Posts

Showing posts from April, 2019

আমি তোমায় না দেখি তুমি আমার না হও

আমি তোমায় না দেখি তুমি আমার না হও আমি যত দূরে যাই চলে তুমি কাছে রও… আমি স্বপ্নে তোমায় দেখে ঘুমিয়ে যখন রই  স্মৃতিতে এসো তুমি যদি দিশেহারা হই একা হয়ে যাই আমি স্বপ্ন স্মৃতি ছারা তুমি ছারা মনে হয় আমি তো আমি নই তোমায় না দেখি তুমি আমার না হও আমি যত দূরে যাই চলে তুমি কাছে রও… তুমি যদি ভালো থাক কষ্টে আমি রই স্বার্থপর এই আমি তোমার সুখে সুখী নই… ভেবেছি অনেক আগে দুজনে হাটবো পাশে একা আমি হাটি ভাবি তোমাকে পাবো কই তোমায় না দেখি তুমি আমার না হও আমি যত দূরে যাই চলে তুমি কাছে রও আমি তোমায় না দেখি তুমি আমার না হও আমি যত দূরে যাই চলে তুমি কাছে রও…

আমি তোমায় না দেখি তুমি আমার না হও

আমি তোমায় না দেখি তুমি আমার না হও আমি যত দূরে যাই চলে তুমি কাছে রও... আমি স্বপ্নে তোমায় দেখে ঘুমিয়ে যখন রই  স্মৃতিতে এসো তুমি যদি দিশেহারা হই একা হয়ে যাই আমি স্বপ্ন স্মৃতি ছারা তুমি ছারা মনে হয় আমি তো আমি নই তোমায় না দেখি তুমি আমার না হও আমি যত দূরে যাই চলে তুমি কাছে রও... তুমি যদি ভালো থাক কষ্টে আমি রই স্বার্থপর এই আমি তোমার সুখে সুখী নই... ভেবেছি অনেক আগে দুজনে হাটবো পাশে একা আমি হাটি ভাবি তোমাকে পাবো কই তোমায় না দেখি তুমি আমার না হও আমি যত দূরে যাই চলে তুমি কাছে রও আমি তোমায় না দেখি তুমি আমার না হও আমি যত দূরে যাই চলে তুমি কাছে রও...

দেখ না মন, ঝকমারি এই দুনিয়াদারী

দেখ না মন, ঝকমারি এই দুনিয়াদারী। আচ্ছা মজা কপনি-ধ্বজা উড়ালে ফকিরী।।             যা কর তা কর রে মন,             তোর পিছের কথা রেখে স্মরণ;             বরাবরই (ও তার) পিছে পিছে ঘুরছে শমন,                         কখন হাতে দিবে দড়ি।।             (তখন) দরদের ভাই বন্ধুজনা,             সঙ্গে তোমার কেউ যাবে না;             মন তোমারি, তারা একা পথে খালি আতে                         বিদায় দিবে তোমারি।।             বড় আশার বাসাখানি             কোথায় পড়ে রবে মন তোর ঠিক না জানি;             সিরাজ সাঁই কয়, লালন ভেরো                         তুই করিস্‌ নে কার এন্‌তাজারি।। শ্রীকরুণাময় গোস্বামী, ‘হারামণি’, প্রবাসী, ভাদ্র ১৩২২ কিছু ভিন্ন কথান্তর নিয়ে গানটি ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান'(পৃ. ৩৬)-এ এভাবে সংকলিত হয়েছেঃ দেখ না রে মন ঝকমারি এই দুনিয়াদারি। আচ্ছা কপনি-ধ্বজা উড়ালে করে ফকিরি।।             যা করো তা করো রে মন,             রেখো পিছের কথা আগে স্মরণ                         বরাবরই।             (ও তোর) পিছে পিছে ঘুরছে শমন,                         কখন দেবে হাতে দড়ি।।             দরদের ভাই বন্ধুজনা,          

দেখ না মন, ঝকমারি এই দুনিয়াদারী

দেখ না মন, ঝকমারি এই দুনিয়াদারী। আচ্ছা মজা কপনি-ধ্বজা উড়ালে ফকিরী।।             যা কর তা কর রে মন,             তোর পিছের কথা রেখে স্মরণ;             বরাবরই (ও তার) পিছে পিছে ঘুরছে শমন,                         কখন হাতে দিবে দড়ি।।             (তখন) দরদের ভাই বন্ধুজনা,             সঙ্গে তোমার কেউ যাবে না;             মন তোমারি, তারা একা পথে খালি আতে                         বিদায় দিবে তোমারি।।             বড় আশার বাসাখানি             কোথায় পড়ে রবে মন তোর ঠিক না জানি;             সিরাজ সাঁই কয়, লালন ভেরো                         তুই করিস্‌ নে কার এন্‌তাজারি।। শ্রীকরুণাময় গোস্বামী, ‘হারামণি’, প্রবাসী, ভাদ্র ১৩২২ কিছু ভিন্ন কথান্তর নিয়ে গানটি ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান'(পৃ. ৩৬)-এ এভাবে সংকলিত হয়েছেঃ দেখ না রে মন ঝকমারি এই দুনিয়াদারি। আচ্ছা কপনি-ধ্বজা উড়ালে করে ফকিরি।।             যা করো তা করো রে মন,             রেখো পিছের কথা আগে স্মরণ                         বরাবরই।             (ও তোর) পিছে পিছে ঘুরছে শমন,                         ক

আছে আদি মক্কা এই মানব দেহে

আছে আদি মক্কা এই মানব দেহে            দেখ না রে মন চেয়ে। দেশ-দেশান্তর দৌড়ে এবার            মরিস্‌ কেন হাঁপিয়ে।। করে অতি আজব ভাক্কা গঠেছে সাঁই মানুষ-মক্কা            কুদরতি নূর দিয়ে। ও তার চার দ্বারে চার নূরের ইমাম            মধ্যে সাঁই বসিয়ে।। মানুষ-মক্কা কুদরতি কাজ উঠছে রে আজগুবি আওয়াজ            সাততলা ভেদিয়ে। আছে সিংহ-দরজায় দ্বারী একজন            নিদ্রাত্যাগী হয়ে।। দশ-দুয়ারী মানুষ মক্কা গুরুপদে ডুবে দেখ না            ধাক্কা সামলায়ে। ফকির লালন বলে, সে যে গুপ্ত মক্কা            আমি ইমাম সেই মিঞে। ওরে সেথা যাই             কোন পথ দিয়ে।।

আছে আদি মক্কা এই মানব দেহে

আছে আদি মক্কা এই মানব দেহে            দেখ না রে মন চেয়ে। দেশ-দেশান্তর দৌড়ে এবার            মরিস্‌ কেন হাঁপিয়ে।। করে অতি আজব ভাক্কা গঠেছে সাঁই মানুষ-মক্কা            কুদরতি নূর দিয়ে। ও তার চার দ্বারে চার নূরের ইমাম            মধ্যে সাঁই বসিয়ে।। মানুষ-মক্কা কুদরতি কাজ উঠছে রে আজগুবি আওয়াজ            সাততলা ভেদিয়ে। আছে সিংহ-দরজায় দ্বারী একজন            নিদ্রাত্যাগী হয়ে।। দশ-দুয়ারী মানুষ মক্কা গুরুপদে ডুবে দেখ না            ধাক্কা সামলায়ে। ফকির লালন বলে, সে যে গুপ্ত মক্কা            আমি ইমাম সেই মিঞে। ওরে সেথা যাই             কোন পথ দিয়ে।।

দেখ নারে ভাব-নগরে ভাবের কীর্তি

দেখ নারে ভাব-নগরে ভাবের কীর্তি।  জলের ভিতরে রে জ্বলছে বাতি।।  ভাবের মানুষ ভাবের খেলা  ভাবে বসে দেখ নিরালা  নীরেতে ক্ষীরেতে ভেলা                বয়ে জুতি।  জ্যোতিতে রতির উদয়  সামান্যে কি তাই জানা যায়  তাতে কত রূপ দেখা যায়                 লাল মতি।।  যখন নিঃশব্দ শব্দেরে খাবে  তখন ভাবের খেলা ভেঙে যাবে  লালন কয়, দেখবি তবে                 কি গতি।। 

দেখ নারে ভাব-নগরে ভাবের কীর্তি

দেখ নারে ভাব-নগরে ভাবের কীর্তি।  জলের ভিতরে রে জ্বলছে বাতি।।  ভাবের মানুষ ভাবের খেলা  ভাবে বসে দেখ নিরালা  নীরেতে ক্ষীরেতে ভেলা                বয়ে জুতি।  জ্যোতিতে রতির উদয়  সামান্যে কি তাই জানা যায়  তাতে কত রূপ দেখা যায়                 লাল মতি।।  যখন নিঃশব্দ শব্দেরে খাবে  তখন ভাবের খেলা ভেঙে যাবে  লালন কয়, দেখবি তবে                 কি গতি।। 
চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম সুন্দরি দেখ না, ললনাকে দেখ না। – হে – হে — চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম সুন্দরি দেখ না, চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম মাধবিকে দেখ না, চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম লোনাঝোনা দেখ না, চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম ললনাকে দেখ না। সুন্দরি দেখে দেখে নিজেরি অন্তরে দুঃখকে একা একা এঁকো না – ২ চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম সুন্দরি দেখ না, মাধবিকে দেখ না, লোনাঝোনা দেখ না, ললনাকে দেখ না। স্বপ্নের পুকুরে একা একা তুমি তার কথা ভেবে ডুব দিও না, ব্যাকুল ঠোটের আকুল উঠনে আর কারো চুম্বন চেয়ো না। সুন্দরি দেখে দেখে নিজেরি অন্তরে দুঃখকে একা একা এঁকো না – ২ দুঃখ-কে একা একা এঁকো না। বার মাস খরা যাবে, ঠোটেদের চাষাবাদ হবে না। দুজনের দুটি দেহ পড়ে রবে দূরে, বৃষ্টির জলে আর ভিজবে না। সুন্দরি দেখে দেখে নিজেরি অন্তরে দুঃখকে একা একা এঁকো না – ২ চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম সুন্দরি দেখ না, চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম মাধবিকে দেখ না, চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম লোনাঝোনা দেখ না, চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম ললনাকে দেখ না। সুন্দরি দেখে দেখে নিজেরি অন্তরে দুঃখকে একা একা এঁকো না – ২ চোখের ও দৃষ্টিক
চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম সুন্দরি দেখ না, ললনাকে দেখ না। - হে – হে -- চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম সুন্দরি দেখ না, চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম মাধবিকে দেখ না, চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম লোনাঝোনা দেখ না, চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম ললনাকে দেখ না। সুন্দরি দেখে দেখে নিজেরি অন্তরে দুঃখকে একা একা এঁকো না – ২ চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম সুন্দরি দেখ না, মাধবিকে দেখ না, লোনাঝোনা দেখ না, ললনাকে দেখ না। স্বপ্নের পুকুরে একা একা তুমি তার কথা ভেবে ডুব দিও না, ব্যাকুল ঠোটের আকুল উঠনে আর কারো চুম্বন চেয়ো না। সুন্দরি দেখে দেখে নিজেরি অন্তরে দুঃখকে একা একা এঁকো না – ২ দুঃখ-কে একা একা এঁকো না। বার মাস খরা যাবে, ঠোটেদের চাষাবাদ হবে না। দুজনের দুটি দেহ পড়ে রবে দূরে, বৃষ্টির জলে আর ভিজবে না। সুন্দরি দেখে দেখে নিজেরি অন্তরে দুঃখকে একা একা এঁকো না – ২ চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম সুন্দরি দেখ না, চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম মাধবিকে দেখ না, চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম লোনাঝোনা দেখ না, চোখের ও দৃষ্টিকে কতবার বললাম ললনাকে দেখ না। সুন্দরি দেখে দেখে নিজেরি অন্তরে দুঃখকে একা একা এঁকো
কি হবে বেচে থেকে অযথা বিদ্যা শিখে যদি না গড়তে পারি শোষণ বিহীন সমাজটাকে কি হবে ছাত্র সেজে চুমু খেয়ে সনদ খানা যদি হয় বিদ্যালয়টা পতিতাদের আড্ডাখানা এর চেয়ে মরাই ভাল দেশ ছেড়ে যাওয়াই ভাল কি হবে ধোকা দিয়ে বিবেকটাকে? কি হবে আলেম হয়ে ইমাম সেজে সমাজেতে? যদি না পারো সত্য কথা উচ্চসরে না বলিতে? কি হবে যুবক নামে বোঝা হয়ে এ ধরাতে? যেখানে ধর্ষিত হয় মা বোন দিনে রাতে কি হবে নেতা হয়ে জনবলে ঘাড় ফুলিয়ে রাজপথ গরম দেখে যদি থাক ঘরে শুয়ে? এর চেয়ে সেজে গুজে ভিলেনের সঠিক পোজে দিয়ে দাও অভিনয় জীবনটাকে কি হবে লেখালেখির কলমবাজির এই মহড়া? সমাজের আসল চিত্র যদি না যাই তুলে ধরা কি হবে নামাজ রোজা ইমানদারির বড়াই করে? যদি ঐ খোদার কুরান নর্দামাতে থাকে পরে মসজিদের কোনে বসে জিকির যত কর কষে এভাবে যাইনা পাওয়া আল্লাহকে কি হবে পুরুষ হয়ে জন্ম নিয়ে এই ধরাতে? যদি যাই ক্ষমতাটাকে ঘুরে ফিরে নারীর হাতে কি হবে কাতাবাদির তালিম দিয়ে মাদ্রাসাতে? যদি সেই কুরান হাদিস নিষিদ্ধ হয় আদালতে কবি :-বিদ্রহি কবি আইনুদ্দিন আল আজাদ
কি হবে বেচে থেকে অযথা বিদ্যা শিখে যদি না গড়তে পারি শোষণ বিহীন সমাজটাকে কি হবে ছাত্র সেজে চুমু খেয়ে সনদ খানা যদি হয় বিদ্যালয়টা পতিতাদের আড্ডাখানা এর চেয়ে মরাই ভাল দেশ ছেড়ে যাওয়াই ভাল কি হবে ধোকা দিয়ে বিবেকটাকে? কি হবে আলেম হয়ে ইমাম সেজে সমাজেতে? যদি না পারো সত্য কথা উচ্চসরে না বলিতে? কি হবে যুবক নামে বোঝা হয়ে এ ধরাতে? যেখানে ধর্ষিত হয় মা বোন দিনে রাতে কি হবে নেতা হয়ে জনবলে ঘাড় ফুলিয়ে রাজপথ গরম দেখে যদি থাক ঘরে শুয়ে? এর চেয়ে সেজে গুজে ভিলেনের সঠিক পোজে দিয়ে দাও অভিনয় জীবনটাকে কি হবে লেখালেখির কলমবাজির এই মহড়া? সমাজের আসল চিত্র যদি না যাই তুলে ধরা কি হবে নামাজ রোজা ইমানদারির বড়াই করে? যদি ঐ খোদার কুরান নর্দামাতে থাকে পরে মসজিদের কোনে বসে জিকির যত কর কষে এভাবে যাইনা পাওয়া আল্লাহকে কি হবে পুরুষ হয়ে জন্ম নিয়ে এই ধরাতে? যদি যাই ক্ষমতাটাকে ঘুরে ফিরে নারীর হাতে কি হবে কাতাবাদির তালিম দিয়ে মাদ্রাসাতে? যদি সেই কুরান হাদিস নিষিদ্ধ হয় আদালতে কবি :-বিদ্রহি কবি আইনুদ্দিন আল আজাদ
জাত গেল জাত গেল বলে একি আজব কারখানা সত্য কাজে কেউ নয় রাজি সবি দেখি তা না-না-না।। আসবার কালে কি জাত ছিলে এসে তুমি কি জাত নিলে, কি জাত হবা যাবার কালে সে কথা ভেবে বল না।। ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি এক জলেই সব হয় গো শুচি, দেখে শুনে হয় না রুচি যমে তো কাকেও ছাড়বে না।। গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়, তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়। লালন বলে জাত কারে কয় এ ভ্রম তো গেল না।।
পাবে সামান্যে কি তার দেখা! (ওরে) বেদে নাই যার রূপ-রেখা।।            কেউ বলে, পরম মিষ্টি            কারো না হইল দৃষ্টি            বরাতে দুনিয়া সৃষ্টি (ওরে) তাই নিয়ে লেখাজোখা।।            নিরাকার ব্রহ্ম হয় সে            সদাই ফেরে অচিন দেশে-            দোসর তাই নাইকো পাশে, (ওরে) ফেরে সে একা একা।।            কিঞ্চিৎ ধ্যানে মহাদেব,            সে তুলনা কি আর দেবো!            লালন বলে, গুরু ভাবো (তোমার) যাবে রে মনের ধোঁকা।
পাগল ও হয়ে বন্ধু পাগল  বানায়লি পাগল ২ আজো ভালবাসি দিয়ে মুখের হাসি  যত দোষের দোষী আমায় বানায়লি পাগল ২ পাগল ও হয়ে বন্ধু পাগল বানায়লি পাগল পাগলও হয়ে বুকেতে নিয়ে নয়নের জ্বলে বন্ধু আমায় ভাসাইলি আমি প্রেমেরই পরিনাম,২ এতদিনে পাইলাম, ভিখারী সাজিলাম, নিঃস্ব হইলাম পাগল ও হয়ে বন্ধু পাগল বানায়লি পাগল আগে যদি জানিতাম প্রেমে না মজিতাম এ মনো এই প্রান না দিতাম সপি ওরে পাগল হইয়া মনে কয়, বন্ধুরে,  যদি তোমার মনে লয়, দেখিয়া যাইও বন্ধূ মরনের কালে পাগল ও হয়ে বন্ধু পাগল বানায়লি পাগল আজো ভালবাসি দিয়ে মুখের হাসি
পাগল ও হয়ে বন্ধু পাগল  বানায়লি পাগল ২ আজো ভালবাসি দিয়ে মুখের হাসি  যত দোষের দোষী আমায় বানায়লি পাগল ২ পাগল ও হয়ে বন্ধু পাগল বানায়লি পাগল পাগলও হয়ে বুকেতে নিয়ে নয়নের জ্বলে বন্ধু আমায় ভাসাইলি আমি প্রেমেরই পরিনাম,২ এতদিনে পাইলাম, ভিখারী সাজিলাম, নিঃস্ব হইলাম পাগল ও হয়ে বন্ধু পাগল বানায়লি পাগল আগে যদি জানিতাম প্রেমে না মজিতাম এ মনো এই প্রান না দিতাম সপি ওরে পাগল হইয়া মনে কয়, বন্ধুরে,  যদি তোমার মনে লয়, দেখিয়া যাইও বন্ধূ মরনের কালে পাগল ও হয়ে বন্ধু পাগল বানায়লি পাগল আজো ভালবাসি দিয়ে মুখের হাসি
জাত গেল জাত গেল বলে একি আজব কারখানা সত্য কাজে কেউ নয় রাজি সবি দেখি তা না-না-না।। আসবার কালে কি জাত ছিলে এসে তুমি কি জাত নিলে, কি জাত হবা যাবার কালে সে কথা ভেবে বল না।। ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি এক জলেই সব হয় গো শুচি, দেখে শুনে হয় না রুচি যমে তো কাকেও ছাড়বে না।। গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়, তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়। লালন বলে জাত কারে কয় এ ভ্রম তো গেল না।।
পাবে সামান্যে কি তার দেখা! (ওরে) বেদে নাই যার রূপ-রেখা।।            কেউ বলে, পরম মিষ্টি            কারো না হইল দৃষ্টি            বরাতে দুনিয়া সৃষ্টি (ওরে) তাই নিয়ে লেখাজোখা।।            নিরাকার ব্রহ্ম হয় সে            সদাই ফেরে অচিন দেশে-            দোসর তাই নাইকো পাশে, (ওরে) ফেরে সে একা একা।।            কিঞ্চিৎ ধ্যানে মহাদেব,            সে তুলনা কি আর দেবো!            লালন বলে, গুরু ভাবো (তোমার) যাবে রে মনের ধোঁকা।
মিলন হবে কত দিনে    আমার মনের মানুষের সনে।।    চাতক প্রায় অহর্নিশি    চেয়ে আছি কালো শশী    হব বলে চরণ-দাসী,    ও তা হয় না কপাল-গুণে।।    মেঘের বিদ্যুৎ মেঘেই যেমন    লুকালে না পাই অন্বেষণ,    কালারে হারায়ে তেমন    ঐ রূপ হেরি এ দর্পণে।।    যখন ও-রূপ স্মরণ হয়,    থাকে না লোক-লজ্জার ভয়-    লালন ফকির ভেবে বলে সদাই (ঐ) প্রেম যে করে সে জানে।।
 চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি          ভেদ-পরিচয় দেয় না আমায় (আমার) ঐ খেদে ঝুরে আঁখি।।          বুলি বলে শুনতে পাই          রূপ কেমন দেখিনা ভাই (আমি) ভীষণ ঘোর দেখি          চেনাল পেয়ে চিনে নিতাম (আমার) যেতো মনের ধুকধুকি।।          পোষা পাখি চিনলাম না          এ লজ্জা তো যাবে না- (আমি) উপায় কি করি!          কোন দিনে-যে উড়ে যাবে (আমার) ধুলো দিয়ে দুই চোখই।।
(ভবে) মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার         সর্ব সাধন সিদ্ধ হয় তার।।         নদী কিংবা বিল-বাঁওড়-খাল         সর্বস্থলে একই এক জল,         একা মেরে সাঁই হেরে সর্ব ঠাঁই         মানুষে মিশিয়া হয় বিধান তার।।         নিরাকারে জ্যোতির্ময় যে,         আকার সাকার হইল সে।         দিব্যজ্ঞানী হয় তবে জানতে পায়         কলি যুগে হলেন মানুষ-অবতার।।         বহু তর্কে দিন বয়ে যায়         বিশ্বাসের ধন নিকটে রয়-         সিরাজ সাঁই ডেকে বলে লালনকে         কুতর্কের দোকান সে করে না আর।।
 আমি অপার হয়ে বসে আছি      ও হে দয়াময়,      পারে লয়ে যাও আমায়।।      আমি একা রইলাম ঘাটে      ভানু সে বসিল পাটে- (আমি) তোমা বিনে ঘোর সংকটে      না দেখি উপায়।।      নাই আমার ভজন-সাধন      চিরদিন কুপথে গমন-      নাম শুনেছি পতিত-পাবন      তাইতে দিই দোহাই।।      অগতির না দিলে গতি      ঐ নামে রবে অখ্যাতি-      লালন কয়, অকুলের পতি      কে বলবে তোমায়।।
ও যার আপন খবর আপনার হয় না, একবার আপনারে চিনতে পারলে রে যাবে অচেনারে চেনা।। ও সাঁই নিকট থেকে দূরে দেখায় যেমন কেশের আড়ে পাহাড় লুকায় দেখ না। আমি ঘুরে এলাম সারা জগত রে তবু মনের গোল তো যায় না।। ও সে আমৃত সাগরের সুধা- সুধা খাইলে জীবের ক্ষুধা-তৃষ্ণা রয় না। ফকির লালন মরল জল-পিপাসায় রে কাছে থাকতে নদী মেঘনা।।
(ভবে) মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার         সর্ব সাধন সিদ্ধ হয় তার।।         নদী কিংবা বিল-বাঁওড়-খাল         সর্বস্থলে একই এক জল,         একা মেরে সাঁই হেরে সর্ব ঠাঁই         মানুষে মিশিয়া হয় বিধান তার।।         নিরাকারে জ্যোতির্ময় যে,         আকার সাকার হইল সে।         দিব্যজ্ঞানী হয় তবে জানতে পায়         কলি যুগে হলেন মানুষ-অবতার।।         বহু তর্কে দিন বয়ে যায়         বিশ্বাসের ধন নিকটে রয়-         সিরাজ সাঁই ডেকে বলে লালনকে         কুতর্কের দোকান সে করে না আর।।
 আমি অপার হয়ে বসে আছি      ও হে দয়াময়,      পারে লয়ে যাও আমায়।।      আমি একা রইলাম ঘাটে      ভানু সে বসিল পাটে- (আমি) তোমা বিনে ঘোর সংকটে      না দেখি উপায়।।      নাই আমার ভজন-সাধন      চিরদিন কুপথে গমন-      নাম শুনেছি পতিত-পাবন      তাইতে দিই দোহাই।।      অগতির না দিলে গতি      ঐ নামে রবে অখ্যাতি-      লালন কয়, অকুলের পতি      কে বলবে তোমায়।।
মিলন হবে কত দিনে    আমার মনের মানুষের সনে।।    চাতক প্রায় অহর্নিশি    চেয়ে আছি কালো শশী    হব বলে চরণ-দাসী,    ও তা হয় না কপাল-গুণে।।    মেঘের বিদ্যুৎ মেঘেই যেমন    লুকালে না পাই অন্বেষণ,    কালারে হারায়ে তেমন    ঐ রূপ হেরি এ দর্পণে।।    যখন ও-রূপ স্মরণ হয়,    থাকে না লোক-লজ্জার ভয়-    লালন ফকির ভেবে বলে সদাই (ঐ) প্রেম যে করে সে জানে।।
ও যার আপন খবর আপনার হয় না, একবার আপনারে চিনতে পারলে রে যাবে অচেনারে চেনা।। ও সাঁই নিকট থেকে দূরে দেখায় যেমন কেশের আড়ে পাহাড় লুকায় দেখ না। আমি ঘুরে এলাম সারা জগত রে তবু মনের গোল তো যায় না।। ও সে আমৃত সাগরের সুধা- সুধা খাইলে জীবের ক্ষুধা-তৃষ্ণা রয় না। ফকির লালন মরল জল-পিপাসায় রে কাছে থাকতে নদী মেঘনা।।
 চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি          ভেদ-পরিচয় দেয় না আমায় (আমার) ঐ খেদে ঝুরে আঁখি।।          বুলি বলে শুনতে পাই          রূপ কেমন দেখিনা ভাই (আমি) ভীষণ ঘোর দেখি          চেনাল পেয়ে চিনে নিতাম (আমার) যেতো মনের ধুকধুকি।।          পোষা পাখি চিনলাম না          এ লজ্জা তো যাবে না- (আমি) উপায় কি করি!          কোন দিনে-যে উড়ে যাবে (আমার) ধুলো দিয়ে দুই চোখই।।
ধন্য ধন্য বলি তারে বেঁধেছে এমন ঘর শূন্যের উপর ফটকা করে।। সবে মাত্র একটি খুঁটি খুঁটির গোড়ায় নাইকো মাটি, কিসে ঘর রবে খাঁটি ঝড়ি-তুফান এলে পরে।। মূলাধার কুঠরি নয় টা তার উপরে চিলে-কোঠা তাহে এক পাগলা বেটা বসে একা একেশ্বরে।। উপর নীচে সারি সারি সাড়ে নয় দরজা তারি লালন কয় যেতে পারি কোন্‌ দরজা খুলে ঘরে।।
যেখানে সাঁর বারামখানা শুনিলে প্রাণ চমকে ওঠে- দেখতে যেমন ভুজঙ্গনা।। যা ছুঁইলে প্রাণে মরি এ জগতে তাইতে তরি, বুঝেও তা বুঝতে নারি কীর্তিকর্মার কি কারখানা।। আত্মতত্ত্ব যে জেনেছে দিব্যজ্ঞানী সেই হয়েছে, কুবৃক্ষে সুফল পেয়েছে আমার মনের ঘোর গেলো না।। যে ধনের উৎপত্তি প্রাণধন সেই ধনেরি হলো না যতন, অকালের ফল পাকায় লালন এই দুঃখের দোসর মিললো না।।
কে কথা কয় রে দেখা দেয় না? নড়ে চড়ে হাতের কাছে খুঁজলে জনমভর মেলে না।। খুঁজি তারে আসমান জমিন আমারে চিনি না আমি, এ বিষম ভ্রমের ভ্রমি আমি কোন্‌ জন, সে কোন্‌ জনা।। হাতের কাছে হয় না খবর, কি দেখতে যাও দিল্লির শহর! সিরাজ সাঁই কয়, লালন রে তোর সদাই মনের ঘোর গেল না।।
ধন্য ধন্য বলি তারে বেঁধেছে এমন ঘর শূন্যের উপর ফটকা করে।। সবে মাত্র একটি খুঁটি খুঁটির গোড়ায় নাইকো মাটি, কিসে ঘর রবে খাঁটি ঝড়ি-তুফান এলে পরে।। মূলাধার কুঠরি নয় টা তার উপরে চিলে-কোঠা তাহে এক পাগলা বেটা বসে একা একেশ্বরে।। উপর নীচে সারি সারি সাড়ে নয় দরজা তারি লালন কয় যেতে পারি কোন্‌ দরজা খুলে ঘরে।।
যেখানে সাঁর বারামখানা শুনিলে প্রাণ চমকে ওঠে- দেখতে যেমন ভুজঙ্গনা।। যা ছুঁইলে প্রাণে মরি এ জগতে তাইতে তরি, বুঝেও তা বুঝতে নারি কীর্তিকর্মার কি কারখানা।। আত্মতত্ত্ব যে জেনেছে দিব্যজ্ঞানী সেই হয়েছে, কুবৃক্ষে সুফল পেয়েছে আমার মনের ঘোর গেলো না।। যে ধনের উৎপত্তি প্রাণধন সেই ধনেরি হলো না যতন, অকালের ফল পাকায় লালন এই দুঃখের দোসর মিললো না।।
কে কথা কয় রে দেখা দেয় না? নড়ে চড়ে হাতের কাছে খুঁজলে জনমভর মেলে না।। খুঁজি তারে আসমান জমিন আমারে চিনি না আমি, এ বিষম ভ্রমের ভ্রমি আমি কোন্‌ জন, সে কোন্‌ জনা।। হাতের কাছে হয় না খবর, কি দেখতে যাও দিল্লির শহর! সিরাজ সাঁই কয়, লালন রে তোর সদাই মনের ঘোর গেল না।।
বাড়ির কাছে আরশী নগর (একঘর) সেথা পড়শী বসত করে-          আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।।          গেরাম বেড়ে অগাধ পানি          নাই কিনারা নাই তরণী পারে,          বাঞ্ছা করি দেখব তারে (আমি) কেমনে সেথা যাই রে।।          কি বলব পড়শীর কথা,          হস্ত পদ স্কন্ধ মাথা নাই-রে          ক্ষণেক থাকে শূণ্যের উপর (ওসে) ক্ষণেক ভাসে নীরে।।          পড়শী যদি আমায় ছুঁতো,          যম যাতনা সকল যেতো দূরে।          সে আর লালন একখানে রয়- (তবু) লক্ষ যোজন ফাঁক রে।।
বাড়ির কাছে আরশী নগর (একঘর) সেথা পড়শী বসত করে-          আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।।          গেরাম বেড়ে অগাধ পানি          নাই কিনারা নাই তরণী পারে,          বাঞ্ছা করি দেখব তারে (আমি) কেমনে সেথা যাই রে।।          কি বলব পড়শীর কথা,          হস্ত পদ স্কন্ধ মাথা নাই-রে          ক্ষণেক থাকে শূণ্যের উপর (ওসে) ক্ষণেক ভাসে নীরে।।          পড়শী যদি আমায় ছুঁতো,          যম যাতনা সকল যেতো দূরে।          সে আর লালন একখানে রয়- (তবু) লক্ষ যোজন ফাঁক রে।।
সহজ মানুষ ভজে দেখনারে মন দিব্যজ্ঞানে পাবিরে অমূল্য নিধি বর্তমানে।। ভজ মানুষের চরণ দু’টি নিত্য বস্তু হবে খাঁটি মরিলে সব হবে মাটি ত্বরায় এই ভেদ লও জেনে।। শুনি ম’লে পাবো বেহেস্তখানা তা শুনে তো মন মানে না বাকির লোভে নগদ পাওনা কে ছাড়ে এই ভুবনে।। আচ্ছালাতুল মেরাজুল মোমেনীনা জানতে হয় নামাজের বেনা বিশ্বাসীদের দেখাশোনা লালন কয় এই ভুবনে।।
মদীনায় রাছুল নামে কে এল ভাই কায়াধারী হয়ে কেন তার ছায়া নাই।। ছায়াহীন যার কায়া ত্রিজগতে তারই ছায়া এই কথাটির মর্ম লওয়া অবশ্য চায়।। কি দিব তুলনা তারে খুঁজে পাইনে এ সংসারে মেঘে যেমন ছায়া ধরে ধুপের সময়।। ছায়াহীন যারে দেখি শরীক নাই যার সেই লা-শরীক লালন বলে তার হাকিকি বলতে ডরাই।।
সহজ মানুষ ভজে দেখনারে মন দিব্যজ্ঞানে পাবিরে অমূল্য নিধি বর্তমানে।। ভজ মানুষের চরণ দু’টি নিত্য বস্তু হবে খাঁটি মরিলে সব হবে মাটি ত্বরায় এই ভেদ লও জেনে।। শুনি ম’লে পাবো বেহেস্তখানা তা শুনে তো মন মানে না বাকির লোভে নগদ পাওনা কে ছাড়ে এই ভুবনে।। আচ্ছালাতুল মেরাজুল মোমেনীনা জানতে হয় নামাজের বেনা বিশ্বাসীদের দেখাশোনা লালন কয় এই ভুবনে।।
মদীনায় রাছুল নামে কে এল ভাই কায়াধারী হয়ে কেন তার ছায়া নাই।। ছায়াহীন যার কায়া ত্রিজগতে তারই ছায়া এই কথাটির মর্ম লওয়া অবশ্য চায়।। কি দিব তুলনা তারে খুঁজে পাইনে এ সংসারে মেঘে যেমন ছায়া ধরে ধুপের সময়।। ছায়াহীন যারে দেখি শরীক নাই যার সেই লা-শরীক লালন বলে তার হাকিকি বলতে ডরাই।।
পারে কে যাবি নবীর নৌকাতে আয় রূপকষ্ঠের নৌকাখানি নাই ডুবায় ভয়।। বেহুঁশে নেয়ে যারা তুফানে যাবে মারা একই ধাক্কায়; কি করবে বদর গাজী থাকবে কোথায়।। নবী না মানে যারা মোয়াহেদ কাফের তারা এই দুনিয়ায়; ভজনে তার নাই মজুরী দলিলে ছাপ দেখা যায়।। যেহি মুর্শিদ নেই তো রাছুল ইহাতে নেই কোন ভুল খোদাও সে হয়; লালন কয় না এমন কথা কোরআনে কয়।।
নবী না চিনলে সেকি খোদার ভেদ পায় চিনিতে বলেছেন খোদে সেই দয়াময়।। কোন নবী হইল ওফাত কোন নবী বান্দার হায়াত নিহাজ করে জানলে নেহাত যাবে সংশয়।। যে নবী পারের কান্ডার জিন্দা সে চার যুগের উপর হায়াতুল মুরছালিন নাম তার সেই জন্য কয়।। যে নবী আজ সঙ্গে তোরো চিনে মন তার দাওন ধরো লালন বলে পারের কারো সাধ যদি রয়।।
পারে কে যাবি নবীর নৌকাতে আয় রূপকষ্ঠের নৌকাখানি নাই ডুবায় ভয়।। বেহুঁশে নেয়ে যারা তুফানে যাবে মারা একই ধাক্কায়; কি করবে বদর গাজী থাকবে কোথায়।। নবী না মানে যারা মোয়াহেদ কাফের তারা এই দুনিয়ায়; ভজনে তার নাই মজুরী দলিলে ছাপ দেখা যায়।। যেহি মুর্শিদ নেই তো রাছুল ইহাতে নেই কোন ভুল খোদাও সে হয়; লালন কয় না এমন কথা কোরআনে কয়।।
নবী না চিনলে সেকি খোদার ভেদ পায় চিনিতে বলেছেন খোদে সেই দয়াময়।। কোন নবী হইল ওফাত কোন নবী বান্দার হায়াত নিহাজ করে জানলে নেহাত যাবে সংশয়।। যে নবী পারের কান্ডার জিন্দা সে চার যুগের উপর হায়াতুল মুরছালিন নাম তার সেই জন্য কয়।। যে নবী আজ সঙ্গে তোরো চিনে মন তার দাওন ধরো লালন বলে পারের কারো সাধ যদি রয়।।
ভবে কে তাহারে চিনতে পারে এসে মদীনায় তরীক জানায় এ সংসারে।। সবে বলে নবী নবী নবী কি নিরঞ্জন ভাবি দেল ঢুঁড়িলে জানতে পাবি আহম্মদ নাম হল কারে।। যার মর্ম সে যদি না কয় কার সাধ্য কে জানিতে পায় তাইতে আমার দীন দয়াময় মানুষরূপে ঘোরে ফেরে।। নফী এজবাত যে বোঝেনা মিছেরে তার পড়াশুনা লালন কয় ভেদ উপাসনা না জেনে চটকে মারে।।
ভবে কে তাহারে চিনতে পারে এসে মদীনায় তরীক জানায় এ সংসারে।। সবে বলে নবী নবী নবী কি নিরঞ্জন ভাবি দেল ঢুঁড়িলে জানতে পাবি আহম্মদ নাম হল কারে।। যার মর্ম সে যদি না কয় কার সাধ্য কে জানিতে পায় তাইতে আমার দীন দয়াময় মানুষরূপে ঘোরে ফেরে।। নফী এজবাত যে বোঝেনা মিছেরে তার পড়াশুনা লালন কয় ভেদ উপাসনা না জেনে চটকে মারে।।
এলাহী আলমীন (গো) আল্লা বাদশা আলামপানা তুমি ডুবাইয়ে ভাসাইতে পার, ভাসায়ে কিনার দেও কারো রাখো মারো হাত তোমারম তাইতে তোমায় ডাকি আমি।। নুহু নামে এক নবীরে, ভাসালে অকুল পাথারে আবার তারে মেহের করে, আপনি লাগাও কিনারে জাহের আছে ত্রিসংসারে আমায় দয়া কর স্বামী।। নিজাম নামে বাটপার সেত, পাপেতে ডুবিয়া রইত তার মনে সুমতি দিলে, কুমতি তার গেল চলে আউলিয়া নাম খাতায় লিখিলে, জানা গেল এই রহমি।। নবী না মানে যারা, মোয়াহেদ কাফের তারা সেই মোয়াহেদ দায়মাল হবে, বেহিসাব দোজখে যাবে আবার তারা খালাস পাবে, লালন কয় মোর কি হয় জানি।।
ভুল না মন কারো ভোলে রাছুলের দ্বীন সত্য মান ডাক সদায় আল্লাহ বলে।। খোদা প্রাপ্ত মূল সাধনা রাছুল বিনে কেউ জানে না জাহের বাতুন উপাসনা রাছুল দ্বারা প্রকাশিলে।। দেখাদেখি সাধিলে যোগ বিপদ ঘটবে বাড়িবে রোগ যেজন হয় শুদ্ধ সাধক সেই রাছুলের ফারমানে চলে।। অপরকে বুঝাইতে তামাম করেন রাছুল জাহের কাম বাতুন মশগুল মুদাম কারো করো জানাইলে।। যেরূপ মুর্শিদ সেইরূপ রাছুল যে ভজে সে হবে মকবুল সিরাজ সাঁই কয় লালন কি কূল পাবি মুর্শিদ না ভজিলে।।
দিবানিশি থাকরে সব বা-হুঁশারী রাছুল বলে এ দুনিয়া মিছে ঝাকমারী।। পড়িলে আউজবিল্লা দূরে যায় কি নানতুল্লা মুর্শিদরূপ যে করে হিল্লা শঙ্কা যায় তারই।। অসৎ অভক্তজনা গুপ্ত ভেদ তারে বল না বলিলে সে মানিবে না করবে অহংকারী।। যাহার কথা সব ছফিনায় গুপ্ত ভেদ সব দিলাম ছিনায় এমনি মতন তোমার সবায় দিও সবারই।। খলিফা আউলিয়া রইলে যে যা বোঝে দিও বলে লালন বলে রাছুলের এই নছিহত জারী।।

রাসুলকে চিনলে পরে

রাসুলকে চিনলে পরে খোদা চিনা যায় রূপ ভাড়ায়ে দেশ বেড়ায়ে চলে গেলেন সেই দয়াময়।। জন্ম যাহার এই মানবে ছায়া তার পড়ে ভূমে দেখ দেখি ভাই বুদ্ধিমানে কে এলো মদীনায়।। মাঠে-ঘাটে রাসুলেরে মেঘে রইত ছায়া ধরে জানতে হয় তাই নিহাজ করে জীবের কি সেই দারজা হয়।। আহম্মদ নাম লিখিতে মীম হরফ কই নফী করতে সিরাজ সাঁই কয় লালন তাতে কিঞ্চিৎ নজির দেখায়।।
দিবানিশি থাকরে সব বা-হুঁশারী রাছুল বলে এ দুনিয়া মিছে ঝাকমারী।। পড়িলে আউজবিল্লা দূরে যায় কি নানতুল্লা মুর্শিদরূপ যে করে হিল্লা শঙ্কা যায় তারই।। অসৎ অভক্তজনা গুপ্ত ভেদ তারে বল না বলিলে সে মানিবে না করবে অহংকারী।। যাহার কথা সব ছফিনায় গুপ্ত ভেদ সব দিলাম ছিনায় এমনি মতন তোমার সবায় দিও সবারই।। খলিফা আউলিয়া রইলে যে যা বোঝে দিও বলে লালন বলে রাছুলের এই নছিহত জারী।।
ভুল না মন কারো ভোলে রাছুলের দ্বীন সত্য মান ডাক সদায় আল্লাহ বলে।। খোদা প্রাপ্ত মূল সাধনা রাছুল বিনে কেউ জানে না জাহের বাতুন উপাসনা রাছুল দ্বারা প্রকাশিলে।। দেখাদেখি সাধিলে যোগ বিপদ ঘটবে বাড়িবে রোগ যেজন হয় শুদ্ধ সাধক সেই রাছুলের ফারমানে চলে।। অপরকে বুঝাইতে তামাম করেন রাছুল জাহের কাম বাতুন মশগুল মুদাম কারো করো জানাইলে।। যেরূপ মুর্শিদ সেইরূপ রাছুল যে ভজে সে হবে মকবুল সিরাজ সাঁই কয় লালন কি কূল পাবি মুর্শিদ না ভজিলে।।
রাসুলকে চিনলে পরে খোদা চিনা যায় রূপ ভাড়ায়ে দেশ বেড়ায়ে চলে গেলেন সেই দয়াময়।। জন্ম যাহার এই মানবে ছায়া তার পড়ে ভূমে দেখ দেখি ভাই বুদ্ধিমানে কে এলো মদীনায়।। মাঠে-ঘাটে রাসুলেরে মেঘে রইত ছায়া ধরে জানতে হয় তাই নিহাজ করে জীবের কি সেই দারজা হয়।। আহম্মদ নাম লিখিতে মীম হরফ কই নফী করতে সিরাজ সাঁই কয় লালন তাতে কিঞ্চিৎ নজির দেখায়।।
এলাহী আলমীন (গো) আল্লা বাদশা আলামপানা তুমি ডুবাইয়ে ভাসাইতে পার, ভাসায়ে কিনার দেও কারো রাখো মারো হাত তোমারম তাইতে তোমায় ডাকি আমি।। নুহু নামে এক নবীরে, ভাসালে অকুল পাথারে আবার তারে মেহের করে, আপনি লাগাও কিনারে জাহের আছে ত্রিসংসারে আমায় দয়া কর স্বামী।। নিজাম নামে বাটপার সেত, পাপেতে ডুবিয়া রইত তার মনে সুমতি দিলে, কুমতি তার গেল চলে আউলিয়া নাম খাতায় লিখিলে, জানা গেল এই রহমি।। নবী না মানে যারা, মোয়াহেদ কাফের তারা সেই মোয়াহেদ দায়মাল হবে, বেহিসাব দোজখে যাবে আবার তারা খালাস পাবে, লালন কয় মোর কি হয় জানি।।

প্রেমের মরা জলে ডুবে না

প্রেমের মরা জলে ডুবে না তুমি সুজন দেইখা কইরো পিরিত মইলে যেন ভুলে না দরদী।। প্রেম কইরাছে আইয়ুব নবী যার প্রেমে রহিমা বিবি গো। তাঁরে আঠাঁর সাল কিরায় খাইলো আঠাঁর সাল, তাঁরে আঠাঁর সাল করায় খাইলো তবু রহিমা ছাড়লো না দরদী।। ও প্রেম করতে দুইদিন ভাংতে একদিন ওমন প্রেম কইরো না দরদী।। প্রেম কইরাছে ইছুব নবী যার প্রেমে জুলেখা বিবি গো। ও সে প্রেমের দায়ে জেল খাটিল প্রেমের দায়ে ও সে প্রেমের দায়ে জেল খাটিল তবুও সে প্রেম ছাড়লো দরদী।। প্রেম কইরাছে মুসা নবী যার প্রেমে দুনিয়ার খুজি। হায়রে পাহাড় জ্বলে সুরমা হইল পাহাড় জ্বলে, হায়রে পাহাড় জ্বলে সুরমা হইল তবুও মুসা জ্বললো না দরদী।।

আর কতকাল ভাসবো আমি

আর কতকাল ভাসবো আমি দুঃখের সারী গাইয়া জনম গেল ঘাটে ঘাটে আমার জনম গেল ঘাটে ঘাটে ভাঙা তরী বাইয়া রে আমার ভাঙ্গা তরী বাইয়া।। পরের বোঝা বইয়া বইয়া নৌকার গলুই গেছে খইয়ারে। আমার নিজের বোঝা কে বলিবে রে। রাখবো কোথায় যাওয়ারে আমি রাখবো কোথায় যাওয়া।। এই জীবনে দেখলাম নদীর কতই ভাঙা গড়া আমার দেহতরী ভাঙলো শুধু না জাগিলো চড়া আমার ভবে কেউ কি আছে দুঃখ কবো তাহার কাছে রে আমি রইলাম শুধু দয়াল আল্লাহ রে আমি রইলাম শুধু দয়াল আল্লাহ তোমার পানে চাইয়া রে আমি তোমার পানে চাইয়া।।

আমার প্রানের প্রান পাখি

আমার প্রানের প্রান পাখি আমার হিরামন পাখি তোরে কোথায় রাখি পাখিরে সবই মিছে আর ফাঁকি।। পাখিরে .রে রে..এ..এ.. এক পলকের নাই ভরসা মিছে সকল আশা….. কখন জানি দারুন ঝড়ে। ভাঙবে স্বাদের বাসা.. পাখিরে। ও পাখিরে .রে রে..এ..এ.. কোন বনেরই পাখি তুমি যাইবা রে কোন বনে সে কথা কি গেছ ভুলে। পরে না কি মনে … পাখিরে।। ও পাখিরে .রে রে..এ.. মিছা মায়ায় বন্দি হইয়া কর কত খেলা পশ্চিমে তাকাইয়া দেখ। ডুইবা আইলো বেলা…. পাখিরে।।
প্রেমের মরা জলে ডুবে না তুমি সুজন দেইখা কইরো পিরিত মইলে যেন ভুলে না দরদী।। প্রেম কইরাছে আইয়ুব নবী যার প্রেমে রহিমা বিবি গো। তাঁরে আঠাঁর সাল কিরায় খাইলো আঠাঁর সাল, তাঁরে আঠাঁর সাল করায় খাইলো তবু রহিমা ছাড়লো না দরদী।। ও প্রেম করতে দুইদিন ভাংতে একদিন ওমন প্রেম কইরো না দরদী।। প্রেম কইরাছে ইছুব নবী যার প্রেমে জুলেখা বিবি গো। ও সে প্রেমের দায়ে জেল খাটিল প্রেমের দায়ে ও সে প্রেমের দায়ে জেল খাটিল তবুও সে প্রেম ছাড়লো দরদী।। প্রেম কইরাছে মুসা নবী যার প্রেমে দুনিয়ার খুজি। হায়রে পাহাড় জ্বলে সুরমা হইল পাহাড় জ্বলে, হায়রে পাহাড় জ্বলে সুরমা হইল তবুও মুসা জ্বললো না দরদী।।
আর কতকাল ভাসবো আমি দুঃখের সারী গাইয়া জনম গেল ঘাটে ঘাটে আমার জনম গেল ঘাটে ঘাটে ভাঙা তরী বাইয়া রে আমার ভাঙ্গা তরী বাইয়া।। পরের বোঝা বইয়া বইয়া নৌকার গলুই গেছে খইয়ারে। আমার নিজের বোঝা কে বলিবে রে। রাখবো কোথায় যাওয়ারে আমি রাখবো কোথায় যাওয়া।। এই জীবনে দেখলাম নদীর কতই ভাঙা গড়া আমার দেহতরী ভাঙলো শুধু না জাগিলো চড়া আমার ভবে কেউ কি আছে দুঃখ কবো তাহার কাছে রে আমি রইলাম শুধু দয়াল আল্লাহ রে আমি রইলাম শুধু দয়াল আল্লাহ তোমার পানে চাইয়া রে আমি তোমার পানে চাইয়া।।
আমার প্রানের প্রান পাখি আমার হিরামন পাখি তোরে কোথায় রাখি পাখিরে সবই মিছে আর ফাঁকি।। পাখিরে .রে রে..এ..এ.. এক পলকের নাই ভরসা মিছে সকল আশা….. কখন জানি দারুন ঝড়ে। ভাঙবে স্বাদের বাসা.. পাখিরে। ও পাখিরে .রে রে..এ..এ.. কোন বনেরই পাখি তুমি যাইবা রে কোন বনে সে কথা কি গেছ ভুলে। পরে না কি মনে … পাখিরে।। ও পাখিরে .রে রে..এ.. মিছা মায়ায় বন্দি হইয়া কর কত খেলা পশ্চিমে তাকাইয়া দেখ। ডুইবা আইলো বেলা…. পাখিরে।।

এই যে দুনিয়া কিসের লাগিয়া

এই যে দুনিয়া কিসের লাগিয়া এত যত্নে গড়াইয়াছেন সাঁই ছায়া বাজী পুতুল রূপে বানাইয়া মানুষ। যেমনি নাচাও তেমনি নাচি পুতুলের কি দোষ। যেমনি নাচাও তেমনি নাচি। তুমি খাওয়াইলে আমি খাই আল্লাহ। তুমি বেস্ত তুমি দোজখ তুমি ভাল মন্দ তুমি ফুল তুমি ফল তুমি তাতে গন্ধ। আমার মনে এই আনন্দ। কেবল আল্লাহ তোমায় চাই আমি। তুমি হাকিম হইয়া হুকুম কর পুলিশ হইয়া ধর সর্প হইয়া দংশন কর ওঝা হইয়া ঝাড় তুমি বাঁচাও তুমি মার। তুমি বীনে কেহ নাই আল্লাহ, তুমি বীনে কেহ নাই।।

মেঘনার কূলে ঘর বান্ধিলাম বড় আশা করে

মেঘনার কূলে ঘর বান্ধিলাম বড় আশা করে সে ঘর আমার ভাইঙ্গা গেল সর্বনাশা ঝড়ে রে মেঘনার সর্বনাশা ঝড়ে এই ঘরে মোর ছেইলা মাইয়া থাইকা গেছে দেখি চাইয়া রে। আমি আজো তাদের খুইজা বেড়াই নদীর চরে চরে মেঘনা নদীর চরে চরে।। সর্বহারা হইলাম তবু শেষ হইল না আশা আমার আমি ঘর বান্ধিলাম *** দুরাশা আবার যখন বান ডাকিল আমার সব ভাসাইয়া নিল রে। আমি একলা এখন ঘুইড়া বেড়াই চোখের পানি ঝরেরে আমার, চোখের পানি ঝরে।।

দোল দোল দোলনী রাঙা মাথার চিরুনী

দোল দোল দোলনী রাঙা মাথার চিরুনী এনে দেব হাট থেকে মান তুমি মরো না নতুন নতুন খোপাটি তুলে এনে দোপাটি রাঙা ফিতায় বেধে দিবো মান তুমি করো না।। চেয়ে দেখ ডালিম ফুলে ঐ জমেছে মৌ বউ কথা কও ডাকছে পাখি, কয় না কথা বউ। ঝুমঝুমি মল পায়েতে গয়না সোনার গায়েতে আরো দেবো নাকের নোলক মান তুমি করো না।। চাঁদের সাথে নিত্যরাতে তাঁরায় কথা কয় আপনজনা পর হইলে তাও কী প্রানে সয়। একটু খানি আসনা কাছে এসে বসো না এনে দেবো রেশমি চুড়ি মান তুমি করো না।।

কেনবা তারে সপে দিলাম দেহ মন প্রাণ

কেনবা তারে সপে দিলাম দেহ মন প্রাণ। প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম দেহ মন প্রাণ।। তারে প্রাণ সপিয়া হইলেম অপমান। প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম প্রাণ প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম দেহ মন প্রাণ আগে যদি জানতাম মনে যাইতাম না তার নয়ন কোণে মর্মস্থলে হানে পঞ্চবান, প্রান সখীরে। ও তার বানে কত শক্তি ধরে সাধ্য কী আর রইতে ঘরে বানে বিদ্ধ করে অবলার প্রাণ। প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম প্রাণ প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম দেহ মন প্রাণ।। সে যেন কী মন্ত্র জানে শুকরিয়া বাঁশীর তানে শুনলে কানে হইতে হয় অজ্ঞান, প্রান সখীরে। কেন তারে করিস না মানা সময় চিনে কেন বাঁশী বাজায় না আমার প্রেম যমুনায় বহিছে উজান। প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম প্রাণ প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম দেহ মন প্রাণ।।

বহু দিনের পিরিত গো বন্ধু

বহু দিনের পিরিত গো বন্ধু একই দিনে ভেঙো না।। এই যে রে ভাই বংশিওয়ালা বাজাও বাশী দুপুর বেলা আরো একেলা তোমার বাশীর সুরে মন হরে গো। ঘরে রইতে দিল না।। মাতা মইলো, পিতা রে মইলো গুণের ভাই ছাড়িয়া রে গেল, সঙ্গে নিল না আমি কী দোষ দিব পরের পুতের গো। আপন কর্ম ভালো না।। বন্ধু আমার আলারে ভোলা না জানি পীড়িতের জ্বালা আরো একেলা সে যে আসি বলে গেল চইলে গো। আর তো ফির আইলো না।।
এই যে দুনিয়া কিসের লাগিয়া এত যত্নে গড়াইয়াছেন সাঁই ছায়া বাজী পুতুল রূপে বানাইয়া মানুষ। যেমনি নাচাও তেমনি নাচি পুতুলের কি দোষ। যেমনি নাচাও তেমনি নাচি। তুমি খাওয়াইলে আমি খাই আল্লাহ। তুমি বেস্ত তুমি দোজখ তুমি ভাল মন্দ তুমি ফুল তুমি ফল তুমি তাতে গন্ধ। আমার মনে এই আনন্দ। কেবল আল্লাহ তোমায় চাই আমি। তুমি হাকিম হইয়া হুকুম কর পুলিশ হইয়া ধর সর্প হইয়া দংশন কর ওঝা হইয়া ঝাড় তুমি বাঁচাও তুমি মার। তুমি বীনে কেহ নাই আল্লাহ, তুমি বীনে কেহ নাই।।
মেঘনার কূলে ঘর বান্ধিলাম বড় আশা করে সে ঘর আমার ভাইঙ্গা গেল সর্বনাশা ঝড়ে রে মেঘনার সর্বনাশা ঝড়ে এই ঘরে মোর ছেইলা মাইয়া থাইকা গেছে দেখি চাইয়া রে। আমি আজো তাদের খুইজা বেড়াই নদীর চরে চরে মেঘনা নদীর চরে চরে।। সর্বহারা হইলাম তবু শেষ হইল না আশা আমার আমি ঘর বান্ধিলাম *** দুরাশা আবার যখন বান ডাকিল আমার সব ভাসাইয়া নিল রে। আমি একলা এখন ঘুইড়া বেড়াই চোখের পানি ঝরেরে আমার, চোখের পানি ঝরে।।
দোল দোল দোলনী রাঙা মাথার চিরুনী এনে দেব হাট থেকে মান তুমি মরো না নতুন নতুন খোপাটি তুলে এনে দোপাটি রাঙা ফিতায় বেধে দিবো মান তুমি করো না।। চেয়ে দেখ ডালিম ফুলে ঐ জমেছে মৌ বউ কথা কও ডাকছে পাখি, কয় না কথা বউ। ঝুমঝুমি মল পায়েতে গয়না সোনার গায়েতে আরো দেবো নাকের নোলক মান তুমি করো না।। চাঁদের সাথে নিত্যরাতে তাঁরায় কথা কয় আপনজনা পর হইলে তাও কী প্রানে সয়। একটু খানি আসনা কাছে এসে বসো না এনে দেবো রেশমি চুড়ি মান তুমি করো না।।
কেনবা তারে সপে দিলাম দেহ মন প্রাণ। প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম দেহ মন প্রাণ।। তারে প্রাণ সপিয়া হইলেম অপমান। প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম প্রাণ প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম দেহ মন প্রাণ আগে যদি জানতাম মনে যাইতাম না তার নয়ন কোণে মর্মস্থলে হানে পঞ্চবান, প্রান সখীরে। ও তার বানে কত শক্তি ধরে সাধ্য কী আর রইতে ঘরে বানে বিদ্ধ করে অবলার প্রাণ। প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম প্রাণ প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম দেহ মন প্রাণ।। সে যেন কী মন্ত্র জানে শুকরিয়া বাঁশীর তানে শুনলে কানে হইতে হয় অজ্ঞান, প্রান সখীরে। কেন তারে করিস না মানা সময় চিনে কেন বাঁশী বাজায় না আমার প্রেম যমুনায় বহিছে উজান। প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম প্রাণ প্রান সখীরে কেনবা তারে সপে দিলাম দেহ মন প্রাণ।।
বহু দিনের পিরিত গো বন্ধু একই দিনে ভেঙো না।। এই যে রে ভাই বংশিওয়ালা বাজাও বাশী দুপুর বেলা আরো একেলা তোমার বাশীর সুরে মন হরে গো। ঘরে রইতে দিল না।। মাতা মইলো, পিতা রে মইলো গুণের ভাই ছাড়িয়া রে গেল, সঙ্গে নিল না আমি কী দোষ দিব পরের পুতের গো। আপন কর্ম ভালো না।। বন্ধু আমার আলারে ভোলা না জানি পীড়িতের জ্বালা আরো একেলা সে যে আসি বলে গেল চইলে গো। আর তো ফির আইলো না।।

আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি

আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি ।। নিভা ছিল মনের আগুন জ্বালাইয়া গেলি প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি… আম ধরে থোকা থোকা তেতুল ধরে ব্যাকা…হায়রে তেতুল ধরে ব্যাকা আমার আসবে বলে শ্যাম কালাচাঁন নাহি দিল দেখা প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি…… আমার শিয়রে শাশুড়ী ঘুমায় জলন্ত নাগিনী… হায়রে জলন্ত নাগিনী ।। আমার পৈঠানে ননদী শুয়ে দুরন্ত ডাকিনী প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি… আম গাছে আম ধরে জাম গাছে জাম……হায়রে জাম গাছে জাম ।। আমি পন্থের দিকে চাইয়া থাকি আসেনি মোর শ্যাম প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি প্রাণ কোকিলা রে প্রাণ কোকিলা রে বন্ধুর বাড়ী আমার বাড়ী মইধ্যে জলের বেড়া ওরে হাত বাড়াইয়া দিছে পাঢ কপাল দেখি পোড়া প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি

আমার সোনার ময়না পাখি

আমার সোনার ময়না পাখি কোন দেশেতে গেলা উইড়া রে দিয়া মোরে ফাঁকি রে আমার সোনার ময়না পাখি ।। সোনা বরণ পাখিরে আমার কাজল বরণ আঁখি দিবানিশি মন চায়রে বাইন্ধা তরে রাখি রে আমার সোনার ময়না পাখি ।। দেহ দিছি প্রাণরে দিছি আর নাই কিছু বাকী শত ফুলের বাসন দিয়ারে অঙে দিছি মাখি রে আমার সোনার ময়না পাখি ।। যাইবা যদি নিঠুর পাখি ভাসাইয়া মোর আঁখি এ জীবন যাবার কালে রে ও পাখি রে একবার যেন দেখি রে আমার সোনার ময়না পাখি ।।

রঙ্গিলা রঙ্গিলা রঙ্গিলা রে রঙ্গিলা

রঙ্গিলা রঙ্গিলা রঙ্গিলা রে রঙ্গিলা আমারে ছাড়িয়া বন্ধু কই গেলা রে বন্ধু কই রইলা রে আমারে ছাড়িয়ারে বন্ধু কই গেলা রে তুমি হইও গাঙ্গ রে বন্ধু আমি গাঙ্গের পানি। জোয়ারে ভাটাতে হবে নিতুই জানাজানি রে নিতুই জানাজানি তুমি হইও ফুলরে বন্ধু আমি হবো হাওয়া দেশ বিদেশে ফিরবো আমি হইয়া মাতেলা রে হইয়া পাগেলা।। সেকালে কইছিলারে বন্ধু হস্ত দিয়া মাথে। তোমার মালার ফুল হইয়া ফুইটা রব সাথে রে ফুইটা রব সাথে খালি কণ্ঠ খালি রইল না পরিলাম মালা। না আইলো মোর প্রাণের পতি (হায় হায় রে…) ডুইবা গেলো বেলা রে ডুইবা গেলো বেলা।।

গুরু তোরে কী ধন দিল

তোরে রাং দিল কি সোনা দিল, তুই পরখ কইরে দেখলি না গুরু তোরে কী ধন দিল চিনলি না মনা গুরু দিল খাঁটি সোনা রাং বইলে তোর জ্ঞান হইল না, ওরে দিনকানা ওরে উপাসনা বিনে কি তোর মিলিবে রে রুপাসোনা গুরু তোরে কী ধন দিল চিনলি না মনা তোরে রাং দিল কি সোনা দিল চণ্ডীদাস আর রজকিনী তারা প্রেমের শিরোমণি, রাং কইরাছে সোনা তারা এক প্রেমেতে দুইজন মইলো, এমন মরে কয়জনা গুরু তোরে কী ধন দিল চিনলি না মনা তোরে রাং দিল কি সোনা দিল, তুই পরখ কইরে দেখলি না গুরু তোরে কী ধন দিল চিনলি না …

আমি বাংলা মায়ের ছেলে

আমি বাংলা মায়ের ছেলে জীবন আমার ধন্য যে হায় জন্ম বাংলা মায়ের কোলে বাংলা মায়ের ছেলে আমি বাংলা মায়ের ছেলে বাংলা মায়ের মুখের হাসি প্রাণের চেয়েও ভালোবাসি মায়ের হাসি পুর্ণ শশী- রত্ন-মানিক জ্বলে। মায়ের তুলনা কি আর ধরনীতে মিলে মা আমার শস্য-শ্যামলা সুশোভিত ফলে ফুলে আমি বাংলা মায়ের ছেলে গাছে গাছে মিষ্ট ফল, মাঠে ফলে সোনার ফসল রয়েছে সুশীতল জল, নদী-নালা খালে-বিলে। কোকিল ডাকে কুহ স্বরে, বুলবুল নাচে ডালে শুকশারি গান গায় মা যেন থাকেন কুশলে আমি বাংলা মায়ের ছেলে বাউল আব্দুল করিম বলে, জীবন লীলা সাঙ্গ হলে শুয়ে থাকবো মায়ের কোলে, তাপ-অনুতাপ ভুলে। মাকে ভুলে না মায়ের খাঁটি সন্তান হলে মা বিনে আর কে আছে কার, সুখে-দুখে মা-মা বলে আমি বাংলা মায়ের ছেলে।।
আমি বাংলা মায়ের ছেলে জীবন আমার ধন্য যে হায় জন্ম বাংলা মায়ের কোলে বাংলা মায়ের ছেলে আমি বাংলা মায়ের ছেলে বাংলা মায়ের মুখের হাসি প্রাণের চেয়েও ভালোবাসি মায়ের হাসি পুর্ণ শশী- রত্ন-মানিক জ্বলে। মায়ের তুলনা কি আর ধরনীতে মিলে মা আমার শস্য-শ্যামলা সুশোভিত ফলে ফুলে আমি বাংলা মায়ের ছেলে গাছে গাছে মিষ্ট ফল, মাঠে ফলে সোনার ফসল রয়েছে সুশীতল জল, নদী-নালা খালে-বিলে। কোকিল ডাকে কুহ স্বরে, বুলবুল নাচে ডালে শুকশারি গান গায় মা যেন থাকেন কুশলে আমি বাংলা মায়ের ছেলে বাউল আব্দুল করিম বলে, জীবন লীলা সাঙ্গ হলে শুয়ে থাকবো মায়ের কোলে, তাপ-অনুতাপ ভুলে। মাকে ভুলে না মায়ের খাঁটি সন্তান হলে মা বিনে আর কে আছে কার, সুখে-দুখে মা-মা বলে আমি বাংলা মায়ের ছেলে।।
তোরে রাং দিল কি সোনা দিল, তুই পরখ কইরে দেখলি না গুরু তোরে কী ধন দিল চিনলি না মনা গুরু দিল খাঁটি সোনা রাং বইলে তোর জ্ঞান হইল না, ওরে দিনকানা ওরে উপাসনা বিনে কি তোর মিলিবে রে রুপাসোনা গুরু তোরে কী ধন দিল চিনলি না মনা তোরে রাং দিল কি সোনা দিল চণ্ডীদাস আর রজকিনী তারা প্রেমের শিরোমণি, রাং কইরাছে সোনা তারা এক প্রেমেতে দুইজন মইলো, এমন মরে কয়জনা গুরু তোরে কী ধন দিল চিনলি না মনা তোরে রাং দিল কি সোনা দিল, তুই পরখ কইরে দেখলি না গুরু তোরে কী ধন দিল চিনলি না …
আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি ।। নিভা ছিল মনের আগুন জ্বালাইয়া গেলি প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি… আম ধরে থোকা থোকা তেতুল ধরে ব্যাকা…হায়রে তেতুল ধরে ব্যাকা আমার আসবে বলে শ্যাম কালাচাঁন নাহি দিল দেখা প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি…… আমার শিয়রে শাশুড়ী ঘুমায় জলন্ত নাগিনী… হায়রে জলন্ত নাগিনী ।। আমার পৈঠানে ননদী শুয়ে দুরন্ত ডাকিনী প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি… আম গাছে আম ধরে জাম গাছে জাম……হায়রে জাম গাছে জাম ।। আমি পন্থের দিকে চাইয়া থাকি আসেনি মোর শ্যাম প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি প্রাণ কোকিলা রে প্রাণ কোকিলা রে বন্ধুর বাড়ী আমার বাড়ী মইধ্যে জলের বেড়া ওরে হাত বাড়াইয়া দিছে পাঢ কপাল দেখি পোড়া প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি প্রাণ কোকিলা রে আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি
আমার সোনার ময়না পাখি কোন দেশেতে গেলা উইড়া রে দিয়া মোরে ফাঁকি রে আমার সোনার ময়না পাখি ।। সোনা বরণ পাখিরে আমার কাজল বরণ আঁখি দিবানিশি মন চায়রে বাইন্ধা তরে রাখি রে আমার সোনার ময়না পাখি ।। দেহ দিছি প্রাণরে দিছি আর নাই কিছু বাকী শত ফুলের বাসন দিয়ারে অঙে দিছি মাখি রে আমার সোনার ময়না পাখি ।। যাইবা যদি নিঠুর পাখি ভাসাইয়া মোর আঁখি এ জীবন যাবার কালে রে ও পাখি রে একবার যেন দেখি রে আমার সোনার ময়না পাখি ।।
রঙ্গিলা রঙ্গিলা রঙ্গিলা রে রঙ্গিলা আমারে ছাড়িয়া বন্ধু কই গেলা রে বন্ধু কই রইলা রে আমারে ছাড়িয়ারে বন্ধু কই গেলা রে তুমি হইও গাঙ্গ রে বন্ধু আমি গাঙ্গের পানি। জোয়ারে ভাটাতে হবে নিতুই জানাজানি রে নিতুই জানাজানি তুমি হইও ফুলরে বন্ধু আমি হবো হাওয়া দেশ বিদেশে ফিরবো আমি হইয়া মাতেলা রে হইয়া পাগেলা।। সেকালে কইছিলারে বন্ধু হস্ত দিয়া মাথে। তোমার মালার ফুল হইয়া ফুইটা রব সাথে রে ফুইটা রব সাথে খালি কণ্ঠ খালি রইল না পরিলাম মালা। না আইলো মোর প্রাণের পতি (হায় হায় রে…) ডুইবা গেলো বেলা রে ডুইবা গেলো বেলা।।
উথালী পাথালী আমার বুক আমার মনে তে নাই সুখ রে আমায় ডুবাইলিরে…… আমায় ভাসাইলি রে, অকুল দরিয়ায় বুঝি কূল নাই রে। আমায় ভাসাইলি রে, আমায় ডুবাইলি রে অকুল দরিয়ার বুঝি কূল নাই রে।। কুল নাই সীমা নাই অথৈ দরিয়ার পানি দিবসে নিশিথে ডাকে দিয়া হাতছানি রে অকুল দরিয়ার বুঝি কূল নাই রে।। পানসা জলে সাঁই ভাসায়ে সাগরেরও বানে ।। আমি জীবনের ভেলা ভাসাইলাম। কেউ না তা জানে রে।। অকুল দরিয়ার বুঝি কূল নাই রে।। আমায় ডুবাইলি রে আমায় ভাসাইলি রে, আসমান চাহে দরিয়া পানে দরিয়া আসমান পানে ।। আরো লক্ষ বছর পার হইল কেউ না তা জানে অকুল দরিয়ার বুঝি কূল নাই রে।। আমায় ডুবাইলি রে আমায় ভাসাইলি রে, কুল নাই সীমা নাই অথৈ দরিয়ার পানি দিবসে নিশিথে ডাকে দিয়া হাতছানি রে অকুল দরিয়ার বুঝি কূল নাই রে।। আমায় ডুবাইলি রে আমায় ভাসাইলি রে,
প্রাণ সখিরে ঐ শোন কদম্ব তলে বংশী বাজায় কে বংশী বাজায় কে রে সখী বংশী বাজায় কে। আমার মাথার বেনী বদল দেব তারে আইনা দে। যে পথ দিয়ে বাজায় বাঁশি যে পথ দিয়ে যায়। সোনার নুপূর পরে পায় আমার নাকের বেতর খুইলা দেব সেই না পথের গায় আমার গলার হার ছড়িয়ে দেব সেই না পথের গায় যদি হার জড়িয়ে পড়ে পায়।। যার বাঁশি এমন সে বা কেমন জানিস যদি বল সখি করিস নাকো ছল আমার মন বড় চঞ্চল আমার প্রাণ বলে তার বাঁশি জানে আমার চোখের জল আমার মন বলে তার বাঁশি জানে আমার চোখের জল।। সরলা বাঁশের বাঁশি ছিদ্র গোটা ছয় বাশী কতই কথা কয় নাম ধরিয়া বাজায় বাঁশি রহনও না যায় ঘরে রহনও না যায়।।
আমি কেমন করে পত্র লিখি গো বন্ধু গ্রাম পোস্ট অফিস নাই জানা তোমায় আমি হলেম অচেনা বন্ধুরে হইতা যদি দেশের দেশী ঐ চরণে হইতাম দাসীরে আমি দাসী হইয়া সঙ্গে যাইতাম রে বন্ধু শুনতামনা কারো মানা বন্ধুরে শুইলে না আসে রে নিদ্রা ক্ষণে ক্ষণে আসে তন্দ্রা গো আমি স্বপন দেখে জেগে উঠি রে বন্ধু কেন্দে ভিজাই বিছানা
উথালী পাথালী আমার বুক আমার মনে তে নাই সুখ রে আমায় ডুবাইলিরে…… আমায় ভাসাইলি রে, অকুল দরিয়ায় বুঝি কূল নাই রে। আমায় ভাসাইলি রে, আমায় ডুবাইলি রে অকুল দরিয়ার বুঝি কূল নাই রে।। কুল নাই সীমা নাই অথৈ দরিয়ার পানি দিবসে নিশিথে ডাকে দিয়া হাতছানি রে অকুল দরিয়ার বুঝি কূল নাই রে।। পানসা জলে সাঁই ভাসায়ে সাগরেরও বানে ।। আমি জীবনের ভেলা ভাসাইলাম। কেউ না তা জানে রে।। অকুল দরিয়ার বুঝি কূল নাই রে।। আমায় ডুবাইলি রে আমায় ভাসাইলি রে, আসমান চাহে দরিয়া পানে দরিয়া আসমান পানে ।। আরো লক্ষ বছর পার হইল কেউ না তা জানে অকুল দরিয়ার বুঝি কূল নাই রে।। আমায় ডুবাইলি রে আমায় ভাসাইলি রে, কুল নাই সীমা নাই অথৈ দরিয়ার পানি দিবসে নিশিথে ডাকে দিয়া হাতছানি রে অকুল দরিয়ার বুঝি কূল নাই রে।। আমায় ডুবাইলি রে আমায় ভাসাইলি রে,
প্রাণ সখিরে ঐ শোন কদম্ব তলে বংশী বাজায় কে বংশী বাজায় কে রে সখী বংশী বাজায় কে। আমার মাথার বেনী বদল দেব তারে আইনা দে। যে পথ দিয়ে বাজায় বাঁশি যে পথ দিয়ে যায়। সোনার নুপূর পরে পায় আমার নাকের বেতর খুইলা দেব সেই না পথের গায় আমার গলার হার ছড়িয়ে দেব সেই না পথের গায় যদি হার জড়িয়ে পড়ে পায়।। যার বাঁশি এমন সে বা কেমন জানিস যদি বল সখি করিস নাকো ছল আমার মন বড় চঞ্চল আমার প্রাণ বলে তার বাঁশি জানে আমার চোখের জল আমার মন বলে তার বাঁশি জানে আমার চোখের জল।। সরলা বাঁশের বাঁশি ছিদ্র গোটা ছয় বাশী কতই কথা কয় নাম ধরিয়া বাজায় বাঁশি রহনও না যায় ঘরে রহনও না যায়।।
আমি কেমন করে পত্র লিখি গো বন্ধু গ্রাম পোস্ট অফিস নাই জানা তোমায় আমি হলেম অচেনা বন্ধুরে হইতা যদি দেশের দেশী ঐ চরণে হইতাম দাসীরে আমি দাসী হইয়া সঙ্গে যাইতাম রে বন্ধু শুনতামনা কারো মানা বন্ধুরে শুইলে না আসে রে নিদ্রা ক্ষণে ক্ষণে আসে তন্দ্রা গো আমি স্বপন দেখে জেগে উঠি রে বন্ধু কেন্দে ভিজাই বিছানা
আমার সোনা বন্ধুরে তুমি কোথায় রইলা রে। দিনে রাইতে তোমায় আমি দিনে রাইতে তোমায় আমি খুইজা মরি রে।। প্রথম দেখার কালে বন্ধু কথা দিয়েছিলে ভুলিবে না মোরে এ জীবন গেলে।। যদি না পাই তোমারে আমার জীবনের তরে সোনার জীবন আঙ্গার হইব।। তোমার লাইগা রে । ভুলতে পার বন্ধু তুমি আমি ভুলি নাই পর কালে যেন বন্ধু মরন কালে যেন বন্ধু একবার তোমায় পাই। যদি না পাই সে কালে প্রেম যাইব বিফলে তখন কিন্তু বলব আমি , তখন কিন্তু বলব আমি প্রেম কিছুই না রে ।।
আমার মনের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ তোমারে না পাইয়া পিরিতি শিখাইয়া কান্দাইয়া গেলা ফিরা তো আর আইলানা বন্ধু ফিরা তো আর আইলানা।। পাশানে বান্ধিয়া হিয়া —- সব নিল কাহাড়িয়া । তুমি কোন পরানে আছ বন্ধু কোন পরানে এ আছ বন্ধু থোইয়া গেলা না পিরিতি শিখাইয়া কান্দাইয়া গেলা ফিরা তো আর আইলানা বন্ধু ফিরা তো আর আইলানা।। মনের ঘরে দাগা দিয়া বন্ধু গেলা চলিয়া । আমার আশার তরী আশায় রইল আশার তরী আশায় রইল তুমি বাইলানা পিরিতি শিখাইয়া কান্দাইয়া গেলা ফিরা তো আর আইলানা বন্ধু ফিরা তো আর আইলানা।।
আমার সোনা বন্ধুরে তুমি কোথায় রইলা রে। দিনে রাইতে তোমায় আমি দিনে রাইতে তোমায় আমি খুইজা মরি রে।। প্রথম দেখার কালে বন্ধু কথা দিয়েছিলে ভুলিবে না মোরে এ জীবন গেলে।। যদি না পাই তোমারে আমার জীবনের তরে সোনার জীবন আঙ্গার হইব।। তোমার লাইগা রে । ভুলতে পার বন্ধু তুমি আমি ভুলি নাই পর কালে যেন বন্ধু মরন কালে যেন বন্ধু একবার তোমায় পাই। যদি না পাই সে কালে প্রেম যাইব বিফলে তখন কিন্তু বলব আমি , তখন কিন্তু বলব আমি প্রেম কিছুই না রে ।।
আমার মনের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ তোমারে না পাইয়া পিরিতি শিখাইয়া কান্দাইয়া গেলা ফিরা তো আর আইলানা বন্ধু ফিরা তো আর আইলানা।। পাশানে বান্ধিয়া হিয়া —- সব নিল কাহাড়িয়া । তুমি কোন পরানে আছ বন্ধু কোন পরানে এ আছ বন্ধু থোইয়া গেলা না পিরিতি শিখাইয়া কান্দাইয়া গেলা ফিরা তো আর আইলানা বন্ধু ফিরা তো আর আইলানা।। মনের ঘরে দাগা দিয়া বন্ধু গেলা চলিয়া । আমার আশার তরী আশায় রইল আশার তরী আশায় রইল তুমি বাইলানা পিরিতি শিখাইয়া কান্দাইয়া গেলা ফিরা তো আর আইলানা বন্ধু ফিরা তো আর আইলানা।।

প্রাণ সখিরে ঐ শোন

প্রাণ সখিরে ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে । বংশী বাজায় কে রে সখি, বংশী বাজায় কে।। আমার মাথার বেনী খুইলা দিমু তারে আনিয়া দে । যে পথ দিয়ে বাজায় বাঁশী যে পথ দিয়ে যায় সোনার নুপুর পরে পায় ।। আমার নাকের বেসর তুইলা দেবো সেইনা পথের গায় আমার গলার হার ছড়িয়ে দেবো সেইনা পথের গায় যদি হার জড়িয়ে পরে পায় প্রান সখিরে যার বাশী এমন সে বা কেমন জানিস যদি বল সখি করিস না কো ছল আমার মন বড় চঞ্চল আমার প্রান বলে তার বাঁশী জানে আমার চোখের জল আমার মন বলে তার বাঁশী জানে আমার চোখের জল প্রাণ সখিরে তরলা বাশের বাঁশী ছিদ্র গোটা ছয় বাঁশী কতই কথা কয় নাম ধরিয়া বাজায় বাঁশী রহনও না যায় ঘরে রহনও না যায় প্রান সখিরে………

সর্বনাশা পদ্মা নদী তোর কাছে শুধাই

সর্বনাশা পদ্মা নদী তোর কাছে শুধাই বল আমারে তোর কি রে আর কুল কিনারা নাই, কুল কিনারা নাই ও নদীর কুল কিনারা নাই।। পাড়ির আশায় তাড়াতাড়ি সকাল বেলা ধরলাম পাড়ি আমার দিন যে গেল সন্ধ্যা হলো তবু না কুল পাই।। পদ্মারে তোর তুফান দেইখা পরান কাঁপে ডরে ফেইলা আমায় মারিসনা তোর সর্বনাশা ঝড়ে। একে আমার ভাঙ্গা তরী মাল্লা ছয়জন শল্লা করি আমার নায়ে দিল কুড়াল মারি কেমনে পাড়ে যাই।।

প্রেমের মরা জলে ডুবে না

প্রেমের মরা জলে ডুবে না তুমি সুজন দেইখা কইরো পিরিত মইলে যেন ভুলে না দরদী।। প্রেম কইরাছে আইয়ুব নবী যার প্রেমে রহিমা বিবি গো। তাঁরে আঠাঁর সাল কিরায় খাইলো আঠাঁর সাল, তাঁরে আঠাঁর সাল করায় খাইলো তবু রহিমা ছাড়লো না দরদী।। ও প্রেম করতে দুইদিন ভাংতে একদিন ওমন প্রেম কইরো না দরদী।। প্রেম কইরাছে ইছুব নবী যার প্রেমে জুলেখা বিবি গো। ও সে প্রেমের দায়ে জেল খাটিল প্রেমের দায়ে ও সে প্রেমের দায়ে জেল খাটিল তবুও সে প্রেম ছাড়লো দরদী।। প্রেম কইরাছে মুসা নবী যার প্রেমে দুনিয়ার খুজি। হায়রে পাহাড় জ্বলে সুরমা হইল পাহাড় জ্বলে, হায়রে পাহাড় জ্বলে সুরমা হইল তবুও মুসা জ্বললো না দরদী।।

হলুদিয়া পাখি, সোনারই বরণ

হলুদিয়া পাখি, সোনারই বরণ পাখিটি ছাড়িল কে পাখিটি ছাড়িল কে রে আমার পাখিটি ছাড়িল কে। কেউ না জানিল, কেউ না দেখিল, কেমনে পাখি দিয়াছে ফাঁকি উইড়া গেল হায় চোখের পলকে পাখিটি ছাড়িল কে।। সোনার পিঞ্জিরা শূণ্য করিয়া কোন বনে পাখি গেল যে উড়িয়া। পিঞ্জিরার জোড়া খুলিয়া খুলিয়া ভাইঙ্গা পড়ে সেই না পাখির শোকে।। সবই যদি ভুলে যাবি রে পাখি কেন তবে হায় দিলি রে আশা উইড়া যদি যাবি ওরে ও পাখি কেন বাইন্ধা ছিলি বুকেতে বাসা। কত না মধুর গান শুনাইয়া গেলিরে শেষে কেন কান্দাইয়া তোমারে স্মরিয়া দুখের দরিয়া উথলি উঠে হায় পাগলের চোখে।।
প্রাণ সখিরে ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে । বংশী বাজায় কে রে সখি, বংশী বাজায় কে।। আমার মাথার বেনী খুইলা দিমু তারে আনিয়া দে । যে পথ দিয়ে বাজায় বাঁশী যে পথ দিয়ে যায় সোনার নুপুর পরে পায় ।। আমার নাকের বেসর তুইলা দেবো সেইনা পথের গায় আমার গলার হার ছড়িয়ে দেবো সেইনা পথের গায় যদি হার জড়িয়ে পরে পায় প্রান সখিরে যার বাশী এমন সে বা কেমন জানিস যদি বল সখি করিস না কো ছল আমার মন বড় চঞ্চল আমার প্রান বলে তার বাঁশী জানে আমার চোখের জল আমার মন বলে তার বাঁশী জানে আমার চোখের জল প্রাণ সখিরে তরলা বাশের বাঁশী ছিদ্র গোটা ছয় বাঁশী কতই কথা কয় নাম ধরিয়া বাজায় বাঁশী রহনও না যায় ঘরে রহনও না যায় প্রান সখিরে………
সর্বনাশা পদ্মা নদী তোর কাছে শুধাই বল আমারে তোর কি রে আর কুল কিনারা নাই, কুল কিনারা নাই ও নদীর কুল কিনারা নাই।। পাড়ির আশায় তাড়াতাড়ি সকাল বেলা ধরলাম পাড়ি আমার দিন যে গেল সন্ধ্যা হলো তবু না কুল পাই।। পদ্মারে তোর তুফান দেইখা পরান কাঁপে ডরে ফেইলা আমায় মারিসনা তোর সর্বনাশা ঝড়ে। একে আমার ভাঙ্গা তরী মাল্লা ছয়জন শল্লা করি আমার নায়ে দিল কুড়াল মারি কেমনে পাড়ে যাই।।
প্রেমের মরা জলে ডুবে না তুমি সুজন দেইখা কইরো পিরিত মইলে যেন ভুলে না দরদী।। প্রেম কইরাছে আইয়ুব নবী যার প্রেমে রহিমা বিবি গো। তাঁরে আঠাঁর সাল কিরায় খাইলো আঠাঁর সাল, তাঁরে আঠাঁর সাল করায় খাইলো তবু রহিমা ছাড়লো না দরদী।। ও প্রেম করতে দুইদিন ভাংতে একদিন ওমন প্রেম কইরো না দরদী।। প্রেম কইরাছে ইছুব নবী যার প্রেমে জুলেখা বিবি গো। ও সে প্রেমের দায়ে জেল খাটিল প্রেমের দায়ে ও সে প্রেমের দায়ে জেল খাটিল তবুও সে প্রেম ছাড়লো দরদী।। প্রেম কইরাছে মুসা নবী যার প্রেমে দুনিয়ার খুজি। হায়রে পাহাড় জ্বলে সুরমা হইল পাহাড় জ্বলে, হায়রে পাহাড় জ্বলে সুরমা হইল তবুও মুসা জ্বললো না দরদী।।
হলুদিয়া পাখি, সোনারই বরণ পাখিটি ছাড়িল কে পাখিটি ছাড়িল কে রে আমার পাখিটি ছাড়িল কে। কেউ না জানিল, কেউ না দেখিল, কেমনে পাখি দিয়াছে ফাঁকি উইড়া গেল হায় চোখের পলকে পাখিটি ছাড়িল কে।। সোনার পিঞ্জিরা শূণ্য করিয়া কোন বনে পাখি গেল যে উড়িয়া। পিঞ্জিরার জোড়া খুলিয়া খুলিয়া ভাইঙ্গা পড়ে সেই না পাখির শোকে।। সবই যদি ভুলে যাবি রে পাখি কেন তবে হায় দিলি রে আশা উইড়া যদি যাবি ওরে ও পাখি কেন বাইন্ধা ছিলি বুকেতে বাসা। কত না মধুর গান শুনাইয়া গেলিরে শেষে কেন কান্দাইয়া তোমারে স্মরিয়া দুখের দরিয়া উথলি উঠে হায় পাগলের চোখে।।

আর কতকাল ভাসবো আমি

আর কতকাল ভাসবো আমি দুঃখের সারী গাইয়া জনম গেল ঘাটে ঘাটে আমার জনম গেল ঘাটে ঘাটে ভাঙা তরী বাইয়া রে আমার ভাঙ্গা তরী বাইয়া।। পরের বোঝা বইয়া বইয়া নৌকার গলুই গেছে খইয়ারে। আমার নিজের বোঝা কে বলিবে রে। রাখবো কোথায় যাওয়ারে আমি রাখবো কোথায় যাওয়া।। এই জীবনে দেখলাম নদীর কতই ভাঙা গড়া আমার দেহতরী ভাঙলো শুধু না জাগিলো চড়া আমার ভবে কেউ কি আছে দুঃখ কবো তাহার কাছে রে আমি রইলাম শুধু দয়াল আল্লাহ রে আমি রইলাম শুধু দয়াল আল্লাহ তোমার পানে চাইয়া রে আমি তোমার পানে চাইয়া।। শিল্পীঃ আব্দুল আলীম গীতিকারঃ আব্দুল আলীম
আর কতকাল ভাসবো আমি দুঃখের সারী গাইয়া জনম গেল ঘাটে ঘাটে আমার জনম গেল ঘাটে ঘাটে ভাঙা তরী বাইয়া রে আমার ভাঙ্গা তরী বাইয়া।। পরের বোঝা বইয়া বইয়া নৌকার গলুই গেছে খইয়ারে। আমার নিজের বোঝা কে বলিবে রে। রাখবো কোথায় যাওয়ারে আমি রাখবো কোথায় যাওয়া।। এই জীবনে দেখলাম নদীর কতই ভাঙা গড়া আমার দেহতরী ভাঙলো শুধু না জাগিলো চড়া আমার ভবে কেউ কি আছে দুঃখ কবো তাহার কাছে রে আমি রইলাম শুধু দয়াল আল্লাহ রে আমি রইলাম শুধু দয়াল আল্লাহ তোমার পানে চাইয়া রে আমি তোমার পানে চাইয়া।। শিল্পীঃ আব্দুল আলীম গীতিকারঃ আব্দুল আলীম
পীড়িতি পীড়িতি বিষম পীড়িতি পীড়িতি করে যে জনে। দয়াল তোমারও সনে পীড়িতি করিয়া তোমারও সনে দয়াল পীড়িতি করিয়া কান্দিতে জনম গেলরে আগে জানি না রে দয়াল তোর পীড়িতে পরান যাবে আঙ্গুল কাঁটিয়া কলম বানাইয়া নয়নের জলে করলাম কালি। দয়াল হৃদয় চিড়িয়া লিখন লিখিয়া। পাঠাইলাম বন্ধুর বাড়িরে আগে জানি না রে দয়াল তোর পীড়িতে পরান যাবে সাগর সেচিলাম নগর মাগিলাম মনিক পাইবার আশে। দয়াল সাগর শুকালো মানিক লুকালো। আপন কপালের দোষেরে আগে জানি না রে দয়াল তোর পীড়িতে পরান যাবে।।
আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালু • শিল্পীঃ তাজুল ইমাম • সুরকারঃ জসীম উদ্দীন • গীতিকারঃ জসীম উদ্দীন আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালু শেষ করা তো যায়না গেয়ে তোমার গুণগান।। তুমি কাদেরও গফফার তুমি জ্বলিলও জব্বার অনন্ত অসীম তুমি রহিম রহমান। আল্লাহু আল্লাহু……গুণগান। আল্লাহু আল্লাহু……। তুমি মাটির আদমকে প্রথম সৃষ্টি করিয়া ঘোষণা করিয়া দিলে শ্রেষ্ঠ বলিয়া।। তাই নূরের ফেরেশতা করে আদমকে সেজদা।। তুমি সবার চেয়ে দিলে মাটির মানুষকে সম্মান। শিশু মূসা নবীরে যখন দুশমনেরই ডরে সিন্দুকে ভরিয়া দিল ভাসায়ে সাগরে।। প্রাণে ছিল যাহার ভয় সেথায় পেল সে আশ্রয়।। সেই দুশমনেরই হাতে তাহার বাঁচাইলে প্রাণ। যখন ইউনুস নবীরে খাইল মাছেতে গিলিয়া ফেরেশতা পাঠাইলে তখন এছমে আদম দিয়া।। দমে দমেতে হরদম পড়ে সে এছমে আদম।। সেই মাছের উদর হতে সে যে পেল পরিত্রাণ।।
পীড়িতি পীড়িতি বিষম পীড়িতি পীড়িতি করে যে জনে। দয়াল তোমারও সনে পীড়িতি করিয়া তোমারও সনে দয়াল পীড়িতি করিয়া কান্দিতে জনম গেলরে আগে জানি না রে দয়াল তোর পীড়িতে পরান যাবে আঙ্গুল কাঁটিয়া কলম বানাইয়া নয়নের জলে করলাম কালি। দয়াল হৃদয় চিড়িয়া লিখন লিখিয়া। পাঠাইলাম বন্ধুর বাড়িরে আগে জানি না রে দয়াল তোর পীড়িতে পরান যাবে সাগর সেচিলাম নগর মাগিলাম মনিক পাইবার আশে। দয়াল সাগর শুকালো মানিক লুকালো। আপন কপালের দোষেরে আগে জানি না রে দয়াল তোর পীড়িতে পরান যাবে।।
আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালু • শিল্পীঃ তাজুল ইমাম • সুরকারঃ জসীম উদ্দীন • গীতিকারঃ জসীম উদ্দীন আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালু শেষ করা তো যায়না গেয়ে তোমার গুণগান।। তুমি কাদেরও গফফার তুমি জ্বলিলও জব্বার অনন্ত অসীম তুমি রহিম রহমান। আল্লাহু আল্লাহু......গুণগান। আল্লাহু আল্লাহু......। তুমি মাটির আদমকে প্রথম সৃষ্টি করিয়া ঘোষণা করিয়া দিলে শ্রেষ্ঠ বলিয়া।। তাই নূরের ফেরেশতা করে আদমকে সেজদা।। তুমি সবার চেয়ে দিলে মাটির মানুষকে সম্মান। শিশু মূসা নবীরে যখন দুশমনেরই ডরে সিন্দুকে ভরিয়া দিল ভাসায়ে সাগরে।। প্রাণে ছিল যাহার ভয় সেথায় পেল সে আশ্রয়।। সেই দুশমনেরই হাতে তাহার বাঁচাইলে প্রাণ। যখন ইউনুস নবীরে খাইল মাছেতে গিলিয়া ফেরেশতা পাঠাইলে তখন এছমে আদম দিয়া।। দমে দমেতে হরদম পড়ে সে এছমে আদম।। সেই মাছের উদর হতে সে যে পেল পরিত্রাণ।।
মেঘ নাই আন্ধাইরা রাত্রি নায়ে আটু পানি মেঘ নাই আন্ধাইরা রাত্রি নায়ে আটু পানি কে কে যাইবা দুলামিয়ার সাথে ফিছন নায়ের পানি। ভাইও যাইব ভাতিজাও যাইব উস্তাদও যাইব সাথে খবরিয়া খবর গো কয় বালির বাপের আগে। তোমার বালির জামাই গো আইছে সুরমা নদীর পারে।। থাকোউক থাকোউক বালির বাপে থাকোউক জামাই সুরমার পারে আগে লইবাম জাতের বিচার শেষে দিবাম গো বিয়া।। আমার না বাপ চাচা জমিদারের বেটা আমার না মা ও চাচী পাঠানের না বেটী তাদের ঘরে লইছে লেখইয়া পণ্ডিত তাদের ঘরে লইছে জন্ম কোরান কিতাবখানি। জষ্টি না আষাঢ় মাসে গাঙ্গে ঢালা পানি ভাসাইয়া না দিবাম সাধু জায়নামাজের পাটি ভাসাইয়া না দিবাম সাধু কোরান কিতাবখানি। কাতি না অগ্রান মাসে গাঙ্গে ভাটি পানি টুকাইয়া না লইবাম সাধু জায়নামাজের পাটি টুকাইয়া না লইবাম সাধু কোরান কিতাবখানি।। (ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ থেকে সংগৃহীত) কৃতজ্ঞতায় নিউরনে রণন
মেঘ নাই আন্ধাইরা রাত্রি নায়ে আটু পানি মেঘ নাই আন্ধাইরা রাত্রি নায়ে আটু পানি কে কে যাইবা দুলামিয়ার সাথে ফিছন নায়ের পানি। ভাইও যাইব ভাতিজাও যাইব উস্তাদও যাইব সাথে খবরিয়া খবর গো কয় বালির বাপের আগে। তোমার বালির জামাই গো আইছে সুরমা নদীর পারে।। থাকোউক থাকোউক বালির বাপে থাকোউক জামাই সুরমার পারে আগে লইবাম জাতের বিচার শেষে দিবাম গো বিয়া।। আমার না বাপ চাচা জমিদারের বেটা আমার না মা ও চাচী পাঠানের না বেটী তাদের ঘরে লইছে লেখইয়া পণ্ডিত তাদের ঘরে লইছে জন্ম কোরান কিতাবখানি। জষ্টি না আষাঢ় মাসে গাঙ্গে ঢালা পানি ভাসাইয়া না দিবাম সাধু জায়নামাজের পাটি ভাসাইয়া না দিবাম সাধু কোরান কিতাবখানি। কাতি না অগ্রান মাসে গাঙ্গে ভাটি পানি টুকাইয়া না লইবাম সাধু জায়নামাজের পাটি টুকাইয়া না লইবাম সাধু কোরান কিতাবখানি।। (ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ থেকে সংগৃহীত) কৃতজ্ঞতায় নিউরনে রণন
Image
তুমি জানো নাহ জানো নারে প্রিয় তুমি মোর জীবনের সাধনা তোমায় প্রথম যেদিন জেনেছি মনে আপন মেনেছি তুমি বন্ধু আমার মন মাননা ওও… ফাল্গুন দোল পূর্ণিমায় মৃদু মন্দ বায়ু বয় ফুলবনে পুলকের আল্পনা আবার মধুরো মাধুবী রাতে বঁধুয়া তোমারি সাথে করেছিলাম মধুনিশি যাপনা চলে গেলে আমায় ফেলে কি আগুন এ বুকে জ্বেলে একদিনও দেখিতে বন্ধু এলে না তোমায় পেলে দুঃখের কুটিরে দেখাইতাম বক্ষ চিঁড়ে বুকের জ্বালা মুখে বলা চলে না ওও.. কাষ্ঠ-যোগে দাবানল জ্বালায় পোড়ায় বন জঙ্গল মন পোড়ানি আগুন বন্ধুর তাহা না কত বিরহের অন্তরো তলে বিনা কাষ্ঠে আগুন জ্বলে জ্বলে গেলে আগুন বন্ধু নিভে না–তুমি জানো নাহ খুঁজিয়া জনম জনম ক্ষিতি অপ তেজ মরুৎ ব্যোম বহুখুজে না পাই বন্ধুর ঠিকানা পাগল বিজয় বলে চিত্ত চোর আসবে কি জীবনে মোর বুকে রইলো আশা ভরা বাসনা বিজয় সরকার
Image
তুমি জানো নাহ জানো নারে প্রিয় তুমি মোর জীবনের সাধনা তোমায় প্রথম যেদিন জেনেছি মনে আপন মেনেছি তুমি বন্ধু আমার মন মাননা ওও... ফাল্গুন দোল পূর্ণিমায় মৃদু মন্দ বায়ু বয় ফুলবনে পুলকের আল্পনা আবার মধুরো মাধুবী রাতে বঁধুয়া তোমারি সাথে করেছিলাম মধুনিশি যাপনা চলে গেলে আমায় ফেলে কি আগুন এ বুকে জ্বেলে একদিনও দেখিতে বন্ধু এলে না তোমায় পেলে দুঃখের কুটিরে দেখাইতাম বক্ষ চিঁড়ে বুকের জ্বালা মুখে বলা চলে না ওও.. কাষ্ঠ-যোগে দাবানল জ্বালায় পোড়ায় বন জঙ্গল মন পোড়ানি আগুন বন্ধুর তাহা না কত বিরহের অন্তরো তলে বিনা কাষ্ঠে আগুন জ্বলে জ্বলে গেলে আগুন বন্ধু নিভে না–তুমি জানো নাহ খুঁজিয়া জনম জনম ক্ষিতি অপ তেজ মরুৎ ব্যোম বহুখুজে না পাই বন্ধুর ঠিকানা পাগল বিজয় বলে চিত্ত চোর আসবে কি জীবনে মোর বুকে রইলো আশা ভরা বাসনা বিজয় সরকার