার বারি তার মা বাপ শুনে গালি আমি লাজে মরি । কেউ ক্যাসেটে দুলাভাই কেউ হইয়াছে শালি কেউ সাজিলো সুজন বাইদ্দা কারো মাথায় চুরির ঢালি কেহ নানা হইলো জড়ায়ইলো নাতিনেরে গিয়া দিলো বাউলের কপালে কালি এই সব ক্যাসেট দিয়া আমি লাজে মরি । গান না শিখিয়া কিছু মাইয়া গানের সুযোগ নিয়া বছরে বছরে বহে সাত আট খান বিয়া কেহ স্বামী হারা খাইছে ধরা রাখছে উপ স্বামী আবার কেহ স্বামী থুইয়াই করতেছে ভন্ডামী আমি লাজে মরি । মান্য গন্য নাই আর এখন উল্টা গেছে ধারা চেয়ারে বই

আমি লাজে মরি কিযে করি

Image
আমি লাজে মরি কিযে করি গলায় দড়ি দিয়া বিপদে পইড়াছি বড় বাউল গান শিখিয়া আমি লাজে মরি । ভেবেছিলাম গানের জগৎ খুবই একটা ভাল আমি গান শিখিবো বাউল হব জ্বালবো জ্ঞানের আলো দেখলাম বাউল হইয়া গানে গিয়া কপাল বড় পোড়া এই গান গাইয়া বেড়ায় ইতর ফাতরা যারা আমি লাজে মরি । সাধু মহৎ বাউল ছিলো,যত জ্ঞানী গুনি পালাইয়া গেছে তারা গানে নামছে খুনি ওরা গায়ের জোরে মুরুব্বিরে করে অপমান কথায় কথায় তুইলা বহে হাদিস আর কোরআন আমি লাজে মরি । ঢিলাঢোলা পান্জাবী গায় মাথায় লম্বা চুল নিজেরে পরিচয় দেয় সে মস্ত এক বাউল শেষে বায়না লইয়া গানে গিয়া আন্তাজে গান তুলি নিজে খায় জোতার বারি তার মা বাপ শুনে গালি আমি লাজে মরি । কেউ ক্যাসেটে দুলাভাই কেউ হইয়াছে শালি কেউ সাজিলো সুজন বাইদ্দা কারো মাথায় চুরির ঢালি কেহ নানা হইলো জড়ায়ইলো নাতিনেরে গিয়া দিলো বাউলের কপালে কালি এই সব ক্যাসেট দিয়া আমি লাজে মরি । গান না শিখিয়া কিছু মাইয়া গানের সুযোগ নিয়া বছরে বছরে বহে সাত আট খান বিয়া কেহ স্বামী হারা খাইছে ধরা রাখছে উপ স্বামী আবার কেহ স্বামী থুইয়াই করতেছে ভন্ডামী আমি লাজে মরি । মান্য গন্য নাই আর এখন উল্টা গেছে ধারা চেয়ারে বই

পাগল তোর জন্যরে পাগল এ মন পাগল

Image
পাগল তোর জন্যরে পাগল এ মন পাগল। মুখে বলি দূরে যা মন বলে থেকে যা দূরে গেলে মন বোঝে তুই কত আপন।। মুখ বলে এই দূরে গেলে তুই বেশী কিছু আর হবে কি মেঘ ঢাকা দিন চলে গেলে দেবে চাঁদ উঁকি রাতে যখন ওঠে চাঁদ ছুঁতে চাই কেন তোরই হাত। সারাক্ষণই যাস ছুঁয়ে তুই আমার এ মন।। মরি ভেবে হায় উথাল পাতাল এই মনের ভেতরে কি আছে কেন এমন হয় দূরে গেলে তুই চাই কাছে নির্ঘুম কেন কাটে রাত কেন শুধু আর্তনাদ। প্রতিদিন কেন তোকে ভেবে এই হৃদয় ক্ষরণ।। মুখে বলি দূরে যা মন বলে থেকে যা। দূরে গেলে মন বোঝে তুই কত আপন পাগল তোর জন্যরে পাগল এ মন পাগল।।

খুঁজে খুঁজে

তোমাকে খুঁজে পাই ঐ নীল আকাশে পাই যে খুঁজে ঐ মিষ্টি বাতাসে।। তোমায় ভালোবাসি আমি ভালোবাসি পেতে চাই আরো কাছে, আরো কাছে খুঁজে খুঁজে দু’চোখ বুঝে পাই তোমায় আরো কাছে, একই ডোরে বাঁধা দু’জন থাকবো সারা জনম ধরে। কপালের ঐ টিপ চোখেরই কাজলে, তোমাকে জড়িয়ে রাখবো প্রেমেরই আঁচলে। রংধনুর রঙে নয়, নয় ঝর্না ধারাতে তোমার উপমা খুঁজি দু’চোখের তারাতে। খুঁজে খুঁজে দু’চোখ বুঝে পাই তোমায় আরো কাছে, একই ডোরে বাধা দু’জন থাকবো সারা জনম ধরে। তুমি ফুল হয়ে সুরোভী ছড়ালে, প্রেমেরই চাদরে হৃদয় জড়ালে। দাওনা তুমি দু’হাত বাড়িয়ে, ভালোবেসে যেতে চাই তোমাতে হারিয়ে। খুঁজে খুঁজে দু’চোখ বুঝে পাই তোমায় আরো কাছে, একই ডোরে বাধা দু’জন থাকবো সারা জনম ধরে।

তোমায় ভেবে

তোমায় ভেবে .. (সম্পূর্ণ লিরিক আসছে )

বলো না কোথায় তুমি

বলোনা কোথায় তুমি, এবুকে আছো কোন পাশে? বলোনা কোথায় তুমি, আছো কি মিশে নিঃশ্বাসে? মনের ঘরে যতন করে তোমায় রেখেছি আপন করে। ভালোবাসা দিয়ে তুমি দাও রাঙিয়ে, এ কোন প্রেমে নিলে জড়িয়ে।। জোছনা নামাও তুমি হৃদয় আঙিনায় আমার পৃথিবী সাঁজাও মধু পূর্ণিমায়। রাত শেষে ভোর নামাও কতো ভালোবেসে সারাদিন জড়িয়ে রাখো সুখেরি আবেশে, তুমি আছো বলে, ফাগুন আসে কোলে। মনের নাওটা তুমি দোলাও আনমনে ছবি হয়ে থাকো তুমি এ মনের গহীনে। কখনো বা তুমি এ হৃদয়ে হারাও কখনো তুমি এসে সামনে দাড়াও হাতে হাত রেখে ছুঁয়ে দেওনা আমাকে মনের ঘরে যতন করে তোমায় রেখেছি আপন করে। ভালোবাসা দিয়ে তুমি দাও রাঙিয়ে, এ কোন প্রেমে নিলে জড়িয়ে।।

পলকে পলকে

পলকে পলকে কি যে হলো দুটি হৃদয় ভেসে গেলো পাজর ছুয়ে অবুঝ নদী ঢেউয়ে ঢেউয়ে মাতিয়ে দিল মনের ভেতর মন নামিয়ে স্বপ্নবুনি চলো ।। একটা পলক তুমি হলে আড়াল মনে হয় দেখি নাই অনন্তকাল মনের ভেতর করে কেমন কেমন রাত শেষে আসে না যেন সকাল চলো দু’জন হৃদয় খুলে হয়ে যাই এলোমেলো ।। মনটা ছুয়ে তুমি সুনীল আকাশ সেখানে শুধু তোমার বসবাস বুকের ভেতর তোমার আসন জুড়ে আছো সবটা নিঃশ্বাস তোমায় ছাড়া এক জীবনে যায় কি বাচা বলো ।

না বলা ভালবাসা

মাঝে মাঝে সপ্ন দেখে অবাক কোনো রাতে মাঝে মাঝে গল্প বলি নিজেই নিজের সাথে ও মাঝে মাঝে ইচ্চে করে কষ্ট উড়াই হাওয়ায় মাঝে মাঝে তোমায় সাজাই সকল চাওয়া পাওয়ায় তুমি আমার না বলা ভালবাসা এক সুরে বোনা এ হৃদয়ের শত আশা মাঝে মাঝে ভাসে যে মন দুরের খেয়া ঘাটে মাঝে মাঝে বুকের ভেতর একলা পথিক হাটে মাঝে মাঝে ভাসাই যে মন দুরের খেয়া ঘাটে ও মাঝে মাঝে বুকের ভেতর একলা পথিক হাটে মাঝে মাঝে যাই যে ভুলে ভালবাসার মানে মাঝে মাঝে দুঃখ ছোটে সুখের পিছুটানে………

তোমারি পরশ

আমি যত বেশি ভালোবাসি তোমায়. তার চেয়েও বেশি ভালোবাসতে চাই আমি যত বেশি কাছে আসি তোমার, তার চেয়েও বেশি কাছে আসতে চাই ভালোবেসে আমাকে নাও জড়িয়ে , তোমার প্রেমের ছোয়াতে দাও রাঙিয়ে সকালের সোনা রোদ প্রতিদিন আমার ঘুম ভাঙ্গায়…. চোখ মেলে এ হৃদয় তোমারি পরশ চায়……. হিমেল হাওয়াতে এ মন জুড়ালে গো হায় তবু এ মন জুড়েনাত যদি কাছে না পাই তোমায়

মেঘ ছুড়ে দেই

যদি ভুলে যাও না হয় আমাকে, পারবে কি ভুলে যেতে আমার স্নৃতিকে যদি মুছে দাও আমার স্নৃতিকে, পারবে সুখি হতে আমাকে ভুলে আমি মেঘ ছুড়ে দেই তোমারও আকাশে বুঝে নিও তুমি এই আমাকে।। ব্যাথা গুলো আর ব্যাথা দেয় না, ব্যাথা গুলো ভুলে গেছি জ্বালা গুলো আর জ্বালা দেয় না, জ্বালা গুলো পুষে রাখি অনেক কেঁদেছি আর কাঁদতে চাইনা, কাঁদতে আমার আর ভাল লাগেনা। আমি মেঘ ছুড়ে দেই তোমারও আকাশে, বুঝে নিও তুমি এই আমাকে।। বৃষ্টি হলে ভেবেনিও তুমি এ আমার চোখেরও জল।। অনেক ভেবেছি আর ভাবতে চাইনা, ভাবতে আমার ভালো লাগে না। আমি মেঘ ছুড়ে দেই তোমারও আকাশে, বুঝে নিও তুমি এই আমাকে।।

স্পর্শ

ঘন কুয়াশার গাঢ় ভীড়ে শীত কননে ভেসে আসে, তোমার আঁকা সপ্ন ছবি বাঁধি আমি সপ্ন ডোরে।। তারার মেলার অঢেল ভীড়ে খুঁজছি তোমায় নিয়ম দিয়ে, তোমার বলা মিষ্টি বুলি শুনছি আমি অবাক হয়ে। আধার আলোর খেলা ঘরে বসে আছি অলস দেহে, অলীক প্রেমের মাতম তুলে ভাবি তোমায় একা বসে। দিচ্ছি আজ প্রথম চিঠি বৃষ্টি বিন্দুর কালি মেখে, দেখছি আজ নতুন ধরা তোমার দু’চোখ দিয়ে। ঐ ভির আঁকড়ে ধরি তোমায় চেতনার অবসাদে, ভালবাসি শুধু তোমায় এ জীবন ভরে। তারার মেলার অঢেল ভীড়ে… হুম..মম..ম… তোমার বলা মিষ্টিবুলি… হে..এ..এ… তারার মেলার অঢেল ভীড়ে খুঁজছি তোমায় নিয়ম দিয়ে, তোমার বলা মিষ্টি বুলি শুনছি আমি অবাক হয়ে। আধার আলোর খেলা ঘরে বসে আছি অলস দেহে, অলীক প্রেমের মাতম তুলে ভাবি তোমায় একা বসে।

মা তোমায়

পৃথিবীর এক পাশে মাকে রেখে অন্য পাশেও মাকে রাখি পৃথিবীর সব কথা ভুলে গিয়ে ব্যাকুল প্রাণে মাকে ডাকি জীবনের সবখানে সব গানে মাকে ছাড়া জীবনের নিলামে মা হীন এলোমেলেও হৃদয়ে আর কোনও ঠিকানা কেউ কি জানে? ও…ও…হো……মা মায়েরই মুখ দেখে দুঃখ ভুলি মায়েরই আঁচলে জীবন বুঝি। যখনই দুরে যাই আড়ালে থাকি নিরবে চোখ মেলে মাকে খুঁজি। মায়েরই পায়েতে স্বর্গ আছে স্বর্গ খুঁজি না তাই অন্যখানে মায়েরই কারনে বাঁচতে শেখা দু চোখে মা তুমি জগৎ জানে ও…..মা….মা……আ….. ও…..মা….মা……আ…..।।

গুরু উপায় বলো না

গুরু উপায় বলো না জনম দুখী কপাল পোড়া গুরু আমি একজনা।। গিয়েছিলাম ভবের বাজারে ছয়জন চোরা করলো চুরি গুরু বাঁধল আমারে।। ছয় চোরা খালাস পাইলো রে গুরু আমি রইলাম জেলখানায়।। শিশুকালে মরে গেল মা গর্ভে থাকতে মরলো পিতা গুরু চোখে দেখলাম না। কে করিবে লালন-পালন গুরু কে দিবে মোরে সান্ত্বনা।।

চাই তোমায়

চাই তোমায় প্রার্থনায় অনুভূতির গভীর উপমায়। সব চাওয়া তোমার বলো আমাকে মেঘ হওয়া মনের কথা ভেজাও আবেশে। চাই তোমায় প্রতি নিঃশ্বাসে অন্তহীন ভালবেসে। জানিনা কি অনুভবে চাঁদটাকে গল্প শোনায়। আলোকিত সূর্য্য স্নানে ক্লান্তিহীন তোমাকে চাই। না বলা কথাটা ফিরে ফিরে আসে। চাই তোমায় প্রতি নিঃশ্বাসে অন্তহীন ভালবেসে। স্বপ্নময় শত রঙে দৃষ্টিহীন হৃদয় সাজায়। বিমুগ্ধ কোন সুরে শব্দহীন তোমাকে চাই। অচেনা ভাবনায় ঘিরে ঘিরে রাখে। চাই তোমায় প্রতি নিঃশ্বাসে অন্তহীন ভালবেসে।

মনবাড়ি

একটা যায়গা রাখিস আমার লাগি মনবাড়িতে তোর যেখানেতে আমার রাত্রি, আমার হবে ভোর তুই রাখিস বন্ধু তা, এই ঘরটা ছেড়ে কোথাও যাব না ঘরের একটাই থাকবে দরজা একটাই জনালা ভালো থাকার সময় গুলোর থাকবে আসা-যাওয়া দিবি কি আমায় এমন এক ঘর যেখানে নই আমি পর ছুটবে বাতাস উঠোন জুড়ে ছুটবে স্বপ্ন কিছু ঘরের ভেতর তুই আর আমি ছুটবো তার পিছু দিবি কি আমায় এমন এক ঘর যেখানে নই আমি পর

বন্ধু তোমায়

ছেড়া ঘুড়ি রঙিন বল এইটুকুই সম্বল আর ছিলো রোদ্দুরে পাওয়া বিকেলবেলা বাজে বকা রাত্রি দিন এসটিরিক্স টিনটিন এলোমেলো কথা উড়ে যেতো হাসির ঠেলায় সে হাসি ছুটে যেতো গোধুলী মিছিলে সবার অলক্ষেতে তুমিও কি ছিলে হাওয়ায় হাওয়ায় হাওয়ায় হাওয়ায় বন্ধু তোমায় এ গান শোনাবো বিকেলবেলায় আরেকবার যদি তোমাদের দলে নাও খেলায় ।। গল্পের মতো ইশকুল বাড়ী জমে ওঠা ক্ষত খেলবো না আড়ি সে খেলা কানা গলি রোদ চুপিসারে এবং আগুন ছিলো লাস্ট কাউন্টারে হাওয়ায় হাওয়ায় হাওয়ায় হাওয়ায় বন্ধু তোমায় এ গান শোনাবো বিকেলবেলায় আরেকবার যদি তোমাদের দলে নাও খেলায় ।। বইমেলা গুলো গার্গি শ্রেয়শী চেনা মুখগুলো পরিচিত হাসি সে হাসি রোদ ঝিকিমিকি কার্নিশে সাহসী চুম্বন আজো পারেনি সে হাওয়ায় হাওয়ায় হাওয়ায় হাওয়ায় বন্ধু তোমায় এ গান শোনাবো বিকেলবেলায় আরেকবার যদি তোমাদের দলে নাও খেলায় ।। ছেড়াছবি স্ফটিক জল এইটুকুই সম্বল বাদবাকী রোদ চলে যাওয়া বিকেল বেলায় একঘেয়ে ক্লান্ত দিন টানকুস এসপিরিন যানজটে দেরী হয়ে গেল এ কালবেলা মরা মাছের চোখ যায় যতদূরে শুকানো জলছবি আজো রোদ্দুরে হাওয়ায় হাওয়ায় হাওয়

চুপি চুপি

চুপি চুপি কেন আসনি, স্বপনে ধরা দিয়ে যাও। বেসেছো ভালো গোপনে গোপনে, বলোনা আমি যে তোমার। কি করে বলি বলো ভালোবাসি, বড় ভালোবাসি তবু লাজে মরি। আমারই জীবন শুধুই তোমার, তুমি হীনা সবই যে আধার। ছিলেনা যখন তুমি এই জীবনে, দেখেনি স্বপণ কভু দু-নয়নে।। হৃদয় চিরে দেখো তোমারি ছবি, বড় ভালোবাসি তুবও লাজে মরি। আমারই জীবন শুধুই তোমার, তুমি হীনা সবই যে আধার। এতো কাছে রয়েছো তবু আরো কাছে চাই, এ চাওয়া পাওয়ার যেন কোন শেষ নাই।। হৃদয় চিরে দেখো তোমারি ছবি, বড় ভালোবাসি তুবও লাজে মরি। আমারই জীবন শুধুই তোমার, তুমি হীনা সবই যে আধার।

ভালবাসি তোমার ঐ রোদ্দুর হাসি

ভালবাসি তোমার ঐ রোদ্দুর হাসি দেখে স্বপ্ন কাটে আমার দিবা নিশি, কি হল আজ আমি ভেবে না পাই সব হারালেও শুধু তোমাকে চাই।। সব উপমা শেষে তুমি তুমি আমার একটাই তুমি, কতশত ভুল আজ নিত্য চারিপাশে, ভুলগুলো ফুল হয়ে ফিরে আসে। জোছনার এই রাত জাগে আমারি সাথে দীঘির জলধারা তোমার ছবি আঁকে, কোথায় আমার আজ ঘুম হারাল স্বপ্ন হয়ে তবু দু’হাত বাড়ালো।

কবে

কত কথা ঝরে ছিল এই পথে তবে এত কথা দিয়ে কি হবে যদি নাই দেখি এই পথ চলে যদি নাই থাকি তোমারি হয়ে কবে কথাগুলো গাব সুরে কবে এই কথা? কবে কথাগুলো গাব সুরে কবে এই কথা? আমি ফিরে দেখি ভাঙ্গা আয়নাতে এই শেষ রাতের গল্পগুলোকে মনেরই বন্ধ জানালাতে কথাগুলো আজ হারিয়ে তবে তোমার কথা শুনে কতটা পথ দেখব ঘুরে? কবে কথাগুলো গাব সুরে কবে এই কথা? কবে কথাগুলো গাব সুরে কবে এই কথা? কবে কথাগুলো গাব সুরে কবে কল্পনা আজ পেছনে ফিরে রয় অন্ধ ভুবনে কথাগুলো আজ জড়িয়ে একসাথে অন্য কারো সুরে কবে…কবে…… কবে কথাগুলো গাব সুরে কবে এই কথা? কবে কথাগুলো গাব সুরে কবে……

ঘুমন্ত শহরে

ঘুমন্ত শহরে রূপালী রাতে স্বপ্নের নীল চাদর বিছিয়ে কষ্টের শীতল আবরণ জড়িয়ে আমি আছি আছি তোমার স্মৃতিতে ভালোবাসার সরল বাঁধন ছিঁড়ে চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে মনে পড়ে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথে হেঁটেছি বাঁধা দুটি হাতে দূর আঁধারের ভালোবাসায় হারাতে ছুটেছিলাম সেই রূপালী রাতে এই রাতে সব প্রেম হারিয়েছি অকারণে নিশি ব্যস্ত মানুষ হয়েছি কেমনে সমুদ্র কোলাহলের মনে অবিরাম ক্ষণে নগরের যত বিষাদ আমাকে ভর করে দরজার চৌকাঠকে পিঁড়ি বানিয়ে বিনিদ্র জেগে আছি এই রূপালী রাতে

সাড়ে তিন হাত মাটি

টাকা কড়ি ধন সম্পত্তি অনেক অনেক বাড়ী গাড়ি ঠিকানার ছরাছরি আমি তুমি বারাবারি মরলে সংগে যাবেনা কোনই কিছু তোমার অংশীদারি। ঠিকানা শুধু এক সমাধি সাড়ে তিন হাত মাটি… সংসারে যুদ্ধ চলে কারন হলো জায়গা জমি দেহ ত্যাগ করার পরে স্মৃতি হয়ে যাবে জানি মরলে সংগে যাবেনা কোনই কিছু তোমার অংশীদারি। ঠিকানা শুধু এক সমাধি সাড়ে তিন হাত মাটি… সুখের আশা পৃথিবীতে করে শুধু জানি উপর থেকে ডাক এলে উড়াল দেবে জীবন পাখি মরলে সংগে যাবেনা কোনই কিছু তোমার অংশীদারি। ঠিকানা শুধু এক সমাধি সাড়ে তিন হাত মাটি…

মাধবী

চোখে সানগ্লাস ঠোঁটে হাসি বাঁকা হাসি তার সব কিছুতেই বড় বেশী বাড়াবাড়ি যে চায় সে পায় মাধবী নয় ফুল নয় লতা মাধবী সে নষ্ট নারী রাতের আঁধারে তাকে শুধু দেখা যায় লাল নীল নানান রঙের গাড়িতে দিনের আলোতে তাকে মিশে যেতে দেকা যায় সবার সাথে সবার সাথে কখন কোথায় সে যে কার সে নিজেও তা জানে না সে শুধু জানে দেহের বিনিময়ে খাদ্য চাই খাদ্য চাই যে চায় সে পায় মাধবী নয় ফুল নয় লতা মাধবী সে নষ্ট নারী তাকে সমাজ সভ্যতা এড়িয়ে চলে আইনের শেকল তার পেছনে চলে ধরা পরে ছাড়া পায় ফিরে আসে আবার মানুষের কাছে , মানুষের কাছে নষ্ট নারী কেন তারে বলে সে নিজেও তা জানে না সে শুধু জানে দেহের বিনিময়ে খাদ্য চাই খাদ্য চাই যে চায় সে পায় মাধবী নয় ফুল নয় লতা মাধবী সে নষ্ট নারী নষ্ট সে হয়েছে কাদের ইশারায় দুঃখ অভাব আর ক্ষুধারই জ্বালায় নষ্ট পুরুষ সব কাছে চলে আসে তাদের দুচোখে লোভী দৃষ্টি ভাসে মাধবী জানে না কেমন করে বদলে গেছে সে নষ্ট নারীতে সংসার শান্তি এসব কিছু আর নিলো না মাধবীকে আপন করে যে চায় সে পায় মাধবী নয় ফুল নয় লতা মাধবী সে নষ্ট নারী সময়ের আগে তাকে চলে যেতে হয় প্রানহীন

শূন্য হাতে

হাত বাড়িয়ে যায় না ছোঁয়া চোখ তাড়িয়ে যায় না দেখা। অপোটা অনেক দূরে স্বপ্ন টাকে আঁকড়ে ধরে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরি। প্রতি ক্ষণে তোমার খুঁজি, সকাল দুপুর সাঁঝে আড়াল হয়ে থাক তবু, মেঘের ভাজে। দৃষ্টি আমার থমকে দাঁড়ায়, চেনা পথের বাঁকে বোঝে না সে ভালবাসা, ভালবাসি যাকে।

কালো মেঘ

কালো মেঘ জমেছে আকাশে এখনই অঝরে বৃষ্টি ঝরবে তবু পাই না তোমাকে খুজে পাই না তোমায় পাশে। মেঘ ভেংগে অবিরাম বৃষ্টি ঝরে সেই বৃষ্টির মাঝে একাকি দাড়িয়ে.. সময় কেটে যায়,বৃষ্টিও থেমে যায় আমি হায়,তোমারই অপেক্ষায়। তবু পাই না তোমাকে খুজে পাই না তোমায় পাশে। বৃষ্টি থেমে গেলে মেঘ সরে যায় মেঘ সরে গিয়ে সূর্যটা উকি দেয়.. তবু আমি শুধু ভাবি হয়ত তুমি আসবে এখনই। তবু পাই না তোমাকে খুজে পাই না তোমায় পাশে। কালো মেঘ জমেছে আকাশে এখনই অঝরে বৃষ্টি ঝরবে তবু পাই না তোমাকে খুজে পাই না তোমায় পাশে।

নিকশ আঁধার

নিকশ আঁধার ঘোলাটে অন্ধকার পূর্ণিমা চেয়ে রয় জোনাকির আলো ছায়ায়.. ঝিরঝির বাতাসে পাতারই মড়মড় শব্দ বাজে এসেছো কি তুমি নুপুরের শব্দ সাজে। চরণধব্নি আসে যেন আমার কানে জানালা খুলে যায় প্রিয় ফুলের গন্ধরাজে.. জোৎসনা রাতে আসে যেন আমার পানে আজ রাতেরই শব্দ কেন শুধু আমারই কানে বাজে। সেই মেঘলা দিনের কথা যে মনে পড়ে যায় দুজনে মিলে খেলেছি কত অবেলায়.. মনেরই সব স্বপ্ন দুজনে দুহাতে জড়িয়ে ছড়িয়ে দিয়ে ছিলাম ভালোবাসার প্রান্তরে। কোন ঘূর্ণিঝড়ে ভেংগে দিলো সব আমার.. নিকশ আঁধার ঘোলাটে অন্ধকার পূর্ণিমা চেয়ে রয় জোনাকির আলো ছায়ায়.. ঝিরঝির বাতাসে পাতারই মড়মড় শব্দ বাজে এসেছো কি তুমি নুপুরের শব্দ সাজে। চরণধব্নি আসে যেন আমার কানে জানালা খুলে যায় প্রিয় ফুলের গন্ধরাজে.. জোৎসনা রাতে আসে যেন আমার পানে আজ রাতেরই শব্দ কেন শুধু আমারই কানে বাজে।

ও পাখি

ও পাখি তারে বলে দিস আমার দুচোখে ধারা আর বাধা মানে না কেমনে কাটাই দিনেরাত প্রিয় বিনা হায় যেদিন সেতো গেল চলে জানি না ঘুম কারে বলে ও পাখি পাখি আর অন্য কারো কথা শুনে না ও পাখি তারে বলে দিস আমার দুচোখে ধারা আর বাধা মানে না কেমনে কাটাই দিনেরাত প্রিয় বিনা হায়

সমুদ্রের কিনারে

সমুদ্রের কিনারে থেকে জল বিনে চাতকি মরলো হায়রে বিধি ওরে বিধি ।। তোর মনে কি ইহাই ছিল সমুদ্রের কিনারে থেকে জল বিনে চাতকি মইলো চাতক থাকে মেঘের আসে মেঘ বর্ষাল অন্য দেশে ।। বলো চাতক বাঁচে কিসে ওষ্ঠা গত প্রাণ আকুল হায়রে বিধি ওরে বিধি ।। তোর মনে কি ইহাই ছিল সমুদ্রের কিনারে থেকে জল বিনে চাতকি মইলো বিনে নব ঘন বারি খায়না তারা অন্য বাড়ি চাতকের প্রতিজ্ঞা ভারি ।। যায় যাবে প্রান সেও ভাল হায়রে বিধি ওরে বিধি ।। তোর মনে কি ইহাই ছিল সমুদ্রের কিনারে থেকে লালন বলে বুঝলো না ক্ষন হইল না মোর ভজন সাধন ভুলে সিরাজ সাঁইজী’র চরন ।। তাইতে জনম বৃথা গেল হায়রে বিধি ওরে বিধি বিধিরে………ওরে বিধি হায়রে বিধি ওরে বিধি তোর মনে কি ইহাই ছিল সমুদ্রের কিনারে থেকে জল বিনে চাতকি মইলো ।।

যাও মেঘদূত

যাও মেঘদূত, দিও প্রিয়ার হাতে আমার বিরহলিপি লেখা কেয়া পাতে আমার প্রিয়ার দিরঘ নিশাসে থির হয়ে আছে মেঘ যে দেশেরই আকাশে আমার প্রিয়ার ßান মুখ হেরি ওঠে না চাঁদ আর যে দেশে রাতে পাইবে যে দেশে কুন্তল-সুরভি বকুল ফুলে আমার প্রিয়া কাঁদে এলায়ে কেশ সেই মেঘনা কুলে স্বর্ণলতার সম যার ক্ষীণ করে বারে বারে কঙ্কণ-চুড়ি খুলে পড়ে মুকুল-বাসে যথা বরষার ফুলদল বেদনায় মূর্চ্ছিয়া আছে আঙিনাতে।।

হৃদয়

হদয়ের ঝড়ে আকাশ পাতাল কত ডাকাডাকি সারা রাত্রি তোমার স্বপ্নে নির্ঘুম জেগে থাকি। কত সাধ নিবিড় করে তোমাকে ভালোবাসি তোমারই জন্যে আমার এত কান্না হাসি.. কেন যে মনে হয় বোঝো না আমাকে তোমারই কারণে ফিরিয়ে দিলাম পৃথিবীকে। হদয়ের ঝড়ে আকাশ পাতাল কত ডাকাডাকি সারা রাত্রি তোমার স্বপ্নে নির্ঘুম জেগে থাকি। কত সাধ নিবিড় করে তোমাকে ভালোবাসি তোমারই জন্যে আমার এত কান্না হাসি.. কেন যে মনে হয় বোঝো না আমাকে তোমারই কারণে ফিরিয়ে দিলাম পৃথিবীকে। স্বপ্নের বুকে আকাশ নদীর কত মাখামাখি ঘুম হারা এ দুচোখে তুমিও দেখো নাকি.. মন চায় তোমায় নিয়ে অনূভবে ভাসি তোমারই জন্যে আমার এত কান্না হাসি। কেন যে মনে হয় বোঝো না আমাকে তোমারই কারণে ফিরিয়ে দিলাম পৃথিবীকে।

হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে

হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে কুড়াই ঝরা ফুল একেলা আমি তুমি কেন হায় আসিলে হেথায় সুখের সরব বইতে নারি। চারিপাশে মোর উড়িছে কেবল শুকানো পাতা মলিন ফুলদল। বৃথায় কেন হায় তব আঁখিজল ছিটাও অবিরল দিবসজামি।। এলে অবেলা পথিক বে’ ভুল বিধিছে কাঁটা নাহি পাবে ফুল। কি দিয়ে বরণ করিও চরণ নিভিছে জীবন জীবনস্বামী।।

আমি খোলা জানালা

আমি খোলা জানালা তুমি ওই দখিনা বাতাস আমি নিঝুম রাত তুমি কোজাগরি আকাশ ।। উধাও সাগর তুমি অঢেল নীলে আমি অস্তরাগ শেষ বিকেলে তুমি কথা না রাখা নিরালা দুপুর আমি বিমনা অবকাশ ।। শুধুই ছবি আমি ধুলোয় ঢাকা তুমি চলমান সুর স্বপ্ন মাখা তুমি কাছে না থাকা খেয়ালী সুদুর আমি বিরহী ইতিহাস আমি খোলা জানালা তুমি ওই দখিনা বাতাস আমি নিঝুম রাত তুমি কোজাগরি আকাশ

জানলা খোলা

জানলা খোলা দেখে থমকে দাড়ালো দুষ্টু হাওয়ায় উড়া এলোমেলো সুর.. আমার কানে কিছু বলতে এলো সে হাতছানি তার অজানায় বহুদূর। শাওন মেঘের দেয়া বৃষ্টি যেখানে পড়ে ভেজা সেই মাঠে গান গাওয়া.. টুকরো সূখের দেয়া একটু আদর ছুঁয়ে অভিমান জলে ভেসে যাওয়া। বলতে না পারা কথা বলে গেলো সেই সূর.. ভাসলো আকাশ অজানায় বহুদূর। জানলা খোলা দেখে থমকে দাড়ালো দুষ্টু হাওয়ায় উড়া এলোমেলো সুর.. আমার কানে কিছু বলতে এলো সে হাতছানি তার অজানায় বহুদূর। তোমার আমার কাছে সূর আসে মাঝে মাঝে ফিরে আসে সেই চেনা হাওয়া.. বলে যায় আজও যেন কিছুটা সময় আছে পরে আছে কত চাওয়া পাওয়া। য্তদিন পারো তুমি বুকে টেনো এই সূর.. ডাকবে আকাশ অজানায় বহুদূর। জানলা খোলা দেখে থমকে দাড়ালো দুষ্টু হাওয়ায় উড়া এলোমেলো সুর.. আমার কানে কিছু বলতে এলো সে হাতছানি তার অজানায় বহুদূর।

স্বপ্নকথা

যদি কখনো রোদ হাসে তোমার আকাশে যদি কখনো বৃষ্টি ভেজায় তোমার চুল.. রাতের তারাগুলো যদি জ্বলে থাকে ভুলে যেওনা আমার স্মৃতি ছেড়ে যেওনা আমায় একা ফেলে। যদি কখনো রোদ হাসে তোমার আকাশে যদি কখনো বৃষ্টি ভেজায় তোমার চুল.. আমার ধূসর স্বপ্নে রঙের ছটা আধার আকেঁ আলোর অভাব.. যখন তোমার অনূভব আমার মাঝে সাগরের কূলে মিশে যাবো একসাথে। ভুলে যেওনা আমার স্মৃতি ছেড়ে যেওনা আমায় একা ফেলে। স্বপ্নবিভোর তুমি যখন থাকো জানালার পাশে বসে.. চাঁদ ঐ ঈর্ষে করে তোমায় দেখে জোছনার রাতে পাড়ি দেবো আনন্দে। ভুলে যেওনা আমার স্মৃতি ছেড়ে যেওনা আমায় একা ফেলে। যদি কখনো রোদ হাসে তোমার আকাশে যদি কখনো বৃষ্টি ভেজায় তোমার চুল.. যদি ভুলে যাও যদি ভুলে যাও যদি যদি ভুলে যাও যদি ভুলে যাও যদি..

নদীর নাম ময়ুরাক্ষী

নদীর নামটি ময়ূরাক্ষী কাক কালো তার জল কোন ডুবুরি সেই নদীটির পায়নি খুজেঁ তল.. নদীর নামটি ময়ূরাক্ষী কাক কালো তার জল কোন ডুবুরি সেই নদীটির পায়নি খুজেঁ তল । তুমি যাবে কি ময়ূরাক্ষীতে হাতে হাত রেখে জলে নাওয়া.. যে ভালোবাসার রং জ্বলে গেছে সেই রংটুকু খুজেঁ পাওয়া। সখী কারে ভালোবাসা কারে কয়.. নদীর জলে ভালোবাসা খোজার কোন অর্থ কি হয়। কণ্যা আমার কথা শোনো নদীর প্রান্তরে বন জংগলে..ভালোবাসা নেই কোন । ভালোবাসা থাকে চোখের মাঝে চোখে চোখে শুধু চাওয়া.. তাই চোখের জলে তোমার আমার ভালোবাসা খুজেঁ পাওয়া। সখী কারে ভালোবাসা কারে কয়.. নদীর জলে ভালোবাসা খোজাঁর কোন অর্থ কি হয়।

আজ এই মেঘে ঢাকা রাত

আজ এই মেঘে ঢাকা রাত..স্তব্ধতায় ভাবি আঁধারে সে তো চলে যায়..নীরবে কাঁদি। স্মৃতিগুলো ডেকে যায় আজ আমারে কাঁদায় দোষগুলো শুধুই কি আমার। বলো কি বা অপরাধ আমি ভেংগে দেবো আজ সবই.. ফিরে এসো আহত হদয়ে চাই ফিরে সেদিন,কোথায় তুমি হারালে। নিঝুম রাতে তুমিও কি ভাবছো আমারই মত একাকী জানালায়। আজও পথ চেয়ে রই..আসবেই ফিরে রেখেছি সব আদর আমার..তোমারই তরে। আজ এই মেঘে ঢাকা রাত..স্তব্ধতায় ভাবি আঁধারে সে তো চলে যায়..নীরবে কাঁদি। স্মৃতিগুলো ডেকে যায় আজ আমারে কাঁদায় দোষগুলো শুধুই কি আমার। বলো কি বা অপরাধ আমি ভেংগে দেবো আজ সবই.. ফিরে এসো আহত হদয়ে চাই ফিরে সেদিন,কোথায় তুমি হারালে। নিঝুম রাতে তুমিও কি ভাবছো আমারই মত একাকী জানালায়। ফিরে এসো..

কথা

কি হবে আর কথা বলে এখনই তো যাবে চলে.. তবে থাক তোলা থাক না বলা কথা আমি রবো একা কেবলই..একা। যাও দূরে দেখো না তো ফিরে তবে থাক তোলা থাক না বলা কথা আমি রবো একা কেবলই..একা। কি হবে আর কথা বলে এখনই তো যাবে চলে.. তবে থাক তোলা থাক না বলা কথা আমি রবো একা কেবলই..একা। বলবে কি কথা যত সবই জানা কথার প্রাচীর ভেংগে দাও.. ভুলে যাও মিছে ভালোবাসার দেনা বিষাদের গোধূলি ঢেকে দাও। যাও দূরে দেখো না তো ফিরে তবে থাক তোলা থাক না বলা কথা আমি রবো একা কেবলই..একা। নিরবে জমে উঠা কত কথা চোখের পাতায় সাজানো.. সে ছবি চেয়ে দেখো না অযথা দেখো না ফিরে তো কখোনো। যাও দূরে দেখো না তো ফিরে তবে থাক তোলা থাক না বলা কথা আমি রবো একা কেবলই..একা। কি হবে আর কথা বলে এখনই তো যাবে চলে.. তবে থাক তোলা থাক না বলা কথা আমি রবো একা কেবলই..একা।

এই যে আমি

কতদিন কেটে গেলো তোমায় না দেখে কতরাত পার হলো তোমায় পাশে না পেয়ে.. মাঝে মাঝে মনে হয় যদি দেখাতে পারতাম কতো ভালোবাসি তোমাকে। যেদিকে তাকাই সেদিকে দেখি তোমার সেই প্রতিচ্ছবি.. মনে পড়ে যায় যে বৃষ্টিতে প্রথম ভালোবাসেছিলাম তোমায়। আধারে ঘেরা আমার এই দুনিয়ায় আলো দিয়ে ভরে দিলে তুমি.. ঘোলাটে মেঘলা আকাশে আমার রংধনু হয়ে এলে তুমি। জানলার পাশে যখনই রাগ করে কাদতে বুঝতে পারিনি জমে কতরাগ সেই বুকে.. সময়ের কাটাঁ যদি ঘুরিয়ে দিতে পারতাম দেখতে আমার আদর কিভাবে। জরিয়ে তোমায় হদয়ে রেখে..কষ্ট গুলো মুছে দিয়ে তুমি আমার ভোরেরই আলো তোমাতেই বেধে নিলে। শুধু তোমায় কাগজে লিখে সাজিয়েছি কবিতায় কবিতায়.. জোছসার রাত আর সবকিছু আজ তোমার সেই প্রতিক্ষায়। যেদিকে তাকাই সেদিকে দেখি তোমার সেই প্রতিচ্ছবি.. মনে পড়ে যায় যে বৃষ্টিতে প্রথম ভালোবাসেছিলাম তোমায়। আধারে ঘেরা আমার এই দুনিয়ায় আলো দিয়ে ভরে দিলে তুমি.. ঘোলাটে মেঘলা আকাশে আমার রংধনু হয়ে এলে তুমি। কেদো না দেখো এই যে আমি..হাত তোমার ধরে রেখেছি আপ্পি তুমি আমার আপ্পি..চোখ খুলে দেখো এই যে..

নদীতে তুফান এলে

নদীতে তুফান এলে মন ভেংগে যায় সহজেই তাকে দেখা যায় মনেতে তুফান এলে বুক ভেংগে যায় দেখানোর নেই যে উপায় ।। ফুলে তে ফাগুন এলে ফোটে সে আগুন জেলে ডালে ডালে পাতায় পাতায় ।। মনেতে ফাগুন এলে মন জ্বলে যায় দেখানোর নেই যে উপায় ।। নদীতে তুফান এলে ……… আকাশে চাঁদনী আসে আলোতে ভুবন ভাসে দিকে দিকে সে আলো ছড়ায় ।। মনে তে চাঁদনী এলে মন আলো পায় দেখানোর নেই যে উপায় ।। নদীতে তুফান এলে …. দেখানোর নেই যে উপায় ।।

লুকোচুরি

এভাবে আরে ডেকোনা বাঁকা চোখে চেয়ো না ক্ষরণ হয়ে যাবো আমায় খুঁজে পাবে না লুকোচুরি খেলো না দিও না যাতনা মান অভিমান ভুলে আমায় কাছে ডাকো না প্রেম যমুনার মাতাল ডিংগায় আমায় পার করো না ঘুরে ঘুরে দিশেহারা হলাম আমি দিওয়ানা সাঁঝের আধার ভাংগা তোমার শীতল মায়ায় সোহাগের শিহরণে মায়াডোরে বাঁধো না লুকোচুরি খেলো না দিও না যাতনা মান অভিমান ভুলে আমায় কাছে ডাকো না প্রেম যমুনার মাতাল ডিংগায় আমায় পার করো না ঘুরে ঘুরে দিশেহারা হলাম আমি দিওয়ানা দখিনা হাওয়া দোলে এলোমেলো তোমার চুলে বৃষ্টির অঝোর ধারায় আমায় সিক্ত করো না লুকোচুরি খেলো না দিও না যাতনা মান অভিমান ভুলে আমায় কাছে ডাকো না প্রেম যমুনার মাতাল ডিংগায় আমায় পার করো না ঘুরে ঘুরে দিশেহারা হলাম আমি দিওয়ানা এভাবে………হলাম আমি দিওয়ানা .

কি নেশা

রাতেরই এ আঁধারে অজানা ছোয়া মায়াবী চোখে কি মায়া যেন গোধুলী আবীর মাখা ।। কি নেশা ছড়ালে কি মায়ায় জড়ালে ।। চোখে চোখে চেয়ে এভাবে কবে হবে বলো কথা বলা আবেগী মন বাঁধা মানে না তুমি ছাড়া কিছু চাই না কি নেশা ছড়ালে কি মায়ায় জড়ালে ।। জানি তুমি আছো একা তবে কেন বলো দূরে থাকা সময় তো থেমে থাকে না দ্বিধা ভেংগে কাছে এসো না কি নেশা ছড়ালে কি মায়ায় জড়ালে ।। রাতেরই এ আঁধারে অজানা ছোয়া মায়াবী চোখে কি মায়া যেন গোধুলী আবীর মাখা ।।

ভালবাসার উৎসবে

রাতের চোখে দেখো চেয়ে জোছনার অভিপ্রায়ে নেশাতুর মন আমার খুঁজছে তোমায় শুন্যতা বুকে নিয়ে মৌনতা ভেংগে দিয়ে একাকীনি মন আমার ভাবছে তোমায় এসো তবে অনুভবে ভালবাসার উৎসবে রূপালী মন মাতাল হবে বিমুগ্ধতায় ভাবছো কি রাত জেগে জেগে অচেনা কোনো বিকেল কাঁপছে কি থরো থরো খুব অজানায় আঁকছো কি ফুল রঙ তুলিতে মন উদাসী ক্ষন গুলিতে …………বুক জুড়ে ঝড় হয়ে যায় এসো তবে অনুভবে ভালবাসার উৎসবে রূপালী মন মাতাল হবে বিমুগ্ধতায় শুনছো কি সুর নীরবতায় অজানা ডাকে হারাবার বসছো কি নীল চেয়ারটাতে ঝুল বারান্দায় দেখছো কি বিমুর্ত ছায়া অন্ধকারে অন্য কায়া ভাবনা কি দূরদেশে হারিয়ে যাবার এসো তবে অনুভবে ভালবাসার উৎসবে রূপালী মন মাতাল হবে বিমুগ্ধতায়

হায়রে বৃষ্টি হায়রে হায়

হায়রে বৃষ্টি হায়রে হায় আয়রে মেঘ আয় হায়রে হায়।। চারিদিকে দেখো থৈথৈ পানি পানির নাইরে শেষ অতি বৃষ্টির পাল্লায় পড়ে বন্যায় ভাসে দেশ পানির তোড়ে যায়রে ভেসে হাজারো ঘর-বাড়ি সাধের সংসার নিয়ে কেহ নৌকাতে দেয় পাড়ি আবার এরই মধ্যে সখ করে কেউ ডাইল খিচুড়ি খায়। হায়রে বৃষ্টি হায়রে হায় আয়রে মেঘ আয় হায়রে হায়। সবাই জানে একটুখানি বৃষ্টি হয় যদি ঢাকা শহরের রাস্তা-ঘাট হয়ে যায়রে নদী ম্যানহোলের ঢাকনাটা খোলা যায়না কিছু বুঝা একবার যে পড়েছে সে জানে উঠা নয় সোজা হায় যানজটে জলজটে পড়ে যাত্রীদের জান যায়। হায়রে বৃষ্টি হায়রে হায় আয়রে মেঘ আয় হায়রে হায়। চলচ্চিত্রে বৃষ্টির সিন ধরে ক্যামেরায় নকল বৃষ্টিতে নায়িকারে ভিজায় সিনেমায় শ্রাবণ মাসে ছিদ্র থাকে যাদের ঘরের চালা দুনিয়াতে তারাই জানে মেঘ-বৃষ্টির কি জ্বালা তাই দুঃখের বৃষ্টি চায়না মনে সুখের বৃষ্টি চায়। আয়রে বৃষ্টি আয়রে আয় আয়রে সুখের বৃষ্টি আয়।

গিটার কাঁদতে জানে

ছয়টি তারে লুকিয়ে আছে ছয় রকমের কষ্ট আমার।। ফুরিয়ে যাওয়া মানুষের মত নির্ঘুম রাত জেগে জেগে গিটার কাঁদতে জানে গিটার কাঁদতে জানে। অভিমানী একটি তারের নিজ চোখের মত চিরদুখী একটি তারের বুকটা জমাট ক্ষত। ফুরিয়ে যাওয়া মানুষের মত নির্ঘুম রাত জেগে জেগে গিটার কাঁদতে জানে গিটার কাঁদতে জানে। একা নামের একটি তারের সুখের একটু পাশে পরবাসী তারটি বড় বিষাদ ভালোবাসে। ফুরিয়ে যাওয়া মানুষের মত নির্ঘুম রাত জেগে জেগে গিটার কাঁদতে জানে গিটার কাঁদতে জানে। ছয়টি তারে লুকিয়ে আছে ছয় রকমের কষ্ট আমার।। ফুরিয়ে যাওয়া মানুষের মত নির্ঘুম রাত জেগে জেগে গিটার কাঁদতে জানে গিটার কাঁদতে জানে।

ধ্রুব তারা

রাতের আকাশের নিশ্চুপ সাক্ষী দূরের ঐ ধ্রুব তারা কতটা বেসেছি ভালো শুধু মন জানে এ হৃদয় জানে।। জানি তুমি আর ফিরবে না নিভে যাওয়া দ্বীপ জ্বালাবেনা আর প্রতি নিঃশ্বাসে কষ্ট ধরে বেঁচে থাকা দায় তোমাকে ছাড়া দূরের ঐ ধ্রুব তারা … এ জীবনে তুমি আমার হবে না নিয়তি কি তবে এভাবে লেখা কেন এ জীবন ছন্নছাড়া স্বাক্ষী তো তুমি প্রিয় ধ্রুব তারা দূরের ঐ ধ্রুব তারা …

মাঝি

হেইয়াহো। হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়াহো। হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়াহো। হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়াহো। হেইয়াহো। মাঝি তোর রেডিও নাই বইলা জানতেও পারলি না আইতাছে ভাইঙ্গা এত বড় ঢেউ সারা বাংলাদেশ জানলো মাঝি তুই তো জানলি না রে। মাঝি তোর রেডিও নাই বইলা জানতেও পারলি না আইতাছে ভাইঙ্গা এত বড় ঢেউ সারা বাংলাদেশ জানলো মাঝি তুই তো জানলি না রে। মাঝি তোর রেডিও নাই বইলা জানতেও পারলি না। হেইয়াহো। হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়াহো। হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়াহো। হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়াহো। হেইয়াহো। পইড়া খবর পত্রিকাতে বুক ভাইসা যায় চোখের জলে দেখতাছি যে টেলিভিশনে ভাইসা গেছে সাগর জলে কুকুর গরু বাছুরের মাঝে উলঙ্গ তোর দেহ খানা। মাঝি তোর রেডিও নাই বইলা জানতেও পারলি না আইতাছে ভাইঙ্গা এত বড় ঢেউ সারা বাংলাদেশ জানলো মাঝি তুই তো জানলি না রে। মাঝি তোর রেডিও নাই বইলা জানতেও পারলি না। হেইয়াহো। হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়াহো। হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়াহো। হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়ো হেইয়াহো। হেইয়াহো। দেইখা ভীষণ অবাক লাগে বড় মানুষ বড় মুখে তারাই নাকি বড় হোটেলে তোর কারনেই তোরই দ

কেন চলে গেলে দূরে

কেন চলে গেলে দূরে ভাসায় মোরে সুরে কেন ফিরে এলে না আবার বাড়াতে দুঃখের বার কেন চলে গেলে দূরে ভাসায় মোরে সুরে কেন চলে গেলে দূরে বেদনার রংধনু চেয়েছিল মোর অন্তর দুঃখের সুখের ঘর বাঁধিনু বাঁধিনু হৃদয়ে প্রান্তর। আজ এই ঝড় এসে বাধন গেছে চুটে অসীমতার দুঃখ আর অনন্ত পারাপার।।

স্বার্থপর (চলে যদি যাবি দূরে স্বার্থপর)

চলে যদি যাবি দূরে স্বার্থপর আমাকে কেন জোছনা দেখালি হবি যদি নাও ভাসিয়ে দেশান্তর পাথরের বুকে ফুল কেন ফোঁটালি। আমারই সীমানায় সে তো তোর ছায়া সেখানে করে বিচরণ দুঃখের নিবাস রাখিস কি খবর তোর আঘাতেই জমে গেছে নীল আকাশের জমিনে নীল বেদনা।। জানি না কোন প্রহরে হয়েছিলো যে পরিচয় কি পেলাম কি হারালাম সে তো এক সংশয় নীরব এ আড়াল থেকে করেছি যে সব পরিণয় সেই তুমি হারালে ঠিকই সেকি নয় বিষ্ময় আমারই সীমানায় সে তো তোর ছায়া সেখানে করে বিচরণ দুঃখের নিবাস রাখিস কি খবর তোর আঘাতেই জমে গেছে নীল আকাশের জমিনে নীল বেদনা। আঁধার এর অন্তরালে বসে যতবার ভেবেছি শূণ্যতারই হাহকার একাকী শুনেছি তোমারই আঁখি পটে আকাশের নীল দেখেছি সে তো বিবর্ণ হবে কখনো ভাবিনি।।

সবাই বলে যত সর্বনাশের মুল

সবাই বলে যত সর্বনাশের মুল সে নাকি আমারই এই ভ্রমর কাল চুল।। সে চুলে তুললে বাতাস ঢেউ পারে না সইতে বুঝি কেউ। তখনই সাধ নাকি হয়। করতে আবার ভালবাসার ভুল।। সে চুলে বন্দি গহীন রাত সবার তাই স্বপ্ন দেখার সাধ। বুঝি না তাই কী হারাই। সেই আধারে সবার মনের ফুল।।

তুমি জানলে না

তুমি জানলে না আমার হাসির আড়ালে কত যন্ত্রণা, কত বেদনা কত যে দুঃখ বোনা ।। পাহাড়ের কান্নাকে ঝর্ণা সবাই বলে সেই ঝর্ণা ধারায় পাহাড় কষ্টের নদী বয়ে চলে আমাকে দেখেছো তুমি দেখনি এই হৃদয় অনিশ্চয়তার আগুনে পুরে হয়ে গেছে তা ক্ষয় এতদিন পাশে থেকেও আহা আহাহা বুঝনি পাথরের নীরবতা তুমি জানলে না। তুমি জানলে না আমার হাসির আড়ালে কত যন্ত্রণা, কত বেদনা কত যে দুঃখ বোনা তুমি জানলে না।।

মাতওয়ালী

মায়াবি মাতওয়ালী চাঁদ রূপওয়ালি হিজাবের আড়ালে কি ঝলক দেখালি [ও মাতওয়ালি কি ঝলক দেখালি তোর রূপের দেওয়াইন্যা বানাইলি] দৃষ্টিতে তোমার আছে যাদু গোলাপ রাঙা ওই ঠোঁটেতে মধু এক দেখাতেই নজর কাড়িলি হিজাবের আড়ালে কি ঝলক দেখালি [ও মাতওয়ালি কি ঝলক দেখালি তোর রূপের দেওয়াইন্যা বানাইলি] পারিনা বোঝাতে এই মন টাকে তোমাকে চাই আপন করে নিতে হিজাবের আড়ালে কি ঝলক দেখালি [ও মাতওয়ালি কি ঝলক দেখালি তোর রূপের দেওয়াইন্যা বানাইলি] ভাবি গো তোমায় দিবা নিশি কেমনে বোঝাই কত ভালবাসি প্রেমে ডুবাই দেওয়াইন্যা বানাইলি হিজাবের আড়ালে কি ঝলক দেখালি [ও মাতওয়ালি কি ঝলক দেখালি তোর রূপের দেওয়াইন্যা বানাইলি]

ওগো সোনার মেয়ে যাও গো শুনে

ওগো সোনার মেয়ে যাও গো শুনে মৃদু কাকনের রিনিঝিনি বাজিয়ে এসো কোমল পদভরে আমার কপোলে মৃদু পরশ বুলিয়ে শুধু যাও গো বলে ওগো দুষ্টু ছেলে আমি শুনবো না গো তুমি আমার স্বপনে কেন আস গো চুপি চুপি এসে কভু বলবো না গো সেই গোপন কথাটি যাও যাও গো চলে।। তুমি হেসে হেসে কথা বল যবে মনের গহনে এক মাধুরী জাগে কোন মধুর লাজে আমি চুপটি বসে শরমে লুকায়ে আঁখি অনুরাগে আকূল করা এই ব্যাকুলতা। মনের মাঝারে এলো রঙ ছড়িয়ে প্রিয় যাও গো শুনে, আমি শুনবো না গো তুমি আমার স্বপনে কেন আস গো চুপি চুপি এসে কভু বলবো না গো সেই গোপন কথাটি যাও যাও গো চলে।। অনেক কিছুই তো হলো যে বলা এর চেয়ে বেশী কিছু বলবো না গো আসল কথাটি তো হলো না বলা রাত জাগা চোখে ঘুম আসবে না গো আকূল করা এই ব্যাকুলতা। হৃদয় আমার কেন দিলে রাঙ্গিয়ে ওগো দুষ্টু ছেলে আমি শুনবো না গো তুমি আমার স্বপনে কেন আস গো চুপি চুপি এসে কভু বলবো না গো সেই গোপন কথাটি যাও যাও গো চলে।।

একটি মনের আশীষ তুমি

একটি মনের আশীষ তুমি কাছে যখন এলে। নিলেম তোমায় নিবিড় করে মনের মাঝে তুলে।। মেঘলা চোখের দৃষ্টি তোমার আনলো যে আজ শপথ আবার। চলার পথে আলোর মানিক ছড়িয়ে যেন ফেরে।। ছন্দময়ী বন্ধু বেশে থাকবে তুমি আমার পাশে। চাওয়া পাওয়ার হিসেব কষে নাইবা কিছু দিলে।।

পাগল তোর জন্যরে পাগল এ মন পাগল

Image
পাগল তোর জন্যরে পাগল এ মন পাগল। মুখে বলি দূরে যা মন বলে থেকে যা দূরে গেলে মন বোঝে তুই কত আপন।। মুখ বলে এই দূরে গেলে তুই বেশী কিছু আর হবে কি মেঘ ঢাকা দিন চলে গেলে দেবে চাঁদ উঁকি রাতে যখন ওঠে চাঁদ ছুঁতে চাই কেন তোরই হাত। সারাক্ষণই যাস ছুঁয়ে তুই আমার এ মন।। মরি ভেবে হায় উথাল পাতাল এই মনের ভেতরে কি আছে কেন এমন হয় দূরে গেলে তুই চাই কাছে নির্ঘুম কেন কাটে রাত কেন শুধু আর্তনাদ। প্রতিদিন কেন তোকে ভেবে এই হৃদয় ক্ষরণ।। মুখে বলি দূরে যা মন বলে থেকে যা। দূরে গেলে মন বোঝে তুই কত আপন পাগল তোর জন্যরে পাগল এ মন পাগল।।

মন আমার পাথরের দেয়াল সে এক

মন আমার পাথরের দেয়াল সে এক যত আঘাত কর সব সহ্য করেই যাবে মন আমার তুমি যত দুরে যাও আজীবন তোমাকে ভালবেসে তবু যাবেই কত ভালবাসা তোমার জন্য রাখা সে কথা তুমি যদি জানতে বুক চিরে দেখাতে পারলে লুকিয়ে চোখ তুমিও কানতে। ভালবাসা আমার সুদৃশ্য কাঁচ তো নয় একটু আঘাতে চূর্ণ সে হবেই। এই ভালবাসা গোলাপের পাপড়ি নয় একটু বাতাসে ঝরে কেন যাবে ? ।। কত ভালবাসা তোমার জন্য রাখা সে কথা তুমি যদি জানতে বুক চিরে দেখাতে পারলে লুকিয়ে চোখ তুমিও কানতে। এই ভালবাসা গিটারের শুরে বাঁধা নেওন’এর শুর সে তো তুলে যাবেই। মনের মিছিল এতটা ছোট নয় তোমার সামনে স্লোগান সে দেবেই ।। কত ভালবাসা তোমার জন্য রাখা সে কথা যদি তুমি জানতে বুক চিরে দেখাতে পারলে লুকিয়ে চোখ তুমিও কানতে।

ও বন্ধু লাল গোলাপী

ও বন্ধু লাল গোলাপী, ও বন্ধু লাল গোলাপী কই রইলা রে, এসো, এসো বুকে রাখবো তোরে এসো, এসো বুকে রাখবো তোরে (২) তুমি বন্ধু হইলে আমার নাইতো কিছু বাকি চাওয়ার তুমি আমি দু’জন মিলা সাজাইবো সুখের সংসার আরে সাজাইবো সুখের সংসার তোমারে পাইলে সখি, তোমারে পাইলে সখি হইতরে এসো, এসো বুকে রাখবো তোরে এসো, এসো বুকে রাখবো তোরে ফুলশয্যা সাজাইবো, ফুলশয্যা, প্রেম দশা খেলাইবো আমার মনের যত্ত আশা সবি মিটাইবো মিটাইবো, আরে আশা সবি মিটাইবো রাখিব তোরে আমার, রাখিব তোরে আমার আদরে এসো, এসো বুকে রাখবো তোরে এসো, এসো বুকে রাখবো তোরে ।।

কোন এক সুন্দরী রাতে

কোন এক সুন্দরী রাতে রঙ্গিন খামে লেখা তোমার চিঠির মত চাঁদ জোছনায় সাজিয়ে ছিল আমার প্রহর আমি নিঃঘুম সেই রাত হয়েছিল ভোর।। জোনাকীরা দূর বনে আলো আধারেতে বিষন্ন আলো জ্বেলে জেগেছিল সাথে। তুমি ছিলে না সেই দুঃখ যেন দিয়ে গেছে আজানা দূরের খবর নিঃঘুম সেই রাত হয়েছিল ভোর ঘর ছাড়া মন যেন ময়ূরী পাখায় নিঃসঙ্গ ভেসে চলে দূর অজানায়। তুমি এলে না তাই *** বাঁশী নিয়ে গেছে সাজানো সুখের ***।।

সময় যেন কাটে না

সময় যেন কাটে না বড় একা একা লাগে এই মুখর জনারণ্যে বিরহী বাতাস বহে শুধু তোমার জন্যে।। চেনা দিনগুলো ভীষন অচেনা মনে হয় তুমি কাছে নেই বলে সুখী দিনগুলো বেদনাবিদুর হয়ে যায় তুমি পাশে নাই বলে।। সময় যেন কাটে না…..।। শীতের সকাল আগের মত নেই আর তুমি কাছে নেই বলে মেঘলা দুপুরে পায়েলের ধ্বনি নেই আর তুমি পাশে নাই বলে। সময় যেন কাটে না…..।।

চন্দ্র সূর্য সবই আছে আগেই মতই

চন্দ্র সূর্য সবই আছে আগেই মতই নদীতে ঢেউ উঠে কতই আগের মতই এই তুমি শুধু সেই তুমি নেই সেই তুমি নেই, সেই তুমি নেই।। পৃথিবী হাজার বদল হোক ভেবেছি বদলাবে না তোমার দুটি চোখ। পৃথিবী তো চলছে ঠিকই তারই নিয়মে তুমি শুধু হায়, সেই তুমি নেই।। জীবনে হাজার উঠুক ঝড় ভেবেছি ভাংবে না এ ভালবাসার ঘর। কান্না হাসি থাকবেই তো সবার জীবনেই তুমি শুধু হায়, সেই তুমি নেই।।

সেই চম্পা নদীর তীরে

সেই চম্পা নদীর তীরে দেখা হবে আবার যদি ফাগুন আসে গো ফিরে।। সেই ঝর্ণা ঝরা গায়ের পাশে নূপুর পায়ে রাত্রি আসে। হয়ত ফেরে শ্রান্ত পাখি পালক ঢাকা নীড়ে।। সেই ঝর্ণা ঝরা গায়ের পাশে চম্পা নদীর পাড়ে ভালবাসি যার দুটি চোখ হারিয়ে এলাম তারে। আবার যদি আসে ফাগুন শিমুল শাখায় লাগে আগুন। তখন আবার স্বরণ করো অচিন সাথীটিরে।।

একটি মনের দাম দিতে গিয়ে

একটি মনের দাম দিতে গিয়ে জীবন চলার পথটি হারিয়ে কি আমি পেলাম।। কত যে কথা ছিল এই মনে অচেনা মনের নিরব টানে। আশায় আশায় কেন হারালাম কি আমি পেলাম।। মনে হয় তারে আমি পাব না দেবার তো বাকী আর কিছু নেই গরমিল হয়ে গেল হিসেবেই পথ হারা আমি সেই ভাবনা কত যে ভেবে চলেছি পথে অজানা সে মন মনের সাথে। মায়ায় মায়ায় কেন জড়ালাম।।

চোখের পানি দেখে যে ভুললো না

চোখের পানি দেখে যে ভুললো না। মিষ্টি কথায় সে কী ভুলবে কুর্শিকাঁটা দিয়ে রুমালে ফুল তুলে দিয়েছিলে যারে গিয়েছো তারে ভুলে। দূরে থেকে কাছে এসে দূরে গেল চলে কেন চলে গেল বললো না, বললো না কেন চলে গেল বললো না।। সূর্যমুখীর মত চেয়ে থাকি অবিরত ভালবেসে ছুয়ে গেলে মুছে যাবে দুঃখ যত। আজো আমি তারই আছি তার আশাতে বাঁচি এই কথা জেনেও টললো না, টললো না এই কথা জেনেও টললো না।।

আমি তো মরে যাবো

আমি তো মরে যাবো আমি তো মরে যাবো চলে যাবো রেখে যাবো সবই আছস নি কেউ সঙ্গের সাথী সঙ্গে নি কেউ যাবি আমি মরে যাবো।।। মরার সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যাবে কান্নাকাটির ভিড় সবাই মোরে মাটি দিতে হইবে অস্থির।। আমায় দেবে মাটি আমায় দেবে মাটি ভুল ত্রুটি চেয়ে নেবে ক্ষমা কেউবা এসে হিসাব করবে কোন ব্যাংকে কি জমা? আমি মরে যাবো। আমি তো মরে যাবো চলে যাবো রেখে যাবো সবই আছস নি কেউ সঙ্গের সাথী সঙ্গে নি কেউ যাবি আমি মরে যাবো। মরে যাবো রেখে যাবো দুনিয়ার সম্পদ সেই সম্পত্তি ডেকে আনবে আপদ আর বিপদ।। সম্পদ ভাগের জন্য সম্পদ ভাগের জন্য মন মালিন্য হবে সুত্রপাত একজনকে করবে আরেকজন আঘাত অপবাদ আমি মরে যাবো। আমি তো মরে যাবো চলে যাবো রেখে যাবো সবই আছস নি কেউ সঙ্গের সাথী সঙ্গে নি কেউ যাবি আমি মরে যাবো। গানের ছন্দে মন আনন্দে মাথা ঝোলাও তালে বুঝলি না কি অন্ধ মানুষ গায়কে কি বলে।। সবার হাতে ধরি সবার হাতে ধরি পায়ে পড়ি বেঁধে নাও সামান কিতাবে কয় ওপারের ডাক ভয়ঙ্কর নিদান আমি মরে যাবো। আমি তো মরে যাবো চলে যাবো রেখে যাবো সবই আছস নি কেউ সঙ্গের সাথী সঙ্গে নি কেউ যাবি আমি মরে যাবো।।।

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না- সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি। কান্নাহাসির বাঁধন তারা সইল না- সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।। আমার প্রাণের গানের ভাষা শিখবে তারা ছিল আশা- উড়ে গেল, সকল কথা কইল না- সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।। স্বপন দেখি, যেন তারা কার আশে ফেরে আমার ভাঙা খাঁচার চার পাশে- সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।। এত বেদন হয় কি ফাঁকি। ওরা কি সব ছায়ার পাখি। আকাশ-পারে কিছুই কি গো বইল না- সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।।

শাহবাগ তোমার আওয়াজ

“কিলোমিটারে বার হাজার আর মাইলে হাজার সাত। এত দূর থেকেও সাথে আছি জেনো স্বপ্নের শাহবাগ।। পাহাড়া দিচ্ছি তোমার শরীর তোমার আত্মাটাও শাহবাগ তুমি শত কুয়াশায় এবার পথ দেখাও। কত শোষণ আর কত অপমান মুখ বুজে সয়ে সয়ে তোমায় নিয়েই রুখতে আমি দাঁড়াই নির্ভয়ে। আশার যে দীপ জ্বেলেছো তুমি নিভবে না তো আর শাহবাগ তুমি প্রাণে প্রাণে আজ খুলেছো নতুন দ্বার। ভেদাভেদ ভুলে দলাদলি ভুলে আমরা হয়েছি এক। আমাদের নিয়ে খেলেছিলি যারা তারা তাকিয়ে দ্যাখ! শাহবাগ তুমি জ্বলে উঠো আজ নতুন চেতনায় গণ বিমুখ রাজনীতি আজ- মরণ যন্ত্রণায়। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত স্বদেশ মুক্তির গান গায়। এত দূর থেকেও শাহবাগ তোমার আওয়াজ শোনা যায়।”

এক যে ছিল রাজা হবু চন্দ্র তাহার নাম

এক যে ছিল রাজা হবু চন্দ্র তাহার নাম ভারতের অধিশ্বর দিল্লীতে তার ধাম প্রধান মন্ত্রী তার গবু চন্দ্র শুভ নাম বুদ্ধিতে ভীষণ ধার দেশ জোড়া তার নাম।। একদিন ডেকে বললেন রাজা মন্ত্রীমশাই শুনুন এই দেশটা ভীষণ ধুলোয় ভরা একটা কিছু করুন চলতে ধুলো ফিরতে ধুলো হাটতে পায়ে ধুলো খাবারও ধুলোয় ভরা আর মগজেতেও ধুলো তাড়াতাড়ি কিছু করুন তাড়াতাড়ি কিছু করুন মন্ত্রীমশায় বললেন একটু সবুর করুন পরের দিন লাখ খানি ঝাড়ুদারের ঝাড়ুর ঘায় উঠলো যে ধুলোর ঝড় প্রান রাখা যে দায় রাজামশায় তখন ক্যাবিনেট মিটিং ডেকে বললেন এই আপনারা বার করুণ উপায় মন্ত্রনা মন্ত্রীরা দিলেন জল ঢাল জল ঢাল তার ফলে কাঁটা আর প্যাকে দেশটা ভরে গেল নদী নালা সব শুকালো পুকুরে মাছ মলো আর জল হাওয়ায় কাদায় রাজার ভীষণ সর্দি হল ওরে বাবা কোথায় যায় রে ওরে বাবা মারা যায় রে এক ফোটা ঘটে বুদ্ধি মন্ত্রীদের কী নাইরে পন্ডিতপ্রবর তখন বললেন শোন দিয়া মন সারাটা দেশ চরণ চাপড়ায় মুড়ে দাও বললেন রাজামশায় আইডিয়াটা মন্দ নয় যত মুচি চামার সব্বাইকে খবর দাও পার্লামেন্টে যেই না এই প্রস্তাবটা রাখা হল এমপিরা সব প্রতিবাদে হৈ হৈ করে বললো গো মাতাকে রক্

সাদা কাগজটার মূল্য কী আছে

সাদা কাগজটার মূল্য কী আছে যদি তাতে কিছু লেখা না থাকে। ভীরু হৃদয়টার মূল্য কী আছে যদি কিছু ভালবাসা না থাকে।। গোলাপ সবাই ভালবাসে তাতে গন্ধ আছে বলে ফাগুন বড় মধুময় সুর ছন্দ আছে বলে ঐ ঝিনুকটার মূল্য কী আছে। যদি বুকে তার মুক্তো না থাকে।। রূপের সাগর ভাল লাগে হিরা পান্না আছে বলে জীবন এত সুধাময় হাসি কান্না আছে বলে ঐ আকাশটার মূল্য কী আছে। যদি তাতে কিছু মেঘ না থাকে।।

অপর বেলায়

তুমি আজ আছো ক্লাস-ঘরে ফিরছো না সহসাই টুপ করে সেল ফোন বেজে বেজে যাচ্ছে থেমে তাই আজ আর কোন কথা হবে না। শূন্য ভুবনে একলা খুব নিজের মনে নিজে দিয়েছি ডুব “পথের কাঁটা হবো না”–বলেই কি কাঁটাতারগুলো আমার পথ ছাড়েনা? হাজারো মোমবাতি যাই জ্বেলে পথ চেয়ে থাকি দু’ নয়ন মেলে অন্ধকারে দেখে নিই নিজের ছায়া আয়নায় তুমি চোখ আর রাখবে না। হৃদয়ের পাঁচিলে উঠছে কারা? এই বেলা ক্যানো তোর এত্তো তাড়া? প্রবাল হয়ে দ্বীপে হারিয়ে গ্যাছি তুমি তাকে আর বুঝি খুঁজবে না। ক্ষত যতই থাক হৃদয় চিড়ে মানুষের কোলাহলে যাই ভিড়ে প্রচণ্ড শীতে যেন রোদ খুঁজে নিই নত মুখ সেই চোখ আর দেখবে না। আমায় তুমি কেন মনে রাখো? আমায় যে ফেলে গ্যাছে ভাঙ্গা সাঁকো আমি হায় খুব বেশি ফুরিয়ে গ্যাছি। তোমার হাসি-গান আমায় আর চাইছে না। দিন রাত জেগে থাকি নির্বাসনে পাল ছেঁড়া নাবিকের স্বপ্ন গুণে ফিরছি না কোনো সুখ- হাতছানিতে অথৈ সাগরে ঠিকানা মিলছেনা। হৃদয়ের পাঁচিলে উঠছে কারা? এই বেলা ক্যানো তোর এত্তো তাড়া? প্রবাল হয়ে দ্বীপে হারিয়ে গ্যাছি তুমি তাকে আর খুঁজে পাবে না।

সখী চলো না জলসা ঘরে এবার যাই

সখী চলো না সখী চলো না জলসা ঘরে এবার যাই।। লালা নীল ঝাড়ের বাতি হোক না এ রাতে সাথী তারই মাঝে নিজেকে হারাই। এঁকে নাউ কাজল চোখে বেধে নাউ নূপুর পায়ে লগ্ন যে যায় বয়ে যায়।। তোমার ঐ নাচের তালে প্রান মন উঠুক দুলে আমি আজ তাই শুধু চাই। দেয়ালের আয়নাগুলোয় ফুটে উঠুক তোমার ছবি চেয়ে চেয়ে দেখি তোমায়।।

এ কেমন রঙ্গ যাদু

এ কেমন রঙ্গ যাদু, এ কেমন রঙ্গ ভালবাসা পোড়ায় যেমন পোড়ে না তো অঙ্গ।। পীড়িতির রীতি এমন দূরে গেলে কাঁদে যে মন দুচোখের কূল ছাপানো। ব্যাথারই তরঙ্গ ভালবাসা পোড়ায় যেমন পোড়ে না তো অঙ্গ।। চুপি চুপি আসা যাওয়া তারই নাম ফাগুন হাওয়া। ফাগুনেরও আগুনে হায় পোড়ে প্রেমের পতঙ্গ, পোড়ে প্রেমের পতঙ্গ সোহাগের রীতি এমন আছে এলে কী জ্বালাতন দিবানিশি মন ভোলানো কথার প্রসঙ্গ।।

সবার হৃদয়ে রবীন্দ্র নাথ চেতনাতে নজরুল

সবার হৃদয়ে রবীন্দ্র নাথ চেতনাতে নজরুল যতই আসুক বিঘ্ন বিপদ হাওয়া হোক প্রতিকূল একহাতে বাজে অগ্নিবীনা কন্ঠে গীতাঞ্জলী হাজার সূর্য চোখের তাঁরায় আমরা যে পথ চলি।। এই সেই দেশ একদা যেখানে উপনিশদের ঋষি সমতার গান গেয়েছিল আর শুনেছিল দশদিশি প্রোপিতামহের ভাষাতেই আমরা যে কথা বলি হাজার সূর্য চোখের তাঁরায় আমরা যে পথ চলি।। এই সেই দেশ এখনও এখানে উঠে আজানের ধ্বনি গীতা বাইবেন ত্রিপিটক আর শোনা যায় রামায়নি কবি কালিদাস ইকবাল আর গালিবের পদাবলি হাজার সূর্য চোখের তাঁরায় আমরা যে পথ চলি।।

একটি কুড়ি দুটি পাতা রতনপুর বাগিচায়

একটি কুড়ি দুটি পাতা রতনপুর বাগিচায় অমল কোমল হাত বাড়িয়ে লছমি আজো তোলে সবুজ পাতার বাহারে দুলতো দোদুল আহারে প্রেমের পরাগ তার ছড়াতো হাসিলে ও বাতাসে নাচিলে জগ্নু আর লছমি যে বিয়ের রাতে ঝুমুরে রতনপুর বাগিচায় জোয়ারে তুলেছে, ও জোয়ার তুলেছে তাদের প্রেমের কুটিরে ছোট্ট শিশু এলরে কী দেব তার তুলনা চাঁদের আলো ঝরে জগ্নু যেন যুবক পাতার লছমি লজ্জাবতী লতা দুটি পাতার বুকে কুড়ি ঘুমায় পড়িলে ও ঘুমায় পড়িলে এই মানুষরূপী পাতার সাত পিশাচেরা বাড়ায় হাত অকালে হায় ছিনিয়ে নিতে আসে দলে দলে ঐ আসে দলে দলে ভয়ে পাতা গুটিসুটি আধিক ফোঁটা কুড়িটি আড়াল করে ঢেকে রাখে পিশাচ আসিলে ঐ পিশাচ আসিলে তাম্রবরণ দুহাতে সবল বাহুর আঘাতে। ধম ধমা ধম মাদল বাজায় নতুন সাড়া তুলে হাজার দেহ দোলে হাজার দেহ দোলে নতুন দিনের আহবানে হাজার চোখের আগুনে বজ্র মাদল গর্জনে পিশাচ তাড়ালে ও পিশাচ তাড়ালে।।

সুখ ছাড়া দুখ

সুখ ছাড়া দুখ, দুখ ছাড়া সুখ হলেও হতে পারে ভেবে দেখি নি তবে তুমি ছাড়া আমি আর আমি ছাড়া তুমি এমন তো কখনো ভাবিনি।। হিমালয় পাহাড়টা ধ্বসে যদি যায় হাজারও লোকালয় ধুলোতে লুটায়। তবু স্বপ্নগুলো শুধু তোমাকে ঘিরে ধ্বংস হলে হোক পৃথিবী।। শিকড় যেমনই থাকে মাটিকে ধরে ভালবাসি তোমাকে তেমনই করে। তুমি নিঃশ্বাস হয়ে আছ আমারই দেহে নিঃশ্বাস ছাড়া কেউ বাঁচে কী।।

আমার বাউল মনের একতাঁরাটা

আমার বাউল মনের একতাঁরাটা। হাজার নদী বাংলাদেশে সুরের খেয়ায় ভেসে ভসে দুঃখ সুখের ঘাটে ঘাটে সে দেখে কতই জোয়ার ভাটা।। নকশি কাথার নকশি তোলা হাতে কাকনে সুর বাজে আমার একতাঁরারই সাথে। সেই রূপসী অঙ্গ যেন। ভরা নদীর মতই ভরা কাঁচা হলুদ বাটা দুঃখ সুখের ঘাটে ঘাটে সে দেখে কতই জোয়ার ভাটা।। ছলকে উঠা রূপকুমারীর হাসি বাতাসে তার খোজে দোসর রাখালিয়া বাঁশী। সেই বাশী আর মিষ্টি হাসি। সারা জনম বুকে আমার শুনকা মেহেদী কাঁটা দুঃখ সুখের ঘাটে ঘাটে সে দেখে কতই জোয়ার ভাটা।।

জয় জগানন্দন

জয় জগানন্দন ঘটিবাটি বন্ধন পয়সা নাই তার করবো কী। বেড়া ফাকা পাইয়ে কুত্তা ঘরে যাইয়ে চাইল ছড়াই মাইরে করছে কী। অভাবের সংসার পোলা মাইয়ার হাহাকার ঘরবাড়ি ছাইড়া ভাগবো নি।। তেলা কচুর পাতা টাকি মাছে মাথা মশল্লা নাই তাতে হইছে কী।।

কেতুন খোলা নদী আমার

(কেতুন খোলা নদী আমার কেতুন খোলা নদীরে আমার) এই নদীতে সাঁতার কাইট্টা বড় হইছি আমি এই নদীতে আমার মা’য় কলশিতে নিছে পানি আমার দিদি’মায় আইসা প্রতিদিন ভোরে থাল বাডি ধুইয়া গেছে এই নদী কিনারে।। দশ বছর পর বিদেশ গোনে ফিরা আইশা দেহি হগলি বদলাইয়া গেছে নদী আমার যেমন ছিল তেমনই আছে ও নদী তেমনই আছে কেতুন খোলা নদীরে আমার পাঠশলা পলাইয়া গিয়া নদীর তীরে খেওয়া পাড় হইয়া গেছি কাউয়ার চরে আদম আলী হাজী মিয়ার ইটের খোলাতে চড়ইভাতি করছি মোরা গোরাগারাতে। আজ ইটের খোলা তেমন আছে সাথীরা কোথায় হগলি বদলাইয়া গেছে নদী আমার যেমন ছিল তেমনই আছে ও নদী তেমনই আছে কেতুন খোলা নদীরে আমার।।

ঐ চোখ তুলেছে ঝড়

ঐ চোখ তুলেছে ঝড় এই মনের নির্জনে যেখানে যাও নিয়ে যাও আমাকে বিজনে। দৃষ্টির সীমানা ছেড়ে হারিয়ো না পালিয়ো না। পালিয়ে যেতে পারবে না বিধির তিথি এই মনে।। হৃদয়ের মাধুরী দিয়ে সাজিয়েছি তোমাকে। ভেঙ্গ না আমার এ মন ব্যাথা দিও না অকারণে।।

আজো মধুর বাঁশরী বাজে

আজো মধুর বাঁশরী বাজে বাজে – মধুর বাঁশরী বাজে গোধুলী লগনে বুকের মাঝে ।। মধুর বাঁশরী বাজে বাজে – মধুর বাঁশরী বাজে আজো মনে হয় সহসা কখন জলে ভরা দু’টি ডাগর নয়ন ।। ক্ষনিকের ভুলে সেই চাঁপা ফুলে ফেলে ছুটে যাওয়া লাজে আজো মধুর বাঁশরী বাজে বাজে – মধুর বাঁশরী বাজে হারানো দিন বুঝি আসিবে না ফিরে মন কাঁদে কেন স্মৃতির তীরে । ম ন কাঁ দে ।। কে-ন হারানো দিন বুঝি আসিবে না ফিরে মন কাঁদে কেন স্মৃতির তীরে । তবু মাঝে মাঝে আশা জাগে কেন আমি ভুলিয়াছি ভুলেনি সে যেন গোমতীর তীরে পাতার কুটিরে আজো সে পথ চাহে সাঝে আজো মধুর বাঁশরী বাজে বাজে – মধুর বাঁশরী বাজে মধুর বাঁশরী বাজে

উচাটন মন ঘরে রয় না

উচাটন মন ঘরে রয় না প্রিয়া মোর ।। ডাকে পথে বাঁকা তব নয়না উচাটন মন ঘরে রয় না প্রিয়া মোর ত্যাজিয়া লোক-লাজ সুখ-সাজ গৃহ-কাজ ।। নিজ গৃহে বনবাস সয় না প্রিয়া মোর ।। উচাটন মন ঘরে রয় না প্রিয়া মোর ।। লইয়া স্মৃতির লেখা কত আর কাঁদি একা ।। ফুল গেলে কাঁটা কেন যায় না প্রিয়া মোর ।। উচাটন মন ঘরে রয় না প্রিয়া মোর উচাটন মন ঘরে রয় না

আমার স্বপ্ন যে সত্যি হলো আজ

আমার স্বপ্ন যে সত্যি হলো আজ কাছে এলো এতদিন দূরে ছিল যে রঙ্গে রঙ্গে এ-জীবন ভরে দিল সে পাখি আর ভ্রমেরর ভাষাতে ভরে গেছি শুধু আলো আশাতে আজ মন জাগে যেন ভালবাসাতে কাছে থাকো কথা রাখো নয় ভোল লাজ আমার স্বপ্ন যে সত্যি হলো আজ ।। আকশের রঙ ঐ নিলাভ এত খুশি কাকে আর বিলাবো আজ তুমি আমি একই সুরে মিলাবো মন ভুলে সুর দোলায় তুমি দোলো আজ আমার স্বপ্ন যে সত্যি হলো আজ ।। স্বপ্নেরই মায়াজাল গুনে যে দিন ক্ষন গেছে কাল গুণিতে আজ এলে তুমি এই ফাল্গুনে যে কাছে এসে ভালবেসে মুখ তোলো আজ আমার স্বপ্ন যে সত্যি হলো আজ কাছে এলো এতদিন দূরে ছিল যে রঙ্গে রঙ্গে এ-জীবন ভরে দিল সে আমার স্বপ্ন যে সত্যি হলো আজ

চেওনা সুনয়না আর চেও না

চেওনা সুনয়না আর চেও না এই নয়ন পানে চেওনা এই নয়ন পানে জানিতে নাই কো বাকি সই ও আঁখি কি যাদু জানে একে ঐ চাওনি বাঁকা সুরমা আঁকা তাই ডাগর আঁখি বধিতে তাই কেন সাজ যে মরেছে ঐ আঁখির পানে কাননে হরিন কাঁদে সলিল ফাঁদে ঝুরছে সফরি বাঁকায়ে ভুরুর ধনু ফুল ও তনু কুসুম …… জলিছে দিবস রাতি মোমের বাতি রূপের দেয়ালে নিশিদিন তাই কি জ্বলি পুড়ছো কলি অঝোর নয়নে মিছে তুই কথার কাঁটায় সুর বিঁধে হায় আর ডাকিস কবি বিকিয়ে যায় রে মালা আয় নিরালা আঁখির দোকানে নিরালায়।।

আধো আধো বোল

আধো আধো বোল লাজে বাধো বাধো বোল বলো কানে কানে যে কথাটি আধো রাতে মনে লাগায় দোল বলো কানে কানে যে কথার কলি সখি আজো ফুটিল না সরমে মরম পাতে দুলে আনমনা যে কথাটি ঢেকে রাখে বুকের আঁচল ।। বলো কানে কানে আধো আধো বোল লাজে বাধো বাধো বোল বলো কানে কানে আধো আধো বোল যে কথা লুকানো থাকে লাজ নত চোখে না বলিতে যে কথাটি জানাজানি লোকে যে কথাটি ধরে রাখে অধরের কোল ।। বলো কানে কানে আধো আধো বোল লাজে বাধো বাধো বোল বলো কানে কানে আধো আধো বোল যে কথা কহিতে চাহ বেশ ভুষার ছলে যে কথা প্রকাশ তব দেহে পলে পলে যে কথাটি বলিতে সই গালে পড়ে টোল বলো কানে কানে আধো আধো বোল লাজে বাধো বাধো বোল বলো কানে কানে আধো আধো বোল

মোর ঘুম ঘোরে

মোর ঘুম ঘোরে এলে মনোহর নম নম নম নম নম নম শ্রাবণ মেঘে নাচে নটবর রম ঝম ঢম ঢম ডম ঢম শিয়রে বসে চুপি চুপি চুমিলে নয়ন মোর বিকশিল আবেশে তনু নিপসম নিরুপম মনোরম মোর ঘুম ঘোরে মোর ফুলবনে ছিল যত ফুল ভরি ডালি দিনু ঢালি দেবতা মোর হায় নিলে না সে ফুল ছি ছি বে ভুল নিলে তুলে খোঁপা খুলে কুসুম ডোর স্বপনে কিযে কয়েছি তাই গিয়াছ চলে জাগিয়া কেঁদে ডাকি দেবতায় প্রিয়তম প্রিয়তম প্রিয়তম ।

বাজেরে বাজে ঢোল আর ঢাক

বাজেরে বাজে ঢোল আর ঢাক এলো রে পহেলা বৈশাখ।। আজ কৃষ্ণচুড়ার ডালে লেগেছে ডালে ডালে সেই রঙ হৃদয়ে ছড়াক বাতাসে ছড়াল সুগন্ধ এ মনে এনে দিল ছন্দ সেই ছন্দে ছন্দে সুখে আনন্দে সব ব্যথা ধুয়ে মুছে যাক ।। জেগেছে আজ সারা দেশটা প্রাণেরই মেলাতে সে রেশটা আজ বলছে মন তো – মনে আনন্দ এই আশা ভালবাসা থাক বাজেরে বাজে ঢোল আর ঢাক এলো রে পহেলা বৈশাখ।। আজ কৃষ্ণচুড়ার ডালে লেগেছে ডালে ডালে সেই রঙ হৃদয়ে ছড়াক

ঝড় এলো এলো ঝড়

ঝড় এলো এলো ঝড় আম পড় আম পড় কাঁচা আম ডাঁসা আম টক টক মিষ্টি এই যা… এলো বুঝি বৃষ্টি। টুপটাপ পড়ে আম পিছনে ও সামনে চট করে গুটিকয়েক ডাসা ডাসা আম নে।। তারপরে দে না ছুট চল চল জলদি নইলে যে বৃষ্টিতে ভিজে হবে সর্দি আর তাতে হবে অনাসৃষ্টি এই যা … এলো বুঝি বৃষ্টি। সর্দিটা হলে ভাই আম খাওয়া বন্ধ, কাচা হোক ডাসা হোক সবটাই মন্দ। তার চেয়ে চল যাই করি কিছু খাটনি, নুন-ঝাল-তেল মেখে করে নিই চাটনি। কি যে মজা চাটনিতে টক-ঝাল-মিষ্টি, দেখলেই জিভ পুরে আসে পানি বৃষ্টি, আহা কি যে মিষ্টি মিষ্টি এই যা… এলো বুঝি বৃষ্টি।

আইলো আইলো আইলো রে

আইলো আইলো আইলো রে রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে পাগলা মনে রঙ্গিন চোখে, নাগরদোলায় বছর ঘুরে একতারাটার সুরটা বুকে, হাজার প্রাণের বাউল সুরে দেশটা জুড়ে খুশির ঝড়ে একটা কথাই সবার মনে আইলো আইলো আইলো রে রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে লাল পাড়ের ওই শাড়ির আঁচল, আলতা পায়ে খুশির নাচন ইলশে ভাজা পান্তা খাওয়া, সব বাঁধার আজ খুলছে বাঁধন পাগলা মনের খুশির ভিড়ে বৈশাখী রঙ লাগলো প্রাণে আইলো আইলো আইলো রে রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে গাছের ডালে আমের মুকুল, আকাশ মেঘে সাজলো দুপুর হালখাতা সব হিসেব শেষে, আসলো বছর নতুন বেশে এক বাণীতে সব বাঙ্গালি খুশির মেলায় দেশটা হাসে আইলো আইলো আইলো রে রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে পাগলা মনে রঙ্গিন চোখে নাগরদোলায় বছর ঘুরে একতারাটার সুরটা বুকে হাজার প্রাণের বাউল সুরে দেশটা জুড়ে খুশির ঝড়ে একটা কথাই সবার মনে আইলো আইলো আইলো রে রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে

পালাই পালাই

চৌরাস্তার মোড় আঁধারের ঘুম পালাই পালাই খোলা চোখ চুরি করে পালাই পালাই গোলাকার একা বৃত্তের পতিত প্রশ্ন মানব শুকনো পক্ষের শেষ রাতে লেখা চিরকুট হারিয়ে গেছে বলে গন্তব্য জানা নেই গোলকধাঁধায় গন্তব্যহীন খোলা চোখ চিরকুট সন্ধানে ঘুম ছেড়ে দিগন্তে পালাই পালাই ঢোল পূর্ণিমার রাতে মিলবে গিয়ে পথ আর হারানো চিরকুট প্রশ্ন মানবের কাছে কোনো উত্তর জানা নেই

এক বৈশাখে দেখা হলো দু’জনায়

এক বৈশাখে দেখা হলো দু’জনায় জোষ্টিতে হলো পরিচয় আসছে আষাঢ় মাস, মন তাই ভাবছে কী হয় কী হয় কী জানি কী হয় এক বৈশাখে দেখা হলো দু’জনায় তখনি তো হলো দেখা যেই না নয়ন কিছু চেয়েছে জানাজানি হয়ে গেছে অধর যখনি কথা পেয়েছে জানি না তো কী যে হবে এর পরে কিছু পেলে এ হৃদয় আসছে আষাঢ় মাস, মন তাই ভাবছে কী হয় কী হয় কী জানি কী হয় এক বৈশাখে দেখা হলো দু’জনায় জোষ্টিতে হলো পরিচয় আসছে আষাঢ় মাস, মন তাই ভাবছে কী হয় কী হয় কী জানি কী হয় প্রথমে চমক ছিল তারপরে ভালোলাগা এসেছে ডুবে গেছি সেই মন যে মন খুশির স্রোতে ভেসেছে জানি না তো কী যে হবে সব কিছু হয়ে গেলে তন্ময় আসছে আষাঢ় মাস, মন তাই ভাবছে কী হয় কী হয় কী জানি কী হয় এক বৈশাখে দেখা হলো দু’জনায় জোষ্টিতে হলো পরিচয় আসছে আষাঢ় মাস, মন তাই ভাবছে কী হয় কী হয় কী জানি কী হয়

জানি জানি প্রিয়

জানি জানি প্রিয় এ জীবনে মিটিবে না সাধ সা–ধ এ জীবনে মিটিবে না সাধ ।। আমি জলের কুমুদিনী ঝরিব জলে তুমি দূর গগনে থাকি কাঁদিবে চাঁদ এ জীবনে মিটিবে না সাধ সা–ধ এ জীবনে মিটিবে না সাধ ।। আমাদের মাঝে বধু বিরহ বাতাস চিরদিন খেলে যাবে নীরব শ্বাস ।। পাইনা বুকে মোরা পাইনা বুকে তবু মুখে মুখে চাঁদ কুমুদীর নামে রটে অপবাদ এ জীবনে মিটিবে না সাধ সা–ধ এ জীবনে মিটিবে না সাধ ।। তুমি কতদূরে বধু তবু বুকে এত মধু কেন উতলায় ।। হাতের কাছে রহ প্রাতের চাঁদ ধরা নাহি যায় তবু ছোয়া নাহি যায় মরু তৃষা লয়ে কাঁদে শূন্য হিয়া তবু সকলে বলে আমি তোমারই প্রিয়া বলে তোমারই প্রিয়া ।। সেই কলংক গৌরব সৌরভ দিল গো ।। মধুর হলো তাই বিরহ বিষাদ এ জীবনে মিটিবে না সাধ ।। সা–ধ এ জীবনে মিটিবে না সাধ জানি জানি প্রিয় এ জীবনে মিটিবে না সাধ ।। সা–ধ এ জীবনে মিটিবে না সাধ

বাড়িয়ে দাও

বাড়িয়ে দাও তোমার হাত আমি আবার তোমার আঙুল ধরতে চাই। বাড়িয়ে দাও তোমার হাত আমি আবার তোমার পাশেই হাঁটতে চাই। বাড়িয়ে দাও, তোমার হাত, তোমার হাত… কিভাবে কাঁচের দেয়াল, যেন আটকে থেকে যায়, কক্ষনো ফুরায় কথায়। অনেক সন্ধ্যা বেলায়, তোমার ক্লান্ত চুলের হাত, ছোঁয়াও আমার মাথায়। এখন কৃষ্ণচূড়ার আলোয় আমাদের রাস্তা সাজানো তোমার পাশেই আমায় পাবে, তোমার রক্তে বানানো। মনের ভেতর ঘরে, কিছু পাথর জমানো ভাঙতে চাইছি যখন। পাহাড় বরফ ঢেলে, মুহূর্ত গলানো হয়তো যাবে তখন। এখন কৃষ্ণচূড়ার আলোয় আমাদের রাস্তা সাজানো তোমার পাশেই আমায় পাবে, তোমার রক্তে বানানো। বাড়িয়ে দাও তোমার হাত আমি আবার তোমার আঙুল ধরতে চাই। বাড়িয়ে দাও তোমার হাত আমি আবার তোমার পাশেই হাঁটতে চাই। বাড়িয়ে দাও, তোমার হাত, তোমার হাত…

ফিরিয়ে দেওয়ার গান

ভেবেছিলাম তোকে ফিরিয়ে দেবো আমি ভেবেছিলাম ঘুরে তাকাবো না | ভেবেছিলাম তোকে পুড়িয়ে ফেলবো আমি ভেবেছিলাম উড়িয়ে দেবো ছাই | কিচ্ছু পারলাম না, শুধু বাড়ল ওজন বুক সুখী গাল বোঝে না, কবিদের অসুখ পাতলা ঠোঁটের ডগায়, সাজানো গল্পের খই তোকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত অবশ্যই… এভাবে গাছপালার স্নেহ দিয়ে ঢাকা, থাক সে পথ ফাঁকা, থাক তোর ডাকে সাড়া দেবো না, দেবো না, না, না | শত বসন্তের আদরে যেই রেখেছি বালিশে ঘুম হাত পাতার ভাঁজে রাখা, আমার এই ভালো লাগা | আমাকে ঘুড়ি ভেবে ওড়াস না, নরম আঙুল কেটে যাবে উপড়ে নেবো নিজেকে | বুঝবি না, তোর ক্ষতয় হাত বোলালে জানবি না, কেন যে চোখ ঢাকি বুঝবি না, কেন ওপাশ ফিরে শুলে জানতে চাস না, কেন এভাবে থাকি কেন প্রশ্ন এড়াস, আমি ঠকব না, বিশাল ফারাক আছে, তা কি বুঝিস না? পাতলা ঠোঁটের ডগায়, সাজানো গল্পের খই তোকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত অবশ্যই… এভাবে গাছপালার স্নেহ দিয়ে ঢাকা, থাক সে পথ ফাঁকা, থাক তোর ডাকে সাড়া দেবো না, দেবো না, না, না | শত বসন্তের আদরে যেই রেখেছি বালিশে ঘুম হাত পাতার ভাঁজে রাখা, আমার এই ভালো লাগা | আমাকে ঘুড়ি ভেবে ওড়াস না, নরম আঙুল কেটে যাবে উপড়

স্বাগতম পৃথিবী

ও পৃথিবী, এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে ও পৃথিবী, তোমায় জানাই স্বাগত এই দিনে। জয় দেখেছি প্রথম যেদিন ভয় গিয়েছি ভুলে জয় দেখেছি একুশ যেদিন এলো মাথা তুলে। জয় দেখেছি সূর্য ওঠা একাত্তরের দিনে ও পৃথিবী, এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে ও পৃথিবী, তোমায় জানাই স্বাগত এই দিনে। আমার আছে দিগ্বিজয়ী দীর্ঘ সাগর তীর আকাশ ছুঁয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে সুন্দরীর প্রাচীর। জয়ের নেশা বাংলাদেশের হৃদয় গহীনে ও পৃথিবী, এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে ও পৃথিবী, তোমায় জানাই স্বাগত এই দিনে। সূর্য নিয়ে উড়ছে সবুজ অবাক মানুষ জন কে শোনেনি আমার দেশের বাঘের গর্জন। লাল সবুজের এই পতাকা যাচ্ছে নতুন দিনে ও পৃথিবী, এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে ও পৃথিবী, তোমায় জানাই স্বাগত এই দিনে । I witness victory today we let go fear I witness victory with Ekush Proudly appears I witness victory in the Sunny days of 1971 O World, It’s time let Bangladesh be known O World, on this day Accept our invitation O World, it’s time let Bangladesh be known O world, it’s time let our Cricket be known ও পৃথিবী, এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে ও পৃথি

আমি শুধু বসে থাকি

রক্ত জবা হাসে পদ্ম শাপলা ভাসে পলাশের রঙ লাগে কৃষ্ণচূড়ায় সারি বাঁধে সুখ পাখি আমি শুধু বসে থাকি তুমি নামের সেই নিরাশায় সাঁঝ বেলার নত আঁখি হাতে পেয়ালা আর ফাঁকি দুঃখ তবু রয় মনের কোঠায় সারি বাঁধে সুখ পাখি আমি শুধু বসে থাকি তুমি নামের সেই নিরাশায় রক্ত জবা হাসে পদ্ম শাপলা ভাসে পলাশের রঙ লাগে কৃষ্ণচূড়ায় উদয় আঁচলেই বুকে মন আছে মলিন মুখে স্বপ্ন কেন তবু চোখেরই তারায় সারি বাঁধে সুখ পাখি আমি শুধু বসে থাকি তুমি নামের সেই নিরাশায়

এক জীবন – ২

জীবন এতো সুখের হলো আমার পাশে তুমি আছ তাই এক জীবনে এর চেয়ে বেশি আমার যে আর চাওয়ার কিছু নাই তোমার আমার ভালবাসা শেষ হওয়ার নয় শুধু তোমায় কাছে চায় এ হৃদয় ওগো তোমায় নিয়ে আমি পাড়ি দিয়ে যেতে চাই সুখেরই দেশে হারিয়ে ।। দিন গেল মাস গেল গেল বহু বছর তবু যেন শেষ হয় না ভালবাসার প্রহর তুমি আমার ঘরে আসো পূর্নিমা হয়ে এই জীবন সাজিয়েছ তুমি পূর্ণতা দিয়ে ওগো তোমায় নিয়ে আমি পাড়ি দিয়ে যেতে চাই সুখেরই দেশে হারিয়ে ।। তুমি আমি ভালবেসে থাকবো জীবন ভর মরণ যেন আমাদের করে না তো পর তোমায় নিয়ে সারা জীবন কাটাতে চাই তুমি ছাড়া এই আমার আপন কেহ নাই ওগো তোমায় নিয়ে আমি পাড়ি দিয়ে যেতে চাই সুখেরই দেশে হারিয়ে ।।

তুমি কি আমায় আগের মতো বাসো ভালো

তোমার চোখের আঙ্গিনায় এখনো কি তেমনি করে জোসনা ছড়ায় আলো এখনো কি তারার পানে চেয়ে থাকো আনমনে তুমি কি আমায় আগের মতো বাসো ভালো ।। এখনো কি আকাশের মেঘ দেখে জানালা খুলে তেমনি থাকো বসে এখনো কি প্রথম প্রেমের মতো পরশ বুলিয়ে বৃষ্টিধারা আসে তোমার দীঘল কালো চুলে এখনো কি ছবি আঁকে মেঘের যতো কালো তুমি কি আমায় আগের মতো বাসো ভালো ।। এখনো কি পুরনো চিঠি পড়ে নয়ন ভেজাও নিরবে অভিমানে এখনো কি বিকেলের রোদ এসে গল্প বলে তোমার কানে কানে সন্ধ্যা নেমে এলে এখনো কি তেমনি করে সাজের প্রদ্বীপ জ্বালো? তুমি কি আমায় আগের মতো বাসো ভালো ।।

অনেক দূর স্বপ্ন আমার

অনেক দূর স্বপ্ন আমার, অনেক দূর আমার চাওয়া হাতের কাছে তারার মতো, আমার করে তোমায় পাওয়া। তোমায় পেলে হয়ত আবার, নতুন গানের সুরটা পাব অনেক দূরের আকাশ পথে, তোমায় নিয়ে হারিয়ে যাব। হারিয়ে যাওয়ার মানেই হলো, নিজেকে আবার খুঁজে পাওয়া নিজের জন্য গান লিখেছি, নিজের জন্য তোমায় চাওয়া। চাইবে যেদিন আমায় তুমি, বুঝবে সেদিন ভাল করে হাতের কাছের তারাগুলো দেখায় কেন অত দূরে । নতুন একটা গান লিখেছি বুকের মধ্যে পাগলা সুরে রাতের আকাশ তোমার মতোই আমিও যাব অনেক দূরে।

সাদাকালো

সাদাকালো ধূসর এলোমেলো সুপ্ত স্বপ্ন যত দিচ্ছে ডাক আঁধো আলোয় তুমি হেঁটে বেড়াও দূরে দেখি তোমার-ই ছায়া… স্বাধীন কোন পাখির মত ডানা মেলে স্বপ্ন জ্বেলে আমি তুমি বন্ধু সবাই বাঁধা ফেলে চলেছি এগিয়ে… রেখোনাকো কোন ক্ষোভ তুমি জমিওনা অভিযোগ এখনি সময় এগিয়ে যাবার চলো বন্ধু যাবে… দীপ নেভার আগে এসো স্বপ্নের ঘুড়ি ওড়াবে ক্লন্তি ছোয়ার আগে চলো সত্যের দীপ জ্বালাবে… সাদাকালো ধূসর এলোমেলো সুপ্ত স্বপ্ন যত দিচ্ছে ডাক মেতে উঠি উল্লাসে সবাই চিৎকার করে গেয়ে যাই… যদি বাজে সূর অচেনা রাগে তুমি শুনিও সে সূর দীপ নেভার আগে… স্বাধীন আমরা বেড়িয়ে পথে নিয়ম ভাঙি দীপ নেভার আগে চলো এবার হারিয়ে যাই……….

নীলাকাশ ছুতে পারি যদি তুমি চাও

নীলাকাশ ছুতে পারি যদি তুমি চাও ওই মেঘ হতে পারি, যদি তুমি চাও শুধু কথা দাও ভুলে যাবেনা, একটু দুঃখ আমায় ছোবেনা এই পৃথিবীর বিনিময়েও আমায় কখনো ছেড়ে যাবেনা। ভালোবেসে যেতে পারি যদি তুমি চাও এ জীবন দিতে পারি জমিয়ে যাও শুধু কথা দাও ভুলে যাবেনা, একটু দুঃখ আমায় ছোবেনা এই পৃথিবীর বিনিময়েও আমায় কখনো ছেড়ে যাবেনা। আজ মন ছুটেছে সুখের বাড়ি , দুঃখের সাথে দিয়ে আড়ি, চৌ সীমানা দেব পাড়ি , বাঁধা যে মানবনা এসো ভালবাসার ছায়াতলে মন ভেজাবো সুখের জলে ভয় যে আর করিনা। দেখ রাত ছুটেছে চাদের বাড়ি , মনের মাঝে স্বপ্ন তারি সব আলোতে দেব ভরে আধার যে ডাকবেনা সেই সপ্নের কথা সত্যি হলে মন সাজাব ফুলে ফুলে ঘুম যে আর হবেনা।

হারিয়ে গিয়েছি

হারিয়ে গিয়েছি, এইতো জরুরী খবর অবাক দু চোখে, ছায়া কাঁপে ভয়ে অভিমানে হারিয়ে যাওয়ার নিয়ম নেই এখানে হারাবো বলে, পা টিপে এগোতে গেলেই গোটা শহর বাতি জ্বেলে সতর্ক পায়ে পায়ে হারাবার জায়গা খুঁজে মরি। কোথাও নেই ঝুম ঝুম অন্ধকার তক্ষক ডাকা নিশুতিতে রূপকথা শুনে শিউরে ওঠে না গা স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল। হারিয়ে যাইনি তবু, এটাই জরুরী খবর আকাঙ্খা আর হতাশায় হারিয়ে যাওয়ার কোনো মানে নেই নিবিঢ় ঘরে আধো আলো বিশ্বাসে বুকের গভীরে কার যেন ডাক আসে। যদি কোনদিন ঝরে ঝরে যায় অন্ধকার ভালোবাসা ধুয়ে দেয় গোটা মুখ আমার দু’চোখে স্বপ্ন ভরে দিয়ে যায় কেউ যদি কোনদিন অটুট বিশ্বাসে যদি কোনোদিন, যদি কোনোদিন, যদি কোনোদিন

রাজকন্যা

রাজকুমারী দু’একটা কথা বলি বারান্দাটা ছেড়ে যেওনা ভালবাসি নিজের থেকে বেশি একটু কথা বলোনা আমি যে সারাদিন হয়ে যাই আনমনা চিৎকার করে বলি হাত দু’টি ধরে তোমার তুমি আমার রাজকন্যা O my princess দু’একটা কথা বলি ফোনটা রেখে দিও না Exam hall -এ তোমাকে চিন্তা করি একটু কথা বলোনা চোখ দু’টো ভোরবেলার শিশির চুলগুলো মেঘলা দিন দেখলে পরে আমি সত্যি বলছি হয়ে যাই ভাবলেশহীন

জাগো বাংলাদেশ

সব সম্ভবের এক দেশ, সে এক অচেনা স্বদেশ ; অরাজকতার এক দেশ, হায় আমার বাংলাদেশ; আলোর রেশ এক নিমেষ, আঁধার হতাশা অবশেষ । জাগো বাংলাদেশ, জাগো হে স্বদেশ, দেখো ওই সূর্য প্রভাত; রুখো দুর্নীতি, নষ্ট রাজনীতি, সন্ত্রাস, মৌলবাদ । জাগো বাংলাদেশ, জাগো হে স্বদেশ, দেখো ওই সূর্য প্রভাত; রুখো দুর্নীতি, নষ্ট রাজনীতি,স্বৈরাচার, সাম্রাজ্যবাদ । ফিরে ফিরে আসছে আবার, বুকে সাহস স্বপ্ন দেখার, কাঁপছে বুকের পাঁজর, মনে পড়ছে আবারো একাত্তর । স্বপ্ন ছিল অশেষ, হবে শোষণমুক্ত এক দেশ; কতো প্রান দিল অনিমেষ, হবে ছোট্ট সোনার এক বাংলাদেশ । সেই স্বপ্ন কবেই নিঃশেষ, আজ লুটেরাদের স্বর্গ বাংলাদেশ ; সেই সপ্নের নেই অবশেষ, আজ দুর্নীতির শীর্ষে বাংলাদেশ । নিরপেক্ষ কে আছো এখনো, সুখের থাকবে না রেশ । মুক্ত চিন্তা কতো সইছো আঘাত, প্রগতির শক্তি কেন মৌলবাদ ; কোথায় হারালো সেই মূল্যবোধ, রক্তক্ষরনে মূঢ় স্মৃতিসৌধ । নিপীড়িতের নেই অধিকার, নিভৃতে কাঁদে আজ ন্যায় বিচার ; শুনতে কি পাও হাহাকার, তিরিশ লক্ষ শহীদ আত্মার । অসৎ নেতার উত্তরাধিকার, স্বাধীনতার পতাকা হাতে রাজাকার ; কোটি প্রান হও সোচ্চার, রুখো জঙ্গিবাদের সেই একই রূপকার । হে ধর

ধীরে ধীরে

ধীরে ধীরে সে দুয়ারে আমার ধীরে ধীরে সে হাওয়ায় ধীরে ধীরে মন পাহারা তবু কেন মন চুরি হয় যে ছিল আড়ালে খুব কাছে দাঁড়ালে তার ছায়া শরীরে খুব কাছে জড়ালে ধীরে ধীরে আপন হলো সে যে আমার থাকো না তুমি যেওনা দূরে এক নদী এক স্রোতে বহিয়া এক সুরে ধীরে ধীরে কাছে আরও কাছে সে আবার

আজকের এই নিশি

আজকের এই নিশি ভালোবাসি ভালবাসি নিকষ মেঘে তোমার ওই চোখ দেখেছি আজি আমি মৃদু বাতাস বলে , চিলে সেই তুমি তোমারি মোহে হারাই আমি নিজেকে যে খুঁজে ফিরি তোমার প্রেমের সুখ্সারে যখন দাড়াও এসে, ভুলে যায় সবি হৃদয়ের সব কথা বলে দেই আমি তোমারি যে চিরদিনই রব আমি তোমারি

ছেঁড়া স্বপ্ন

পারবে আমায় এনে দিতে একটুকরো চাঁদের মাটি কিংবা হিমালয়ের চুড়ার একটুখানি বরফ নীল আকাশের ভেসে যাওয়া একটুকরো সাদা মেঘ কিংবা আধাঁর রাতে তারার লেখা একটি হরফ পারবে দিতে নিকষ কালো অন্ধকারে সূর্যালোক কিংবা দিতে নতুন একটি আমার সোনার বাংলাদেশ মরূভুমির মাঝে কোন বিশাল এক নীল সাগর কিংবা বলবে কোথায় ঐ দূর আকাশের শেষ চাওয়া গুলো আমার আজ অদ্ভুত এলোমেলো বাস্তবতার নেই যে ছোয়া, অকেজো এক ঝাপসা বোধ তবুও আমার শেওলা ধরা প্রায় ছেড়া এই মনটা তে করছে কেউ আবল তাবোল, অন্য রকম অনুরোধ পারবে দিতে সেগোভিয়ার মিষ্টি ঐ হাত দুটো কিংবা সত্যজিতের লেখা নতুন কোন এক গল্প পারবে দিতে পিকাসোর হাতে লেখা সিম্ফনী কিংবা মোজার্টের আঁকা কোন ছবির রংতুলি পারবে দেখাতে আমায় ব্যার্থতার ব্যর্থ মুখ নিঃস্ব কোন মানুষের শেষযাত্রায় হাসিমুখ চাওয়া গুলো আমার আজ অদ্ভুত এলোমেলো বাস্তবতার নেই যে ছোয়া অকেজো এক ঝাপসা বোধ তবুও আমার শেওলা ধরা প্রায় ছেড়া এই মনটা তে করছে কেউ আবল তাবোল অন্য রকম অনুরোধ ।। চাইব শুধু দুটো জিনিশ যদি তুমি পার দিতে চুপিসারে রেখে যেও যখন আমি ঘুমিয়ে পারবে আমায় ফিরিয়ে দিতে রুপক নামের গানটারে আর আমার গ

হও যদি নীল আকাশ

হও যদি তুমি নীল আকাশ , আমি মেঘ হব আকাশে হও যদি অথৈ সাগর , আমি ঢেউ হব সাগরে হও যদি ওই হিমালয়, তোমাকে করব আমি জয় তোমাকে চাই তোমাকে তুমি যে আর কারো নয় বলতে পারি আমি নির্ভয়ে , তুমি আছ হৃদয়ে ।। তুমি হলে ওই অরণ্য আমি হব সবুজ ও তোমারি প্রেমে মন দুরুন্ত তোমার কাছেই অবুঝ হও যদি ওই হিমালয়, তোমাকে করব আমি জয় তোমাকে চাই তোমাকে তুমি যে আর কারো নয় বলতে পারি আমি নির্ভয়ে , তুমি আছ হৃদয়ে ।। আমারি দেহে প্রাণ গো তুমি, তুমি আমার নিঃশ্বাস ও তোমাকে ছাড়া নিস্প্রান আমি এইত আমার বিশ্বাস হও যদি ওই হিমালয়, তোমাকে করব আমি জয় তোমাকে চাই তোমাকে তুমি যে আর কারো নয় বলতে পারি আমি নির্ভয়ে , তুমি আছ হৃদয়ে ।।

কার ছবি নেই

কার ছবি নেই কেউ কি ছিলো এই ভেবে ডুবে গেছে রাত প্রশ্নেও নেই উত্তরে নেই মাঝরাতে ডুবেছে মাতাল নেই কাছে নেই গল্প তোমার চমকে উঠে ডাকে আয় কাছে আয় চাঁদনী গেছে দূরের আঙ্গিনায় কার ঘরে চাঁদ জেগে রয় নাম শুধু নাম জ্বলে অবিরাম এইখানে আমিও ছিলাম বলেছ বারণ বলেছ বিদায় স্বপ্ন বাড়ায় তবু হাত ডাকে আয় আয়না ভাঙে সে স্বপ্ন ভাঙে কার ঘরে ভেঙে পরে ঘুম গল্প ভাঙে তবু গল্প জমে এই চোখে রাত্রি নিঝুম একলা এ ঘর একলা প্রহর থমকে দাঁড়ায় কুয়াশায় কুয়াশায়

জানি তুমিও ঘুমাতে পারোনি

জানি তুমিও ঘুমাতে পারোনি আমিও ঘুমাইনি সেদিন রাতে সামান্য কি কথা নিয়ে যে অভিমান করেছিলে আমার সাথে। একটু সহজ হতে ছিলনা দোষ কি এমন দোষ হত করলে আপোষ ।। যদি দু’জনে ভুলে যেতাম সব অভিমান কি এমন ক্ষতি হত বল তাতে ! এইতো সেদিন তুমি হাতে নিয়ে ফুল বলেছিলে কোনদিন বোঝনাতো ভুল ।। যদি দু’জনে ফিরে পেতাম সেই মধুক্ষন কি এমন ক্ষতি ছিল বল তাতে !

শত আশা

শত আশা শত আশা শত আশা শত আশা কিছু পাবার আশায় স্বপ্নগুলো আজ সত্যির পথে কিছু দেখাবো বলে স্বপ্নগুলো আজ মুক্তির পথে আজ সব পথ পেরিয়ে শত বাঁধা এড়িয়ে লক্ষ্য খুঁজতে চাই ।। শত আশা শত আশা শত আশা শত আশা আজ হাতে রেখে হাত স্বপ্নগুলো আজ একসাথে ভুলে যাব না বলে স্বপ্নগুলো আজ সৃষ্টির পথে আজ সব পথ পেড়িয়ে শত বাঁধা এড়িয়ে লক্ষ্য খুঁজতে চাই ।। আশাগুলো আজ আলো হয়ে জ্বলে উঠে আশাগুলো আজ হেসে তৃপ্তি নেয় এতে নেই কোন পিছু টান নেই কোন বাঁধা শত আশা শত আশা শত আশা শত আশা শত আশা শত আশা

স্বপ্ন ঘুড়ি

ভেজা ঘাস মারিয়ে, ছুটে চলি স্বপ্নের দেশে। হঠাৎ কালো মেঘ এসেছে যায় আকাশে এমনি করে স্বপ্ন আমার হারিয়ে যায় বৃষ্টিতে, ভাঙ্গা স্বপ্নের সুর ফিরে আসে আমাতে। দুরাকাশে আবির মেঘে স্বপ্ন দেখব আমি, ভোরের স্বপ্ন সত্যি হবে একথা আমি জানি। শেষ প্রহরে তাই ঘুমিয়ে পরি হব বলে স্বপ্ন ঘুড়ি। জানালার ফাঁকে রোদে এসে ঘুম ভাঙ্গায় আমার, হয়ত তখন ঘুমের ঘোরে ছিলাম পাশে তোমার। এমনি করে কেটে যায় প্রতিটি প্রহর, স্বপ্নের সাথে নিরন্তর, দুরাকাশে আবির মেঘে স্বপ্ন দেখব আমি, ভোরের স্বপ্ন সত্যি হবে একথা আমি জানি। শেষ প্রহরে তাই ঘুমিয়ে পরি, হব বলে স্বপ্ন ঘুড়ি। এমনি করে স্বপ্ন আমার হারিয়ে যায় বৃষ্টিতে ভাঙ্গা স্বপ্নের সুর ফিরে আসে আমাতে দুরাকাশে আবির মেঘে স্বপ্ন দেখব আমি, ভোরের স্বপ্ন সত্যি হবে একথা আমি জানি। শেষ প্রহরে তাই ঘুমিয়ে পরি, হব বলে স্বপ্ন ঘুড়ি।

স্মৃতির ছেড়া পাতা

আমি নিতে দেবো না, সময়কে এক মুঠো ভরা জোছনা চাঁদটা যতই দূরের হোক না, ছুতে আমি চাই না পৃথিবীর সব অপার, বিস্ময় থাক আমার অ-দেখা শূন্য খাতার প্রতিটি পাতায়, স্মৃতির ছেড়া পাতায় ।। আমি দেব না পাড়ি, তোমায় নিয়ে নিষ্প্রান নদীতে যে পথ ভুলে পৌঁছে গেছে, শূন্য মরুর বুকে শেষ বিকেলে হারিয়ে যাওয়া, স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায় নিঝুম রাতের অন্ধকারে, স্বপ্ন ধরা খেলায় আমি মেলবো না আর স্বপ্নডানা, ঐ নীল মেঘেদের ছোঁয়ায় আমি লিখবো না আর কাব্য কোনো, স্মৃতির ছেড়া পাতায় ।।

গড়বো বাংলাদেশ

আরো সাহস করে মাঠে নামো আজ সবাই একি সাথে জেগে ওঠো আবার। চিৎকার করে ডাক দিয়ে যাও সাড়া দেবে সবাই। গড়বো বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ বুকে আশা মনে ভালবাসা। এবার আরো কিছু নিয়ম ভেঙ্গে দাও এগিয়ে যাবার শপথ তুমি নাও সময় হয়ে এসেছে আবার নিজ থেকে কিছু করার। আমার সোনার বাংলাদেশ আমি তোমায় ভালবাসি।

বেদনা

তুমি আমার নয়তো সুখ, তুমি সুখের বেদনা সব স্বপ্নের রং হয় না তো, বেদনার মতো নয় রঙা। জীবনের সব কথা নয়, আমি জীবনটাকে বলতে চাই হয়তো দু’বাক্য নয়, সে তো ভালোবাসার কাব্য কয়।। আমি কবি নই, তবু কাব্যের ভাষায় বলবো আজ তোমার হাসির শ্রাবণ ঢলে স্বপ্ন নিয়ে ভাসতে চাই।। তুমি বললে আজ দুজনে নীল রঙা বৃষ্টিতে ভিজব রোদেলা দুপুরে একসাথে নতুন সুরে গান গাইবো। শেষ বিকেলের ছায়ায় নীল আকাশের বুকে আমি, লাল রঙা স্বপ্ন আঁকব।। তুমি চাইলে আজ দুজনে সাত রঙা প্রজাপতি ধরবো নোনা বালিচরেতে একসাথে আকাশের সমুদ্র স্নান দেখবো। গোধুলির আলো আঁধারিতে ঊর্মির সাথে দুজনা নীলের বুকে আজ হারাবো।।

একা

রাত্রি ক্লান্ত জীর্ন শীর্ন আঁধো চাঁদের আলো পিচ ঢালা পথ কখনো ধূসর কখনও বা কালো ।। সারাটা পথ জুড়ে আমি একা হেটে যাই আকাশ তারার পানে চেয়ে নীল জোছনায় স্মৃতিরো ভীড়ে হারিয়ে যায় মন আধারে। আধাঁর রাতে নেমে আসে শিশিরের ছায়া নিভে গেছে দূর কোন স্মৃতিরও মায়া নিঃসীম চারপাশ কোনো সাড়া নেই তবু এক দীপ্তি রয়ে গেছে যত দূরে যেতে চাই নিলীমার পথে আরো দূরে সরে যায় রাতের আকাশে চুপচাপ শহরে নিশ্বাস ফেলে আসি এই নিরব বাতাসে

তোমাকে ভেবে লেখা

মন ভালো নেই , বারে বারে মনে হয় তুমি পাশে নেই, ভাবি ধুর যাই কেন কাটেনা সময়? সাতটি রঙ্গে তোমাকে খুঁজে বেড়াই বৃষ্টি শেষে দেখা না পেলে বড় অভিমান হয় রাত কাটে নির্ঘুম, আমি নিশ্চুপ, নিঃস্ব ভেবে যাই ভালোবাসি তোমায় এতটা।। তোমার হাসিতে হাজার ফুল ফুটে যায় তুমি না আসলে হাসবে কে আমার বাগিচায়? তোমার জন্য বেদনার গান লিখেছি বুকে সব স্বৃতি গুলো এক করে সুর বেধেছি মনে একটাই সুখ, আমাকেও খুব ভালোবাসো তুমি তাই ভালোবাসি তোমায় এতটা।। জানি তুমি ভালো নেই আমায় একা রেখে ভিশন কষ্টে আছ আমাকে না দেখে কতদিন দেখিনি তোমার মুখ খানি ক্ষনিকের জন্য থাক আর যেখানে ফেলে তুমি আসবেই আমার এ জীবনে কারণ ভালোবাসো আমায় এতটা।

ইদানিং আমার

ইদানিং আমার গুমরে কাঁদার অভ্যেস এক হয়েছে জীবন স্রোতস্বিনী্র মাঝে বিরাট চর পরেছে /জেগেছে ধু ধু বালু ঘেরা সেই চরে কোন প্রাণের চিহ্ন নেই হতাশা হতাশার নিঃশ্বাস ……… সময়কে পিছু ফেলে আরো জোড়ে ছুটে চলে কষ্ট সেই কষ্টের মাঝে কোনমতে বেঁচে আমি ।। ভাংগাচোরা এই জীবন চালাতে এখন আমি হয়রান সত্যি ভীষণ কষ্ট ইদানিং আমার গুমরে কাঁদার অভ্যেস এক হয়েছে জীবন স্রোতস্বিনী্র মাঝে বিরাট চর জেগেছে ধু ধু বালু ঘেরা সেই চরে কোন প্রাণের চিহ্ন নেই হতাশা হতাশার নিঃশ্বাস …….. দরজায় রত প্রহরী গুলো আমাকে বের হতে দেয় না কতদিন আমি খোলা আকাশের সুর্যের আলো দেখিনি ।। তোমার কালো স্যাতস্যাতে ঘরে আর তো ভাল লাগেনা সারথি আমি অতীষ্ট ইদানিং আমার গুমরে কাঁদার অভ্যেস এক হয়েছে জীবন স্রোতস্বিনী্র মাঝে বিরাট চর পরেছে ধু ধু বালু ঘেরা সেই চরে কোন প্রাণের চিহ্ন নেই হতাশা হতাশার নিঃশ্বাস ……..

চা খাব না

আজকে আমি চাঁদ ছোব না চাঁদের সাথে আড়ি আজকে আকাশ আকাশ শুধুই বন্ধ বাড়াবাড়ি হাওয়ায় আমি ভাসবো না আজ ভাসবে ধুলিকণা আজ হবে না হাওয়ার সাথে আমার বনিবনা আজকে আমি চা খাব না ঠান্ডা হবে চায়ের কাপ আজকে আমি চা খাব না আজকে আমার মন খারাপ সাগর তুমি সাগর শুধুই আজকে তুমি বন্ধু নও আজকে না হয় ভাটার টানে অনেক অনেক দূরের হও তোর বুকে আজ হাঁটবো না পথ বসবো না তোর পাশে আজকে আমি একলা হব মগ্ন সর্বনাশে

জীবনের প্রতিটি

জীবনের প্রতিটি ক্ষনে আমি তোমায় আপন করে খুব কাছে পেতে চাই ।। কী করে বোঝাবো আমার এ জীবনে প্রতিটি স্বপনে তুমি একজনই ।। দেখে প্রতিটি প্রহর স্বপ্ন তোমাকে নিয়ে এই দু’নয়ন কভু হবে যে তুমি ছায়া হয়ে মিশে যে আছো সারাক্ষন সুখ দুখ কোন কিছু বুঝি না বুঝি শুধু আমি তোমাকে জীবনের কোন মানে থাকে না তুমি যদি না থাকো বুকে ।। দেখে প্রতিটি প্রহর স্বপ্ন তোমাকে নিয়ে এই দু’নয়ন কভু হবে যে তুমি ছায়া হয়ে মিশে যে আছো সারাক্ষন জীবনের প্রতিটি ক্ষনে আমি তোমায় আপন করে খুব কাছে পেতে চাই । আমার প্রতিটি ক্ষনে আমি তোমায় আপন করে খুব কাছে পেতে চাই । বিশ্বাস করো কী-না জানিনা তোমারই বিনিময়ে এই জীবন সব সুখ দিতে পারে নিলামে কষ্টকে সাথে মেনে আজীবন দেখে প্রতিটি প্রহর স্বপ্ন তোমাকে নিয়ে এই দু’নয়ন কভু হবে যে তুমি ছায়া হয়ে মিশে যে আছো সারাক্ষন কী করে বোঝাবো আমার এ জীবনে প্রতিটি স্বপনে তুমি একজনই ।। দেখে প্রতিটি প্রহর স্বপ্ন তোমাকে নিয়ে এই দু’নয়ন কভু হবে যে তুমি ছায়া হয়ে মিশে যে আছো সারাক্ষন জীবনের প্রতিটি ক্ষনে আমি তোমায় আপন করে খুব কাছে পেতে চাই । আমার প্রতিটি ক্ষনে আমি তোমায় আপন করে খুব

যতই বলো না সব

যতই বল না কেন সব ভুলে গেছ তুমি আর ভালবাসনা যে আমায় আমার সীমানা ছেড়ে দূরে যাবে যাও দেখবে রয়েছি আমি সে ছায়ায় ।। বড় কৃত্রিম ছিল এই আমাকে ভোলার অভিনয় বুঝেছি জানতে চেয়েছো নতুন করে কতখানি ভালবাসি তোমায় ।। কীভাবে গড়বে তুমি আধারে প্রাচীর ভেবে ভেবে তুমি আস্থির প্রহরী হয়ে আমি খুঁজবো তোমায় প্রয়োজনে সব গুলো কড়ায় বড় কৃত্রিম ছিল এই আমাকে ভোলার অভিনয় বুঝেছি জানতে চেয়েছো নতুন করে কতখানি ভালবাসি তোমায় ।। কীভাবে বলে তুমি তুমি যে দু’দিনের ভেবে তোমার রাতে ঘুম নেই ।। তোমারই প্রতিটি ছলা যতটা জানি তার বেশি কারো জানা নয় বড় কৃত্রিম ছিল এই আমাকে ভোলার অভিনয় বুঝেছি জানতে চেয়েছো নতুন করে কতখানি ভালবাসি তোমায় ।। যতই বল না কেন সব ভুলে গেছ তুমি আর ভালবাসনা যে আমায় আমার সীমানা ছেড়ে দূরে যাবে যাও দেখবে রয়েছি আমি সে ছায়ায় ।। বড় কৃত্রিম ছিল এই আমাকে ভোলার অভিনয় বুঝেছি জানতে চেয়েছো নতুন করে কতখানি ভালবাসি তোমায় ।।